যারা জমিজমা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে চান তাদের উদ্দেশ্যে আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন একক সম্পর্কে জানিয়ে দিচ্ছি। কোন একটা জায়গায় যখন জমির পরিমাপ করা হচ্ছে অথবা নির্দিষ্ট পরিমাণ শতক জেনে নেওয়ার পর সেখান থেকে কত কাঠা জমি হবে তা যদি বের করতে চান তাহলে আপনাদেরকে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। তাছাড়া দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের উপর নির্ভর করে সেখানে কত শতক জমি রয়েছে এবং সেটা থেকে আমরা কত কাঠা জমি পাবো সে বিষয়েও ধারণা অর্জন করার জন্য এখানকার নিয়ম গুলো অনুসরণ করা যেতে পারে।
নিচে আপনাদের জন্য কত শতকে এক কাঠা হয় তা জানিয়ে দেওয়া হল।বর্তমান সময়ে জমি জমা যেমন বেশি পরিমাণে বিক্রি হচ্ছে তেমনি ভাবে জমিগুলো ভেঙ্গে খন্ড খন্ড হয়ে যাচ্ছে। তাই প্রত্যেকটি জায়গায় পরিমাপের প্রয়োজন রয়েছে অথবা জমি কেনার ক্ষেত্রে সেখানে কতটুকু জমে রয়েছে তা আমাদের জানার দরকার রয়েছে। বর্তমান সময়ে কোন মানুষ যদি জমি কিনে থাকেন তাহলে সেটার দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ কতটুকু এবং সেটার উপরে একটি আদর্শ বাড়ি তৈরি করা যাবে কিনা তা অনেকেই ধারণা পোষণ করেন।
বাড়ি তৈরি করার জন্য যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে জমি অথবা সেটা যদি দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের দিক থেকে সঠিকভাবে না মিলে তাহলে দেখতে সুন্দর একটা বাড়ি তৈরি করাটা ঝামেলা পূর্ণ হয়ে যাবে। তাই আপনারা যখন জমির পরিমাপ অনুযায়ী বাড়ির প্ল্যান তৈরি করবেন তখন অবশ্যই এ ক্ষেত্রে একজন ইঞ্জিনিয়ার এর সহায়তা গ্রহণ করে বাড়ির ডিজাইন তৈরি করে নিতে পারেন। তবে বর্তমান সময়ে অনলাইনের মাধ্যমে অনেক জায়গায় বাড়ির ডিজাইন পাওয়া যায় অথবা এই বাড়ির ডিজাইন গুলো আপনারা টাকার মাধ্যমে করে নিতে পারেন।
তবে যে জায়গাটায় জমি কিনবেন অথবা জমি বিক্রি করার ক্ষেত্রে সেখানে কত শতক জমি রয়েছে তা যদি গ্রাহককে বুঝিয়ে দিতে চান তাহলে আপনার তা পরিমাপ করার বিষয় রয়েছে। কারণ কোন একটা অংশ আপনি যদি পৈতৃক সূত্রে পেয়ে থাকেন তাহলে হয়তো সেখানে কতটুকু জমে রয়েছে তা আপনার ধারণা নেই অথবা থাকলেও তা একুরেট না।তাই সকল দিক থেকে ধারণা অর্জন করার জন্য আপনারা জমি বিষয়ে দৈর্ঘ্য প্রস্থ মেপে নিবেন এবং সেটা থেকে শতক বের করে নিবেন। জমির দৈর্ঘ্য প্রস্থ অনুযায়ী যদি শতক বের করতে চান তাহলে সর্বপ্রথমে দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থকে গুণ দিয়ে এটার ক্ষেত্রফল বের করতে হবে।
ক্ষেত্রফল যখন বের হয়ে যাবে তখন সেটাকে ৪৩৫ দশমিক ছয় দিয়ে ভাগ করতে হবে। তাহলে যেটা বের হয়ে গেল সেটাই হলো জমির শতাংশ হিসাব এবং এর মাধ্যমে আপনারা বুঝতে পারবেন সেখানে কতটুকু জমি বা কত শতক জমি রয়েছে। তবে জমির একদিকের দৈর্ঘ্য এবং অন্যদিকে দৈর্ঘ্য যদি কম হয় অথবা প্রস্থের দিক থেকে যদি উভয় দিকের প্রস্থ আলাদা আলাদা মাপের হয় তাহলে আপনারা দৈর্ঘ্যের ক্ষেত্রে যেমন গড় করে নিবেন তেমনি ভাবে প্রস্তর ক্ষেত্রেও গড় করে নিবেন।
এভাবে আপনার শতক হিসেবে বের করে নেওয়ার পর কাঠার হিসেবে যেতে হলে অবশ্যই আপনাকে এটা সঠিক নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। অর্থাৎ আপনি যদি জানতে চান কত শতকে এক কাঠা হয়ে থাকে তাহলে বলবো যে ১.৬৫ শতকে এক কাঠা হয়ে থাকে। আমরা এটা জানি যে ৩৩ শতাংশ এক বিঘা হয়ে থাকে এবং ২০ কাঠায় এক বিঘা হয়। তাহলে আপনারা ৩৩ শতাংশকে যদি বিষ দিয়ে ভাগ দেন তাহলে ১.৬৫ শতক হবে। আর সেই হিসেবে উপরে নির্ভর করে এখান থেকে আমরা এক দশমিক ছয় পাঁচ শতকে এক কাঠা হয়ে থাকে যে ধারণাটি প্রদান করলাম সেটা একুরেট ভাবে প্রদান করা হলো।
আশা করি উপরের আলোচনার ভিত্তিতে আপনারা জমি সংক্রান্ত অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানতে পেরেছেন। এই প্রসঙ্গে যদি আপনাদের কোন কিছু বিস্তারিত ভাবে জানার প্রয়োজন হয় অথবা জমিজমা সংক্রান্ত যদি সমস্যাই থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটের কমেন্ট সেকশনে আপনার সমস্যাগুলোর কথা লিখে জানান। তাহলে আমরা সমস্যা অনুযায়ী সঠিকভাবে পরামর্শ প্রদান করতে পারব এবং আপনারা উপকৃত হতে পারবেন।