যারা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে টিন সার্টিফিকেট তৈরি করতে চাইছেন তাদের আসলে কত টাকা খরচ হতে পারে সে প্রসঙ্গে আজকে এখানে আলোচনা করব। তিন সার্টিফিকেট করে রাখতে পারলে আপনাকে হয়তো বছরে কর অফিসে কর প্রদান করতে হবে। কিন্তু এটার মাধ্যমে আপনি আপনার টাকা পয়সার পর পরিশোধ করছেন বলে কোন ধরনের ঝামেলায় পড়বেন না এবং পরবর্তীতে অনেক বেশি টাকা হয়ে গেল সেটা সঠিক সম্পদের পরিমাণ আপনারা দেখাতে পারবেন।
সাধারণত আপনি যদি একটা টিম সার্টিফিকেট তৈরি করে থাকেন তাহলে সেটা অনলাইন সার্ভিসের দোকানে গিয়ে আপনাকে তৈরি করতে হবে অথবা ঘরে বসেও করা যাবে। টিন সার্টিফিকেট তৈরি করতে বেশ কিছু তথ্যের প্রয়োজন হয় এবং এই তথ্যগুলো দিয়ে আপনারা অনলাইনে খুব সহজে রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন। যেহেতু অনেকেই এ বিষয়ে একেবারে অবগত নয় সেহেতু তাদের জন্য অনলাইন সার্ভিস নেওয়াটাই সবচাইতে ভালো হবে। যদি আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে এই সার্টিফিকেট করতে চান অথবা আপনার প্রতিষ্ঠানকে অথবা সম্পদকে অনলাইনভুক্ত করতে চান তাহলে অবশ্যই তিন সার্টিফিকেট তৈরি করাটা জরুরী।
সাম্প্রতিক সময়ে একটি অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে আমরা জানতে পেরেছি যে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের যে আঞ্চলিক অফিস রয়েছে সেখান থেকে যদি আপনারা কোন ধরনের লাইসেন্স গ্রহণ করতে চান তাহলে তাদের নিয়ম অনুযায়ী একটা টিন সার্টিফিকেট করতে হবে। অর্থাৎ যেখানে আপনারা একটা টিন সার্টিফিকেট এমন ভাবে তৈরি করবেন যাতে করে আপনার প্রতিষ্ঠানের নাম অনলাইনের মাধ্যমে খুঁজে পাওয়া যায়। আর সেই তথ্যের ভিত্তিতে আমরা যখন টিন সার্টিফিকেট তৈরি করা প্রসঙ্গে কারো কাছে গিয়ে থাকি তখন তারা আমাদেরকে সে বিষয়ে সঠিক ধারণা প্রদান করতে পারে।
অর্থাৎ আপনি যদি টিন সার্টিফিকেট বানাতে চান তাহলে আপনার প্রতিষ্ঠানে কত টাকার মালামাল রয়েছে অথবা কত টাকার সম্পদ রয়েছে সেগুলো কিন্তু খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে না। তবে ন্যূনতম যে অংক রয়েছে সেটা কিন্তু দেখাতে হবে। আপনার প্রতিষ্ঠান থেকে এখন যদি বছরে ১ লাখ টাকাও ইনকাম হয় তাহলে আপনি হয়তো সেই লাইসেন্স তৈরি করার সুবাদে দেখাবেন যে আপনার প্রতিষ্ঠান থেকে বর্তমান সময়ে তিন অক্ষর ৫০ হাজার টাকার উর্ধ্বে ইনকাম হচ্ছে। আর এ বিষয়গুলো যদি না দেখান তাহলে টিন সার্টিফিকেট তৈরি করতে পারবেন না এবং অনেক সরকারি অফিসিয়াল সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন না।
অর্থাৎ তিন সার্টিফিকেটের ব্যাপারে বর্তমান সময়ে একটা অফিসের সঙ্গে আর একটা অফিস এর যোগাযোগ রয়েছে অথবা একটার সঙ্গে আরেকটা সম্পর্ক স্থাপন করা হচ্ছে বলে এগুলো জরুরি হয়ে পড়েছে। আপনার প্রতিষ্ঠানের ইনকাম যদি বর্তমান সময়ে তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা নাও হয়ে থাকে তারপরও কিন্তু আপনাকে এটা নিজের প্রয়োজনে করতে হবে এবং পরবর্তীতে ইনকাম যদি বৃদ্ধি পায় তাহলে এই সার্টিফিকেট দিয়েই অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা যাবে।
টিন সার্টিফিকেট এর খরচ কত
তাই টিন সার্টিফিকেট এর খরচ কত সে প্রসঙ্গে আমরা সেই ভিত্তিতে জানতে পেরেছি যে তিন লক্ষ 50 হাজার টাকার উর্ধ্বে যদি ইনকাম দেখাতে পারেন তাহলে আপনাকে মোটামুটি ভাবে তিন হাজার টাকার মত খরচ করে এই সার্টিফিকেটের কর পরিশোধ করতে হবে। যদিও এটা কর অফিসের কোন একজন ব্যক্তির থেকে তথ্য জানা হয়েছে তারপরও আপনারা বিভিন্ন জায়গায় অথবা বড় অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করে সঠিক তথ্য জানতে পারেন। এভাবে আপনারা টিন সার্টিফিকেট তৈরি করে রাখতে পারেন যাতে ভবিষ্যতে আপনার প্রতিষ্ঠানের ভালুয়েশন দেখাতে পারেন এবং আপনি যে কর পরিশোধ করছেন তার একটা প্রমাণপত্র হিসেবে সেটা থেকে গেল।
টিন সার্টিফিকেট এর খরচের পরিমাণ
জমি কেনা থেকে শুরু করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে আপনারা যখন টাকা খরচ করবেন তখন সেই টাকার উৎস কি অথবা সেই টাকার পরিশোধ করছেন কিনা তার একটা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কিন্তু কর্পোরেশন এর অফিসে লাগে। আর সেই ভিত্তিতেই টিন সার্টিফিকেটের গুরুত্ব দিনে বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে এবং অনেকে সেটা তৈরি করে নিচ্ছে। যদিও অনলাইনে তথ্য রেজিস্ট্রেশন করতে কোন সমস্যা নেই তারপরও প্রতিষ্ঠানের নাম ভুক্ত করার জন্য অথবা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করার জন্য আপনারা এই কাজগুলো করে নিতে পারেন।