কিডনি হল শরীরের অভ্যন্তরীণ একটি সংবেদনশীল অঙ্গ। প্রত্যেকটি মানুষের দেহে দুইটি করে কিডনি অবস্থান করে। মানুষকে বেঁচে থাকার জন্য আসলে কিডনির প্রয়োজন রয়েছে। কিডনি কোমরের পিছন সাইডে ভিতরে অবস্থান করে। যেহেতু মানুষের দেহে দুইটি কিডনি থাকে তাই মানুষের বেঁচে থাকার জন্য একটি সুস্থ কিডনি যথেষ্ট। কিন্তু যেহেতু কিডনি অনেক সংবেদনশীল অঙ্গ সেই কারণে ঈশ্বর মানুষের দেহে দুইটি কিডনি দিয়েছে যাতে একটি নষ্ট হলেও হয়তো আরেকটি
দিয়ে মানুষ বেঁচে থাকতে পারে। কিডনি যেহেতু মানুষের দেহের অভ্যন্তরে অবস্থান করে তাই এই কিডনি আমরা সচরাচর চোখে দেখি না বা দেখতে পাই না। তাই সব সময় আমাদের সচেতন থাকা উচিত যে কিডনি কিভাবে ভাল থাকে বা কিভাবে ভালো রাখা যায় সেই সকল বিষয় গুলি জেনে রাখা। কারণ হলো কিডনি যেহেতু মানুষের জীবনের জীবন-মরণের একটি বিষয় তাই অবশ্যই আমাদের সব সময় খেয়াল রাখতে হবে কিডনি যেন ভালো থাকে বা ভালো রাখা যায়।
যদি কোন মানুষের দুটি কিড নেই ড্যামেজ বা নষ্ট হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই অপর কোন মানুষ বা সহৃদয় ব্যক্তি অথবা আত্মীয়স্বজনের মধ্যে যদি কেউ একটি কিডনি ওই ব্যক্তিকে দান করে থাকে তাহলে অবশ্যই সেই ব্যক্তি পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে পারে। কিন্তু এই বিষয়টি সম্পূর্ণ মানুষের নিজস্ব ব্যাপার। অর্থাৎ একজন আরেকজনকে যদি কিডনি দেয় তাহলে অবশ্যই সেই কারণগুলি নির্দিষ্ট করে জানতে হবে বা জানাতে হবে তবেই চিকিৎসক সেই ব্যক্তির কিডনি অসুস্থ ব্যক্তিকে প্রতিস্থাপন করবে। এই ধরনের সংবেদনশীল অঙ্গের আসলে নিজস্ব কোন দাম নেই।
কারণ এই বিষয়গুলি মানুষের বাঁচা মারার ওপর নির্ভর করে এর জন্য এটি অতি মূল্যবান বিষয় এটিকে আসলে কোন টাকা পয়সা বা দাম দিয়ে কেনা সম্ভব নয়। তারপরেও আপনারা যেহেতু আজকে আমাদের এখান থেকে জানতে এসেছেন যে কিডনির দাম কত এই বিষয়টি। আপনারা অবশ্যই আমাদের এখান থেকে কিডনির দাম কত সে বিষয়টি জেনে নিতে পারবেন। শরীরের ভিতরে যত অঙ্গ প্রত্যঙ্গ রয়েছে সেগুলোর মধ্যে সবচাইতে বেশি সংবেদনশীল অঙ্গ হলো ফুসফুস এর পরবর্তীতেই আসে কিডনি বা বৃক্ক।
কিন্তু এই কিডনি ভাব বৃক্কের দাম আসলে মূল্য দিয়ে পরিশোধ করা কখনো যায় না। কারণ কোন ব্যক্তির কিডনি যদি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায় তাহলে অপর কোন ব্যক্তি যদি স্ব-ইচ্ছায় দিতে না চায় তাহলে কখনোই আপনি সেটি জোর করে নিতে পারবেন না। কারণ হলো মৃত্যুভয় সবারই রয়েছে যে ব্যক্তি কিডনি দেবে সেই ব্যক্তিরও অবসর মৃত্যু হয়ে রয়েছে এই কারণে একেবারে আপনজন অথবা সেই ব্যক্তির উপর তার ভালোবাসা না থাকলে কখনো কিডনি দিতে পারেনা।
তবে কখনো কখনো মানুষ টাকার প্রয়োজনে টাকার বিনিময়ে কিডনি প্রদান করে থাকে। তবে সেগুলো কখনোই কোনো নির্দিষ্ট আহারে দাম হিসেবে দেওয়া হয় না।কিডনি যে ব্যক্তি দেবে সেই ব্যক্তির টাকার প্রয়োজনের উপর নির্ভর করে আসলে কিডনি দিয়ে তিনি কত টাকা নিবেন। তাই আমরা কখনোই নির্দিষ্ট করে বলতে পারব না যে কিডনির দাম আসলে এত টাকা হতে পারে।
তবে সকল মানুষ যেন কিডনির যত্ন নিয়ে থাকেন এবং কিডনির যেভাবে সুস্থ রাখা যায় সেই কাজগুলো যেন তারা করতে থাকেন। তাহলে অবশ্যই আপনার কিডনি ভালো থাকবে এবং কারোর কাছ থেকে দাম দিয়ে কিডনি কিন্তু হবে না এবং দেশে যেহেতু কিডনি ক্রয়-বিক্রয় হয় না তাই এ কথা অবশ্যই আমাদের মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে। তারপরও কিছু জায়গায় কোন প্রয়োজনে হয়তো কিডনির ক্রয় বিক্রয় কোনো দুষ্টচক্র করে থাকে।
তাহলে চলুন দেখি একটি সুস্থ কিডনি আসলে কত টাকা মূল্য দিয়ে ক্রয় করা যেতে পারে। কালোবাজারিতে সবচেয়ে বেশি সংবেদনশীল অঙ্গের চাহিদার মধ্যে কিডনি চাহিদা সবচাইতে বেশি। তারা যে কিডনিগুলো ক্রয় করে তাতে জীবিত মানুষের কিডনির দাম বেশি এবং মৃত মানুষের কিডনির দাম অপেক্ষাকৃত কম। জীবিত মানুষের কিডনির দাম মোটামুটি ২২,২৭০,০০০ টাকা। এবং মৃত মানুষের কিডনি দাম ১০,০৬,৪৪৬ টাকা ।