সংবিধান হচ্ছে একটি দেশ পরিচালনার জন্য সবচেয়ে মূল্যবান দলিল। বাংলাদেশ পরিচালনার জন্য একটি দলিল রয়েছে, সে দলিলের নাম হচ্ছে সংবিধান। মূলত সংবিধানের মধ্যে একটি দেশ কিভাবে পরিচালিত হবে, সেই দেশের নিয়ম কানুন ইত্যাদি বিষয়াবলি খুবই চমৎকার ভাবে লিপিবদ্ধ থাকে। বাংলাদেশেরও একটি চমৎকার সংবিধান রয়েছে এবং এই সাংবিধানের মাধ্যমে বাংলাদেশ কিভাবে পরিচালিত হবে, বাংলাদেশের মূল নীতি কি, বাংলাদেশের জনগণের মৌলিক অধিকার গুলো কি, মানবিক অধিকার গুলো কি ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। আর এই সংবিধান অনুসরণ করে বাংলাদেশ বিভিন্ন ধরনের আচরণ করছে এবং বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ধরনের সংবিধান রয়েছে। কোন দেশে লিখিত সংবিধান রয়েছে। আবার কোন দেশে অলিখিত সংবিধান রয়েছে। সংবিধানের এমন বিভিন্ন ধরনের বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেমন কোন কোন সংবিধান খুব সহজে পরিবর্তন করা যায়, সেগুলোকে সুপরিবর্তনীয় সংবিধান বলা হয়। আমার কোন কোন সংবিধান খুব সহজে পরিবর্তন করা যায় না, সে সংবিধানগুলোকে দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধান বলা হয়ে থাকে। আবার সব সংবিধান লিখিত থাকে এমন না। যে সংবিধানের বেশিরভাগ বিষয় লিখিত থাকে, সেই সংবিধানকে লিখিত সংবিধান বলা হয় এবং যে সংবিধানে বেশিরভাগ বিষয় অলিখিত থাকে অর্থাৎ প্রথা নির্ভর হয়, সে সংবিধানকে অলিখিত সংবিধান বলা হয়ে থাকে।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সংবিধানের বিভিন্ন রূপ পরিলক্ষিত হয়। তবে বাংলাদেশের সংবিধান হচ্ছে লিখিত এবং বাংলাদেশ সংবিধান সহজে পরিবর্তন করা যায় না। অর্থাৎ বাংলাদেশের সংবিধান দুষ্পরিবর্তনীয়। কোন ব্যক্তি যদি বাংলাদেশের সংবিধান আয়ত্ব করতে পারে বা বাংলাদেশের সংবিধান পড়ে, তাহলে সে বাংলাদেশের যাবতীয় অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবে। কোনগুলো নাগরিকের অধিকার, কোনগুলো কর্তব্য হিসেবে পালন করতে হবে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন কার্যাবলী ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবে।
তাই বাংলাদেশের প্রত্যেকটি নাগরিকের সংবিধান সম্পর্কে ধারণা রাখা উচিত। একজন সুনাগরিক অধিকার সম্পর্কে যেমন সচেতন থাকবে, তেমনি ভাবে তার দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কেও সচেতন থাকতে হবে। এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানার জন্য সংবিধান পড়তে হবে। সংবিধান না পড়লে এই বিষয়ে ধারণা অর্জন করতে পারা যাবে না।
বাংলাদেশে অনেক মানুষ রয়েছে যে সকল ব্যক্তি সংবিধান সম্পর্কে জানতে চাই বা সংবিধান সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে চায়, তাদের জন্য মূলত সংবিধান সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। আপনিও যদি সংবিধান সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে আশা করি আর্টিকেলটির মাধ্যমে উপকৃত হবেন। আপনি যদি সংবিধান সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান, তাহলে এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে পারেন। কেননা আপনি যদি না পড়েন, তাহলে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন না। তাই দেরি না করে আপনি আর্টিকেলটি পড়ে নিন এবং সংবিধান সম্পর্কে জেনে নিন। আশা করি এই তথ্যগুলো প্রাপ্তির মাধ্যমে আপনি উপকৃত হবেন এবং তথ্যগুলো জানার মাধ্যমে আপনার ভালো লাগবে।
অনেকে দেখা যায় যে সংবিধানের ভাগ কতটি, সংবিধানের অনুচ্ছেদ কতটি, সংবিধানের তফসিল কতটি এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে চায়। এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে এ বিষয়গুলো তুলে ধরা চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা জানি বাংলাদেশের সংবিধান কার্যকর হয়েছিল ১৬ই ডিসেম্বর 1972 সালে। বাংলাদেশের সংবিধানের একটি প্রস্তাবনা রয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধানের ১১ টি ভাগ রয়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশ সংবিধানের সাতটি তফসিল রয়েছে এবং বাংলাদেশ সংবিধানের ১৫৩ টি অনুচ্ছেদ রয়েছে।
একজন সুনাগরিক হিসেবে প্রত্যেকটি ব্যক্তির উচিত বাংলাদেশের সংবিধান সম্পর্কে অন্ততপক্ষে মৌলিক তথ্যগুলো জেনে রাখা। এই তথ্যগুলো জেনে রাখলে সে তার দেশের সংবিধান সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে পারবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন এবং আপনি যদি এ বিষয়গুলো সংগ্রহ করে নিতে চান, তাহলে এখান থেকে সংগ্রহ করে নিতে পারেন। তাছাড়া আপনি এ বিষয়গুলো পড়েও আয়ত্ত করে নিতে পারবেন।