বিয়ে করতে কত টাকা লাগে

বিয়ে এমন একটা সামাজিক অনুষ্ঠানের নাম যেখানে আপনি যত খরচ করবেন তত খরচ হবে। তবে হিন্দু ধর্মালম্বীদের বিয়েতে প্রচুর ধরনের নিয়ম রয়েছে অথবা তাদের নিয়ম গুলো কোনভাবেই এড়িয়ে চলা যায় না বলে বিয়েতে অনেক খরচ হয়। আপনি যদি মুসলমান ধর্মের অনুসারী হয়ে থাকেন তাহলে বিয়ের অনুষ্ঠান খুবই স্বল্প খরচে চাইলেই করা যাবে। তাই বিয়ে করতে কত টাকা লাগে সে প্রসঙ্গেই এখানে আপনাদের ধারণা প্রদান করা হবে। যারা টাকা নিয়ে বিয়ের দিনগুলো পিছিয়ে দিতে চাইছেন তারা হয়তো চাহিদাগুলো সীমিত করে এই ভালো কাজটি খুব দ্রুত সম্পন্ন করতে পারবেন।

ধর্মীয় এবং সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিয়ে এমন একটা সম্পর্কের নাম যেটার মাধ্যমে একজন নারী এবং একজন পুরুষ একত্রে থাকার আজীবনের সুযোগ পাবে। সুতরাং বিয়ের মাধ্যমে একটা মানুষ নিজের জীবনের পূর্ণতা যেমন খুঁজে পাই তেমনি সকল দিক থেকে তার ভেতরে প্রত্যেকটি কাজের জন্য নিয়ন্ত্রণ চলে আসে। উদ্দেশ্যহীন বা লক্ষ্যহীন অথবা অলস মানুষের জন্য বিয়ে এমন একটা সমাধান যেটার মাধ্যমে তাকে বিভিন্ন কাজে উদ্যোগী ভূমিকা রাখতে সাহায্য করে।

সুতরাং বিয়ে করব না অথবা বিয়ের জন্য অনেক টাকা খরচ হয় এমন ধরনের মানসিকতার মানুষকে বলবো যে এটা এমন একটা বিষয় যেটার মাধ্যমে আপনি নিজের জীবনের পূর্ণতা খুঁজে পাবেন। হারাম সম্পর্কের চাইতে আপনি যখন হালাল সম্পর্কে আসবেন তখন আপনার অন্যদিকে যেমন অতিরিক্ত সময় নষ্ট হবে না তেমনি ভাবে মনের মধ্যে একটা লক্ষ্য স্থির করে কাজ করতে লাগলো সেখানে সফলতা চলে আসবে। তবে বিয়ে করতে অনেক টাকা খরচ হয় অথবা ঢাক ঢোল পিটিয়ে যখন আপনারা বিয়ে করবেন তখন বিভিন্ন ধরনের খরচ সংযুক্ত হয় বলে মনে করে থাকেন বিয়ের মতো অনুষ্ঠানে হয়তো লাখ লাখ টাকা না থাকলে করা যাবে না।

তবে দুঃখজনক হলেও এটা সত্যি যে বর্তমান সময়ে রিলেশনে জড়িয়ে অনেক ছেলে ও মেয়ে খুবই কম খরচে শহরের মতো বিভিন্ন কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করে নিচ্ছেন।তাই বিয়ের আনুসাঙ্গিক খরচ আমরা যদি তুলে ধরার চেষ্টা করি তাহলে হয়তো সেটা লক্ষ লক্ষ টাকাতেও কুল পাওয়া যাবে না। কিন্তু বিয়ের জন্য যে অফিশিয়াল খরচ নির্ধারণ করা হয়ে থাকে সেটার যে খরচ রয়েছে সেটাই আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব যাতে করে এ বিষয়ে আপনারা ধারণা অর্জন করে নিতে পারেন।

বিয়ে করতে কি কি লাগে

বিয়ে করতে কি কি লাগে এই প্রসঙ্গে যদি জানতে চান তাহলে বলবো যে নির্দিষ্ট বয়স পার করার পরেই আপনাকে বিয়ের অনুমতি প্রদান করা হবে। মেয়েদের ক্ষেত্রে ১৮ বছর এবং ছেলেদের ক্ষেত্রে ২১ বছর বয়সে আমাদের দেশে বিয়ের সময়সীমা নির্ধারণ করার কারণে অবশ্যই ছেলেমেয়ের আইডি কার্ড থাকতে হবে অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদ থাকতে হবে। সেই সাথে যারা সাক্ষী দিচ্ছেন তাদের আইডি কার্ডের তথ্য প্রদান করতে হবে এবং বিয়ের জন্য যে টাকার পরিমাণ লাগে সে ক্ষেত্রে বলবো যে ১ হাজার ২০০ টাকা অফিশিয়াল কাজে ফি গ্রহণ করা হয়।

বিয়ে করতে কত বয়স লাগে

এখানে এক হাজার দুশো টাকার কথা উল্লেখ থেকে থাকলেও অনেক জায়গায় বিভিন্ন এমাউন্ট দাবি করা হয় অথবা খুশি করার জন্য তাদেরকে একটু বেশি পরিমাণে দেওয়া হয়। বিশেষ করে বিয়ে করতে কত বয়স লাগে সে প্রসঙ্গে আমরা একটু পরে বলছি এবং এই ক্ষেত্রে আপনারা মোটামুটি ভাবে শুধু কাজই খরচ ধরতে চাইলে বলবো যে দুই থেকে তিন হাজার টাকার মধ্যে বিয়ের কাজগুলো সম্পন্ন করতে পারবেন। আর বিয়ে করার ক্ষেত্রে কত বয়স লাগে এই প্রসঙ্গে যদি জানতে চান তাহলে ছেলেদের ক্ষেত্রে ২১ এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে ১৮ বছর লাগে।

বিয়ে করতে কতজন সাক্ষী লাগে

বিয়ে করতে কতজন সাক্ষী লাগে সেটার যদি উত্তর জানতে চান তাহলে তিন থেকে চারজন সাক্ষী লাগে। ছেলের ক্ষেত্রে দুইজন এবং মেয়ের ক্ষেত্রে দুইজন সাক্ষী থাকলে বিয়ের অনুষ্ঠানগুলো সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়। যেহেতু ছেলে মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক হয়েছে সেই তো অনেক সময় নিজেদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে নিজেরাই বিয়ে করে নিতে চাই। বিয়ে করতে কতজন সাক্ষী রাখে সেটার উত্তর আশা করি পেয়ে গিয়েছেন এবং এ প্রসঙ্গে যদি আপনারা আর কোন প্রশ্ন করতে চান তাহলে করতে পারেন।

Leave a Comment