যদি কোন নারীর গর্ভপাত হয়ে যায় তাহলে এই ক্ষেত্রে গর্ভপাতের কতদিন পর নামাজ পড়া যায় সে প্রসঙ্গে যারা জানতে এসেছেন তাদের উদ্দেশ্যে আজকের এখানে তথ্যগুলো দিয়ে দেওয়া হলো। স্বাভাবিকভাবে গর্ভপাত হয়ে থাকলে অথবা গর্ভপাতের পরেও যদি রক্ত যেতে থাকে তাহলে সেই পরিস্থিতিতে অনেকে নামাজ পড়তে পারেন না এবং রক্ত বন্ধ হওয়ার পরেও ঠিক কতদিন পরে নামাজ আদায় করতে হবে এ বিষয়ে অনেকেই জানতে চান। এ বিষয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জন প্রশ্ন করে থাকেন এবং সেই প্রশ্নের উত্তর একত্রে আমরা এখানে প্রদান করার চেষ্টা করছি।
কোন গর্ভবতী নারী যদি হঠাৎ করে তার শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণ রক্তক্ষরণ থেকে শুরু করে তলপেটে ব্যথা অথবা অন্যান্য সমস্যা গুলো উপলব্ধি করতে পারেন তাহলে সেটা মিস ক্যারেজ হয়েছে কিনা সে বিষয়ে আগে নিশ্চিত হয়ে নিন। আবার গর্বের সন্তানের বয়স যদি কয়েক মাস হয়ে থাকে তাহলে অনেক সময় রক্তের সঙ্গে দলা আকারে মাংসের মত শরীর থেকে বের হয়ে যায়। এক্ষেত্রে আপনারা বাড়িতে যে সকল অভিজ্ঞ নারীরা রয়েছেন অথবা বয়স্ক মহিলারা রয়েছেন তাদের সঙ্গে কথাবার্তা বললেই তারা বুঝতে পারবে এবং সে অনুযায়ী আপনার মিসক্যারেজ হয়েছে কিনা তা সঠিক তথ্য দিয়ে দিবে।
যেহেতু গর্ভের সন্তান অনেকের কাছেই লালাই তো একটা সন্তান সে তো এই সন্তান যদি হঠাৎ করে এমন অবস্থা হয়ে যায় তাহলে অনেকেরই খারাপ লাগার স্বাভাবিক। তাই বিপদের মুহূর্তে ধৈর্য না হারিয়ে আমাদেরকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে এবং সব সময় আল্লাহ পাকের ফায়সালা কে মেনে নিতে হবে। গর্ভের সন্তান আসার পরেও যারা নামাজ-কালাম ছাড়েননি এবং নামাজ-কালামের প্রতি আরো গুরুত্বপূর্ণ প্রদান করেছেন তারা হয়তো পরবর্তীতে জানতে চেয়েছেন এমন পরিস্থিতি থেকে কত দিনের ভেতরে নামাজ পড়া শুরু করা যেতে পারে।
তাই আপনাদের প্রশ্নের উত্তরের জন্যই আমরা এখানে বিভিন্ন বিষয়ে উপস্থাপন করে থাকি এবং আপনারা যেহেতু জানতে চান সেহেতু এখান থেকে সঠিক তথ্য জানতে পারেন বলে মনে করি। তাই গর্ভের সন্তান যদি এভাবে মিসক্যারেজ হয়ে যায় এবং শরীর থেকে রক্ত আস্তে আস্তে বের হতে থাকে তাহলে রক্ত বের হওয়া পর্যন্ত আপনাদেরকে অবশ্যই অপেক্ষা করতে হবে। কারণ শরীর থেকে যখন রক্ত বের হচ্ছে তখন অবশ্যই আপনি নাপাক অবস্থায় রয়েছেন এবং এমতাবস্থায় আপনার নামাজ আদায় করা উচিত নয়।
স্বাভাবিকভাবে যখন অল্প কিছু দিনের ভেতরে আপনার এই রক্ত বন্ধ হয়ে যাবে তখন আপনি পাক পবিত্র হয়ে অবশ্যই নামাজ আদায় করতে পারবেন। তবে এই ক্ষেত্রে আপনাকে সেই দিনগুলোর নামাজ কাজা আদায় করতে হবে কিনা সে প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে বলব যে আপনাকে এই নামাজ কাজা আদায় করতে হবে না।আর যদি স্বাভাবিক নিয়মের বাইরেও এই রক্তপাত হতে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সঠিকভাবে নিয়ম মেনে চললে আশা করি সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন।
গর্ভপাতের কতদিন পর ইবাদত করতে পারবেন
গর্ভপাতের কতদিন পর ইবাদত করতে পারবেন এই প্রশ্নের উত্তর দিতে মধ্যে উপরের দিকে আমরা জানিয়ে দিয়েছি। গর্ভপাত হওয়ার পর স্বাভাবিকভাবে ১০ দিনের ভেতরে রক্তপাতের বিষয়গুলো অথবা অন্যান্য সমস্যা গুলো একজন নারী শরীর থেকে চলে যায়। আর তখন আপনারা নামাজ আদায় করতে পারবেন। তাই নামাজ যেহেতু প্রত্যেকটি ব্যক্তির জীবন একটি ফরজ ইবাদত সেহেতু এই ফরজ ইবাদত কখনোই ছাড়া যাবে না। আর যদি সেই ক্ষেত্রে নারীদের প্রাকৃতিক সমস্যা অথবা সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত সমস্যার কারণে হয়ে থাকে তাহলে সেই ক্ষেত্রে আপনাদের নামাজ পড়তে হবে না এবং সুস্থতা আসার পরে নামাজ পড়তে হবে।
বাচ্চা হওয়ার কতদিন পর নামাজ পড়া যায়
বাচ্চা হওয়ার কতদিন পর নামাজ পড়া যায় এ প্রসঙ্গে যারা জানতে চান তাদেরকে বলবো যে বাচ্চা হওয়ার পর রক্ত এবং স্রাব যদি ভাঙ্গে তাহলে এটা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আপনারা নামাজ পড়বেন না। কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে ১০ থেকে ১৫ দিনের ভিতরে এই সমস্যার সমাধান পাওয়া যায় এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটা 40 দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। যতদিন পর্যন্ত সমস্যার সমাধান না হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত আপনারা নামাজ আদায় করবেন না।