আসসালামু আলাইকুম সবাইকে। আজকে এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন দুবাই দেশ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা। বাংলাদেশের নাগরিক অথবা দেশের যেকোন প্রান্ত থেকে যারা দুবাই যেতে চায় এবং দুবাই যাওয়ার আগ্রহ যাদের রয়েছে তাদের এসব তথ্য অবশ্যই জেনে নেওয়া উচিত।আপনি যদি দুবাই যেতে চান অথবা আপনার পরিচিত যদি কেউ দুবাই গিয়ে থাকে তাহলে পাঁচ মিনিট সময় নিয়ে আমাদের এই আর্টিকেলটি অবশ্যই পড়বেন।
এখন বাংলাদেশে অধিকাংশ যুবকদের একটাই চাওয়া যে কোন একটা ভাল দেশে যেতে পারলে আর্থিকভাবে সচ্ছল হওয়া সম্ভব। এখন আমরা যে কোন উপায়ে আর্থিকভাবে সচ্ছল হতে চাই। এটাই আমাদের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগে বাংলাদেশে বেকারত্বের সমস্যা এতটাই বেশি ছিল যে বাংলাদেশের দিন দিন দরিদ্রের হার বেড়ে চলেছে। কিন্তু সম্প্রীতি প্রবাস নাগরিকদের কল্যাণে বাংলাদেশের দরিদ্র সংখ্যা অনেক কমে গেছে এবং রেমিটেন্সের প্রবাহ দিন দিন বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পেছনে বড় একটি খাত আসে বৈদেশিক মুদ্রা থেকে। আর এই বৈদেশিক মুদ্রা বিভিন্ন খাত থেকে আসে তাদের মধ্যে অন্যতম হলো রেমিটেন্স।
বাংলাদেশের অশিক্ষিত নাগরিক যারা বাংলাদেশে বসবাস রত অবস্থায় খুব কম পারিশ্রমিক উপার্জন করত এবং এর দ্বারা তাদের সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে পড়তো।কিন্তু সেই শ্রমিকরা তাদের কায়িক পরিশ্রমের ফলে শারীরিক সুস্থতার কারণে বিদেশে গিয়ে শ্রম বিনিময়ের মাধ্যমে বিদেশি ডলার ইনকাম করতে পারছে। এবং সেই অর্থ দেশে প্রেরণ করার মাধ্যমে নিজের পরিবারদের সুখ শান্তি ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। এজন্য বিশেষ করে বাংলাদেশে অধিকাংশ ছেলেদের এখন বিদেশের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ পাচ্ছে।
প্রতিবছর বাংলাদেশী নাগরিকগণ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কাজের উদ্দেশ্যে যায়। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে উন্নত দেশগুলোতে যেতে হলে মোটা অংকের অর্থের প্রয়োজন। বাংলাদেশ একটি গ্রাম প্রধান এবং দরিদ্র দেশ হওয়াতেই বিদেশ যাতায়াতের খরচ অর্থাৎ ভিসা এবং পাসপোর্ট বাবদ যাবতীয় খরচ বহন করতে অক্ষম বাংলাদেশের অধিকাংশ পরিবার। তাই কোন দেশে যেতে কত টাকা আনুমানিক খরচ হতে পারে এর ধারণা আমরা সবাই জানতে চাই। অনেক সময় অনেকে অজ্ঞতা এবং অসচেতনতার ফলে ভোগান্তির শিকার হয় ,অনেকে ভুল জায়গায় টাকা দিয়ে ঠকে যায়।
আবার অনেকে দুর্নীতির শিকার হয় এবং যদি কোন দেশে যেতে 2 লক্ষ টাকা লাগে তাহলে সেখানে তাদের অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়। এজন্য এটা জানা খুবই দরকার যে কোন দেশে যেতে বাংলাদেশ থেকে কত টাকা লাগতে পারে?
তাই আমাদের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা আপনাদের সঠিক তথ্য সরবরাহ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।উন্নত দেশগুলোতে পাসপোর্ট এবং ভিসা তৈরি করতে অনেক টাকা প্রয়োজন হয় । যেমন সিঙ্গাপুর এবং আমেরিকা এর মতো উন্নত দেশগুলোতে যদি কেউ বাংলাদেশ থেকে যেতে চায় তাহলে সেটা অনেক ব্যয়বহুল হয়ে যায়। আরো অনেক দেশ রয়েছে যে দেশগুলোতে প্রতিবছর বাংলাদেশী কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়। যেমন দুবাই, মালয়েশিয়া ,সৌদি আরব ইত্যাদি। এখন জেনে নিন বাংলাদেশ থেকে দুবাই যেতে সবকিছু মিলিয়ে মোট কত টাকা খরচ হতে পারে।
দুবাই যেতে আনুমানিক কত টাকা খরচ হতে পারে মোট
বাংলাদেশ থেকে যদি কেউ দুবাই যেতে চায় তাহলে বৈধ উপায় তার চার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। তবে এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে ট্রাভেল এজেন্সি এবং এয়ারলাইন্সের ওপর। এটা বিভিন্ন রকম হতে পারে অর্থাৎ এই অর্থের অংক প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল। এর থেকে কম বা বেশি হতে পারে। তবে আনুমানিক চার লক্ষ টাকা ধরে নিতে হবে। বিভিন্ন রকমের ভিসা রয়েছে যদি আপনি ঘুরতে যান তাহলে আপনার এত টাকা খরচ হবে না।
তবে ভিসার দাম সম্পন্ন নির্ভর করছে ভিসার ক্যাটাগরির উপর।
যেমন দুবাই ভিজিট ভিসা খরচ সিঙ্গেল ট্রিপ ৩০ দিনের জন্য ১৪ হাজার ৫০০ টাকা। এবং এর থেকেও কিছু পরিবর্তন অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা হয়। তুমি বাংলাদেশ থেকে সম্পূর্ণ দুবাই পৌঁছাতে মোট ৫-৬ লক্ষ টাকা খরচ হয়।আশা করছি আমাদের দেওয়ায় তথ্য থেকে আপনি কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন। এতক্ষণ পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।