আমাদের মাতৃভাষা হচ্ছে বাংলা বাংলাতে আমরা কথা বলতে শিখেছি পৃথিবীতে আসার পরে থেকেই। মাতৃভাষা বাংলাকে নিয়ে যত বেশি আপনি জানতে পারবেন ততই বেশি আপনার জ্ঞান বৃদ্ধি পাবে তার কারণ হচ্ছে প্রতিদিন নতুন নতুন তথ্য আপনি জানতে পাবেন আমাদের মাতৃভাষা বাংলা সম্পর্কে। তবে ঘটনা দিক থেকে মাতৃভাষাকে গত ভাগে ভাগ করা হয়েছে এবং সেগুলো কি কি এ বিষয়ে যারা এখন পর্যন্ত পরিষ্কার ভাবে জানেন না অথবা যারা জানেন না মাতৃভাষা কত প্রকার এবং কি কি তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি আপনারা আমাদের এই ছোট্ট প্রতিবেদন থেকে আপনার চাহিদা সম্পন্ন যে কোন প্রশ্নের উত্তর পেতে পারেন এ সম্পর্কে।
ভাষা সাধারণত মনের ভাব প্রকাশ করার একটি মাধ্যম অর্থাৎ আপনি মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য যে এই বর্ণ বা বর্ণ সমষ্টি বাজে বাক্য ব্যবহার করেন তাদের সমষ্টিকে বলা হয়ে থাকে ভাষা। বাংলাদেশের মানুষ যারা বাঙালি তারা একমাত্র বাংলা ভাষাতেই কথা বলে তবে তাদের মধ্যে রয়েছে কিছু আঞ্চলিকতা অঞ্চল ভেদে সেই বাংলা ভাষার পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। আজকে আমরা এই বাংলা ভাষার পার্থক্য না দেখলেও আমরা যেটা জানব সেটা হচ্ছে বাংলা ভাষার কত প্রকার এবং কি কি এই সম্পর্কে। চলুন জানার চেষ্টা করি ভাষা কাকে বলে ভাষা কত প্রকার এবং কি কি।
ভাষা কাকে বলে
একেবারে সহজভাবে যদি বলি তাহলে মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য আমরা যে সকল অর্থবোধক শব্দ বলি বা লিখি তাকে ভাষা বলে। ভাষা হচ্ছে যোগাযোগের একটি সহজাত মাধ্যম। অর্থাৎ আমরা আমাদের আপনজন আমাদের প্রতিবেশী আমাদের দেশের যেকোন মানুষের সঙ্গে মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য যেই অর্থবোধক শব্দ বা শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করব সেটাকেই ভাষা বলা হবে।
আর বাঙালি হিসেবে আমরা সবসময় বাংলা ভাষাতে মনের ভাব প্রকাশ করতে পছন্দ করি তার কারণ হচ্ছে এটা আমাদের মায়ের ভাষা এবং মায়ের মুখ থেকে প্রথম আমরা এই ভাষাতে কথা বলা শিখি এবং সেখান থেকে আমাদের সবকিছু শুরু হয়। ভাষার প্রকারভেদ এবং আরো অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে যারা জানতে চাচ্ছেন তারা আমাদের সঙ্গে থেকে জেনে নিন এই বিষয়ে বিস্তারিত।
ভাষার প্রকারভেদ
ভাষাকে যদি ভাগ করা হয় তাহলে বিভিন্নভাবে ভাগ করা যেতে পারে তবে প্রধানত ভাষাকে দুইটি ভাগে ভাগ করা হয় এবং সে দুইটি ভাগের মধ্যে প্রথমটি হল মৌখিক বা তথ্য ভাষা এবং দ্বিতীয় টি হল লিখিত বা লেখ্য ভাষা। এ দুইটি ভাষা সম্পর্কে আপনাকে আগে জানতে হবে তারপরে আপনি অন্যান্য অংশগুলো ভালোভাবে বিস্তারিত আলোচনা করতে পারবেন।
মৌখিক বা তথ্য ভাষা সম্পর্কে বলতে গেলে মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য আমরা বাগযন্ত্রের সাহায্যে যে অর্থবোধক ধ্বনি বলে তাই হচ্ছে মৌখিক ভাষা। আর কি বড় ব্যাপার হচ্ছে এই মৌখিক ভাষাকে আবার দুইটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে এটা অনেকেই জানে না এবং সেই মৌখিক ভাষাকে দুইটি যে ভাগে ভাগ করা হয়েছে সেটা আমাদের কাছে সহজে বোঝার মতন একটা জিনিস। একটা হচ্ছে আঞ্চলিক ভাষা এবং আরেকটি হচ্ছে সার্বজনীন ভাষা।
আঞ্চলিক ভাষা বলতে কী বোঝানো হচ্ছে সেটা আমরা সকলেই জানি যেমন কোন নির্দিষ্ট অন্তরের মানুষের মৌখিক ভাষায় হলো আঞ্চলিক ভাষা। আর সার্বজনীন ভাষাটা হচ্ছে সকল অন্তরের মানুষের কোন একটি মৌখিক ভাষার প্রয়োগ করলে তাকে
সর্বজনীন ভাষা বলা হয়।
লিখিত ভাষার মানে হচ্ছে যে ভাষায় বিভিন্ন সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করে মনের ভাব লিখে প্রকাশ করা হয় তাকে বলা হচ্ছে। লিখিত ভাষা কেউ আবার দুই ভাগে ভাগ করা হয় একটা হচ্ছে সাধু ভাষা একটা চলিত ভাষা।