আপনারা যারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বেন বলে ঠিক করেছেন অথবা নামাজ শুরু করেছেন তাদের উদ্দেশ্যে আমরা বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করছি এবং নামাজ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো এখান থেকে জানতে পারছেন। তাই এই পোষ্টের মাধ্যমে যারা আসর নামাজ কয় রাকাত সেটা জানতে এসেছেন তাদের উদ্দেশ্যে আমরা সঠিক তথ্য প্রদান করব। আসর নামাজ কয় রাকাত সেটা জেনে নিতে পারলে আপনাদের সঠিক নিয়ম অনুসরণ করে প্রত্যেক রাকাত নামাজ সুষ্ঠুভাবে আদায় করা হবে। তাই যারা নামাজের প্রতি আগ্রহ দেখানোর উদ্দেশ্য অথবা নামাজের প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি করতে চান তাদের উদ্দেশ্যে এই নামাজ পড়াটা অত্যন্ত জরুরী।
তাছাড়া মহান আল্লাহ পাক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আমাদের জীবনে ফরজ করে দিয়েছেন এবং এটা অবশ্যই বাধ্যতামূলক ভাবে আদায় করতে হবে। কিন্তু আমরা মানুষ হিসেবে বিভিন্ন ধরনের কাজে ব্যস্ততা দেখাই এবং নামাজের ক্ষেত্রে আমরা যে দুনিয়াবী কাজের ব্যস্ততা দেখায় সেটা খুবই খারাপ একটা বিষয়। যেখানে আমরা আমাদের বাস্তবিক জীবনে না খেলে বাঁচতে পারি না অথবা নিঃশ্বাস না নিলে বাঁচতে পারে না সেখানে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আমাদের জীবনে সেরকম ভাবেই ফরজ করে দেওয়া হয়েছে।
তাই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হবে এবং ফজরে এই নামাজ আদায় করার জন্য অবশ্যই আমাদেরকে সঠিক সময় ঘুম থেকে উঠতে হবে।তাই আল্লাহপাক আমাদের জীবনে যেহেতু পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করে দিয়েছেন সেহেতু আমরা প্রত্যেক ওয়াক্তের নামাজ জামাতের সঙ্গে পড়ার চেষ্টা করব। যে সকল পুরুষ বাড়িতে নামাজ আদায় করেন অথবা জামাতে নামাজ আদায় করেন না তাদের উদ্দেশ্যে বলবো যে এটা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। একজন পুরুষ মানুষ হিসেবে আপনি যখন জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন তখন অন্যান্য জায়গায় যে নামাজ আদায় করার চাইতে জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করার কারণে 27 গুন বেশি সওয়াব অর্জন করতে পারবেন।
তবে আপনাদের এখানে প্রশ্ন হলো যে আসর নামাজ কয় রাকাত হয়। অনেক জায়গায় দেখা যায় যে আসরের নামাজ আদায় করার জন্য মুসল্লিরা মসজিদে যাই এবং সেখানে ইমামের সঙ্গে চার রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করে। কিন্তু আসরের নামাজ প্রকৃতপক্ষে ৮ রাকাত নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে অনেক সময় হাতে সময় স্বল্পতার কারণে কেউ কেউ চার রাকাত সুন্নত পড়ে না। তবে আসরের নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করার উদ্দেশ্যে গেলে অবশ্যই হাতে সময় নিয়ে যাবেন এবং চার রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করার পর ইমামের সঙ্গে চার রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করবেন।
এখানে একটা গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ আপনাদেরকে প্রদান করতে চাই যে, নামাজ হল এমন একটা এবাদত যেখানে দোয়া করা হয়, জিকর করা হয়, দরুদ শরীফ পাঠ করা হয় এবং মোনাজাত করা হয়। তাই অন্ততপক্ষে দুই রাকাত নামাজ যদি বেশি পড়ার সুযোগ আপনি পেয়ে থাকেন তাহলে সেটা কখনোই হেলায় নষ্ট করবেন না। কারণ নামাজ হলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা এবাদত এবং এর মাধ্যমে আপনি আল্লাহপাকের কাছে সিজদা করে আল্লাহপাককে আপনার মনের কথাগুলো খুলে বলতে পারছেন।
আর আল্লাহপাক সিজদারত ব্যাক্তিকে অত্যন্ত পছন্দ করে থাকেন এবং এর মাধ্যমে শয়তানকে প্রতিহত করা যায়। শয়তানকে শায়েস্তা করতে হলে অবশ্যই আপনি সিজদাতে বেশি সময় কাটাবেন এবং প্রত্যেক ওয়াক্তের নামাজের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পরিমাণ সময় দেবেন। যখনই এ পৃথিবীর সকল কিছু আপনার প্রতিকূলে চলে যাবে তখন আপনি নামাজে চলে যান দেখবেন যে সেখান থেকে প্রশান্তি নিয়ে ফিরে আসতে পেরেছেন। তাই নামাজ আমাদের জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা ইবাদতের অংশ এবং এটাই হচ্ছে জান্নাতের চাবিকাঠি।
তাই নিজেরা নামাজ পড়ার পাশাপাশি অন্যদেরকেও নামাজ পড়ার প্রতি আগ্রহ তৈরি করতে হবে। দিনের তৃতীয় ভাগের নামাজ হিসেবে আসরের নামাজ পরিচিত। তাছাড়া আসরের নামাজ পড়ার সময় হল যোহরের ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পর এবং মাগরিবের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার ১০ মিনিট আগ পর্যন্ত। তাই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার জন্য প্রতিনিয়ত দৈনন্দিন জীবনের কাজগুলো এক পাশে রেখে নামাজের সময় বের করতে হবে।