আমরা সাধারণ অর্থে তালাক শব্দের অর্থ যেটা বুঝি তা হলো বিবাহবিচ্ছেদ। তালাক শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো বিচ্ছেদ ত্যাগ ইত্যাদি বুঝিয়ে থাকে।ইসলাম ধর্মের আইন অনুসারে নিকাহ করা হয় এবং সেই নিগ্রহ বা বিয়ে যদি দুজনার মধ্যে ঠিক ভাবে না যায় তাহলে অবশ্যই সেটি তালাক ভাবে বাচ্চাদের বিধান রয়েছে। তাই ধর্মীয়ভাবে যদি আপনি বিবাহবিচ্ছেদ ঘটাতে চান তাহলে তালাক শব্দটি ব্যবহার করলে আপনার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে যাবে। তাই বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটানোর জন্য চালাক শব্দটি ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ ইসলাম ধর্মে আনুষ্ঠানিক বিবাহ বিচ্ছেদকে তালাক বলা হয়।
ধর্মের অনুশাসন অনুযায়ী ইসলাম ধর্মের স্বামী সর্বাবস্থায় স্ত্রী কে তালাক দিতে পারেন তবে স্ত্রী শুধুমাত্র তখনই তালাক দিতে পারবেন যদি বিয়ের সময় এর লিখিত অনুমতি দেওয়া হয়ে থাকে। সাধারণত ইসলামিক পরিভাষায় তালাকের অর্থ হলো বিবাহের বাঁধন খুলিয়া দেওয়া বা তুলিয়া দেওয়া। ইসলামিক নরনারীর জীবনে অর্থাৎ বিবাহিত জীবনে চূড়ান্ত বিপর্যয় থেকে স্বামী স্ত্রী উভয়কে রক্ষার জন্যই তালাকের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। অর্থাৎ স্বামী স্ত্রী এক জায়গায় থাকতে পারছে না কোনভাবেই সর্বশেষ চেষ্টা করেও তখনও তাদের যে একসঙ্গে থাকতে হবে না সেটি এই আইন দাড়ায় বোঝা যায়। অর্থাৎ স্বামী স্ত্রীর মধ্যে যদি
তালাকের প্রয়োজনীয়তা
জীবন চলার পথে বিভিন্ন ধরনের অসুবিধা সম্মুখীন হতে পারে। স্বামী স্ত্রী একসঙ্গে থাকার অঙ্গীকার নিয়ে দুজনে ধর্মীয় পরিভাষায় বিবাহ বন্ধনে নিক্ষেপ করে ফেলল। কিন্তু জীবনে চলার পথে হয়তো কিছুদিন বা অনেক সময় অতিবাহিত করার পর তাদের মধ্যে অবশ্যই মনোমালিন্য সৃষ্টি হতে পারে। সেই ভালো মানিক্য বা তাদের মধ্যেকার বিরোধ শেষ পর্যন্ত কোনভাবে কাটে উঠতে না পারলে তাদের মধ্যে অবশ্যই চরম বিরোধের সৃষ্টি হয়। আর যদি চরম বিরোধের সৃষ্টি হয় তাহলে সেখান থেকে মুক্তির উপায় হলো তাদের মধ্যে সম্পর্ক ছিন্ন করা। তাই জীবনে বিবাহ সম্পন্ন হলে
যে তার সঙ্গে একেবারে থেকে যেতে হবে এমন বিধান ইসলামে নেই। তাই ইসলাম অবশ্যই স্বামী এবং স্ত্রীকে এই চরম বিপদ থেকে উদ্ধারের জন্য একটি সুযোগ সৃষ্টি করেছে বা আইন তৈরি করেছে। আর তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের বিষয়টাই হলো স্বামী স্ত্রীকে তালাক দেওয়া। যদি কোন ভাবেই তারা দুইজন একসঙ্গে থাকতে নারাজ না থাকতে পারছে না তখন অবশ্যই তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ বা তালাক দেওয়া আবশ্যক বলে ইসলাম মনে করে। তাই ইসলামে তালাক দেওয়ার বিধান রয়েছে বা তালাক দেওয়াটা আবশ্যক বলেই মনে করেন।
তালাকের উদ্দেশ্য
তালাক প্রদানের অবশ্যই উদ্দেশ্য রয়েছে। উদ্দেশ্য হল অন্যায় জুলুম ও নির্ধারণ কষ্ট জ্বালাতন ও উত্তীর্ণ ইত্যাদি অশান্তি হতে স্বামী স্ত্রী উভয়কেই মুক্তি দিতে পারে এই তালাক। তাই বলা যায় যে প্রকৃতপক্ষে ইসলামে তালাক প্রদানের যে উদ্দেশ্য তা হল দুইজন নরনারী অর্থাৎ স্বামী স্ত্রী অশান্তির আগুন থেকে মুক্ত হওয়ার পথ। স্বামী ও স্ত্রী উভয়ের মধ্যে যে সকল অশান্তি
সৃষ্টিকারী কারণ বা কারণসমূহ রয়েছে তা যদি কোন মতেই রাঘব না হয় বা সংশোধন এর চেষ্টা করেও সংশোধিত না হয় তাহলে অবশ্যই সেখান থেকে তাদের সম্পর্ক ছিন্ন করে বেরিয়ে আসা। অর্থাৎ তালাকের মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটানো। অর্থাৎ এদিক থেকে চিন্তা করলে বলা যায় যে তাল াক এরকম অশান্তি জীবন যাপন থেকে উভয়কে মুক্তি দিয়ে পুনরায় তারা নতুন ভাবে সুন্দর জীবন যাপন করার পথ মাত্র।
তালাক দিতে কত টাকা লাগে
তালাক দিতে আপনাকে যে টাকা পয়সা গুলো খরচ করতে হবে তার বিবরণ হল এরকম। তালাক রেজিস্ট্রি খরচ, অর্থাৎ তালাক রেজিস্ট্রি ফি ৫০০ টাকা। নকল প্রাপ্তি ফি ৫০ টাকা। যাতাচ্ছি প্রতিক কিলোমিটার 10 টাকা। তাহলে আপনি এবার মোট যোগ করলে যে টাকাটা হয় সেটি সাধারণত তালাক দিতে ব্যয় হবে বলে মনে করা হয়।