বাংলাদেশ থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যেতে বিভিন্ন পরিমাণের টাকা প্রয়োজন হয়। আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোতে যেতে অনেক কম টাকা খরচ হয় কিন্তু দূরবর্তী কোনো দেশ যেমন আমেরিকা কানাডা অস্ট্রেলিয়া এ সকল দেশে যেতে আমাদের অনেকগুলো টাকা খরচ হয়ে থাকে। আজকে আমরা দেখব যে আমাদের দেশ থেকে অন্যান্য দেশে যেতে কত টাকা খরচ হয় সেই বিষয়টি।
কারণ বিভিন্ন দেশের ভিসা পেতে ভিসা ফি হিসেবে আলাদা আলাদা টাকা খরচ করতে হয় কিন্তু সেটিতে রয়েছে এছাড়াও যে সকল দেশে যেতে বিমান ভাড়া বেশি লাগে সেটিতেও বেশি খরচ হয়ে যায়। তাই দেখা যায় যে বাংলাদেশ থেকে যে সকল দেশের বিমান যোগ বাদ দিয়ে স্থলপথে যাওয়া যায় সে সকল দেশের কম টাকাতেই আপনি যাতায়াত করতে পারবেন। কিন্তু যেহেতু এখন বিমান এক দেশ থেকে আরেক দেশে বিমান পথে যাওয়ার বিষয়টাই সবচেয়ে বেশি দেখা হয় তাই বিমানভরের উপর নির্ভর করে কোন দেশে যেতে কত টাকা খরচ হবে।
আর কিছু কিছু দেশে ভিসা পেতে ভিসা ফ্রি দিতে হয় সেই ভিসা ফি কত টাকা সে বিষয়ে আলাদা আলাদা দেশে আলাদা অর্থ ভিসা ফ্রি হিসেবে দিতে হয়। তাই আপনি বিশ্বের কোন দেশে যাবেন সেই দেশে হিসাব করে সেই দেশের ফ্রি অর্থাৎ ভিসা ফি যাতায়াত খরচ এবং সেখানে থাকা খাওয়ার জন্য কেমন খরচ হতে পারে এ সকল যাবতীয় বিষয় মিলে আপনাকে হিসাব দেওয়া যেতে পারে আপনি সেই দেশে কত টাকা খরচ করলে গিয়ে ঘুরে আসতে পারবেন। কারণ একাক দেশের ভিসা ফি
আলাদা এবং চিকিৎসার ক্ষেত্রে ভিসা ফি একরকম সেখানে কাজ করতে গেলে তার ভিসা ফি একরকম এবং আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে চান তাহলে সেই স্টুডেন্ট ভিসার ফি আলাদা আলাদা রয়েছে। তাই আপনাকে বিভিন্ন দেশে যেতে অবশ্যই বিভিন্ন পরিমাণে অর্থ খরচ করা লাগতে পারে। আবার আপনি যদি মনে করেন আপনার পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশগুলোতে অর্থাৎ মায়ানমার ভারত পাকিস্তান নেপাল ভুটান এ সকল দেশে যেতে হলে আপনাকে বাইয়ার অর্থাৎ প্লেনে যেতে হবে নইলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভারতের স্থলভাগ ব্যবহার করতে হবে।
তাই এসব দেশের স্থলপথে যেতে হলেও আপনাকে কম খরচে হয়ে যাবে কিন্তু সেই ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে আপনাকে ট্রানজিট ভিসা করতে হয়। এবং ট্রানজিট ভিসা ফ্রি একরকম এবং সেই দেশে টুরিস্ট একরকম তাই আলাদা আলাদা ভাবে আলাদা টাকায় খরচ হয় আপনার। দূরবর্তী যত দেশ হবে সে সকল দেশে যেতে বেশি টাকা খরচ হবে কারণ সে সকল দেশে যেতে আপনার প্লেন ভাড়া অর্থাৎ বিমান ভাড়া বেশি লাগবে।আবার আমাদের বাংলাদেশের সাথে সরাসরি সকল দেশের যে প্লেন যোগাযোগ বা বিমান যোগাযোগ রয়েছে এমনও নয়।
অনেক দেশের বিমানে করে যেতে আপনাকে ঘোর পথে যেতে হয় তাহলে ঘুর পথে যদি যেতে হয় তাহলে অবশ্যই সেখানে কম টাকা খরচ হবে না সেখানে অনেক বেশি টাকা খরচ হবে। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক বিমানগুলো সব সময় বাংলাদেশ থেকে সরাসরি সেই দেশে গিয়ে পৌঁছায় না। ওই সকল দেশে অর্থাৎ ঘুর পথে যে সকল দেশে বিমান নিয়ে যায় সেখানকার বিমানভরা অনেক বেশি এবং সরাসরি যে দেশের সাথে বিমান যোগাযোগ রয়েছে সেই দেশের বিমান ভরা কম।
তাই আপনার পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত পাকিস্তান নেপাল ভুটানে যেতে যদি স্থলপথে যেতে চান তাহলে আপনাকে মোটামুটি ভাবে ৫০ থেকে ৭৫ হাজার বাংলাদেশী টাকা হলেই আপনি ঘুরে আসতে পারবেন। আবার ইউরোপের কোন দেশে যেতে হলে আপনাকে প্রায় 8 থেকে 10 লক্ষ টাকা খরচ করতে হবে। জার্মানি যেতে হলে আপনাকে মোটামুটি 8 থেকে 12 লক্ষ টাকা খরচ করতে হবে। তাই আপনাকে অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে আপনি কোন দেশে যাবেন পার্শ্ববর্তী কোন দেশ অথবা ইউরোপের কোন দেশ অথবা আমেরিকার কোন দেশে। এ ধরনের যে কোন তথ্য পেতে আপনারা অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে পাশে থাকতে পারেন।