দেশ হিসেবে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া অনেক শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। ১৯৫০ থেকে ১৯৫৩ সাল কোরিয়া যুদ্ধের পরে ধ্বংসপ্রায় দক্ষিণ কোরিয়া ১৯৯৩ সালে এসে বিশ্বের সবচাইতে বড় অর্থনীতিগুলির একটিতে পরিণত হয়। বর্তমানেও এই দেশ অর্থনৈতিক দিক থেকে অনেকটাই শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। তাই বাংলাদেশ থেকে শুধু নয় পৃথিবীর অন্যান্য দেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়া প্রতি বছর প্রচুর পরিমাণে শ্রমিক কর্মচারী নিয়ে থাকে। আর বাংলাদেশ থেকে অনেক দক্ষ শ্রমিক কর্মচারী প্রত্যেক বছর কোরিয়া যদি থাকে। যদি আমাদের বাংলাদেশ থেকে কেউ দক্ষিণ কোরিয়া যেতে চায় তাহলে তাকে অবশ্যই কিছু নিয়ম-
নীতি মেনে তারপরে দক্ষিণ কোরিয়া যেতে হবে। যেমন প্রাথমিকভাবে তাকে অবশ্যই বাংলাদেশের যে সরকারি শ্রমিক পাঠানোর সংস্থা রয়েছে সরকারিভাবে সেখানে আবেদন করতে হবে। আবেদন করলে কাজের জন্য যেতে চাওয়া ব্যক্তিদের মধ্য থেকে লটারি হবে। লটারিতে যদি নাম উঠে তখন তাকে অবশ্যই দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রসেসিং করতে হবে। এবং তাকে অবশ্যই কোরিয়ান ভাষা শেখার জন্য বিভিন্ন কোরিয়ান ভাষা শিক্ষা কেন্দ্রে ভর্তি হতে হবে। মোটকথা করে কাজ করতে যেতে হলে অবশ্যই কোরিয়ান ভাষা শেখা জরুরি বলে মনে করি।
দক্ষিণ কোরিয়া যেতে যা যা করতে হবে
আপনার নাম যদি লটারির মাধ্যমে উঠে থাকে তাহলে আপনাকে অবশ্যই আরো কিছু প্রসেসিং এর মধ্যে দিয়ে গিয়ে তারপরে দক্ষিণ কোরিয়া যেতে পারবেন। যেমন লটারির মাধ্যমে আপনি যদি নাম উঠে আসে তাহলে আপনাকে অবশ্যই কোরিয়ার ভাষা শিখতে হবে। একদিকে যেমন কোরিয়ার ভাষা শিখতে হবে অপরদিকে আপনাকে কোরিয়া যাওয়ার জন্য ভিসা প্রসেসিং করতে হবে। ভিসা প্রসেসিং করার ক্ষেত্রে আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট সব কাগজপত্র এবং আপনার দেশের সকল বৈধক কাগজপত্র তাদের কাছে জমা দিতে হবে। নাগরিকত্ব সংক্রান্ত এবং অন্যান্য বিষয় সংক্রান্ত সব বিষয়গুলি তারা দেখে আপনাকে ভিসা দিবে।
তারপর ভিসা হয়ে গেলে আপনাকে দেখে নেবে যে আপনি করিয়া ভাষা জানেন কিনা। যদি কোরিয়ান ভাষা আপনি জানেন তখনই আপনাকে তারা সিলেক্ট করবে কোরিয়া যাওয়ার জন্য। তাই ভিসার সাথে সাথে আপনাকে অবশ্যই পূর্ব শর্ত হিসেবে মানতে হবে কোরিয়ান ভাষা শিক্ষা। তারপর সঠিকভাবে কাগজপত্র জমা দেওয়ার পর যদি আপনাকে তারা ভিসা দেয় তাহলে অবশ্যই আপনি দক্ষিণ কোরিয়া যেতে পারবেন কাজের জন্য। এবং সেখানে গিয়ে কোন ধরনের অবৈধ কাজের সঙ্গে কখনোই জড়ানো যাবে না তাহলে আপনার ভিসা বাতিল হয়ে যেতে পারে।
দক্ষিণ কোরিয়া যেতে কত টাকা লাগবে
যারা বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় কাজ করার উদ্দেশ্যে যেতে চান তাদেরকে মোটামুটি ভাবে ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা খরচ হবে। তবে যাওয়ার জন্য আপনাকে যে যে বিষয়গুলি জোগাড় করতে হবে সেগুলো হলো –
বাংলাদেশি পাসপোর্ট তার সাথে দক্ষিণ কোরিয়ার ভিসা। মেডিকেল পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, রেজিস্ট্রেশন ও পরীক্ষা, ট্রেনিং সার্টিফিকেট ইত্যাদি। আর ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকার মধ্যে রয়েছে বিমান ভাড়া বাবদ এক লক্ষ 35 হাজার টাকা। পাসপোর্ট তৈরি করতে 8 থেকে 10 হাজার টাকা। দক্ষিণ কোরিয়ার ভাষা শিখার জন্য আপনাকে খরচ করতে হবে ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। রেজিস্ট্রেশন ও পরীক্ষার জন্য ৪০০০ টাকা,মেডিকেল ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করতে খরচ হবে 8 থেকে 10 হাজার টাকা। ট্রেনিং সার্টিফিকেট বের করতে আপনার খরচ হবে ১০ হাজার টাকা থেকে ১৫০০০ টাকা এবং জামানত ও ফ্লাইট এক লক্ষ টাকা জমা দিতে হবে। তাহলে আপনারা অবশ্যই বুঝে নিতে পারলেন যে আপনি যদি দক্ষিণ কোরিয়া যেতে চান তাহলে আপনাকে মোটামুটি ভাবে আট থেকে দশ লক্ষ টাকা খরচ করতে হবে যাওয়ার পূর্বেই। এ ধরনের আরো তথ্য পাওয়ার জন্য আপনারা অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট বারবার ভিজিট করে আমাদের পাশে থাকবেন। তাহলে সব ধরনের তথ্য সবার আগে আমাদের এখান থেকে পেয়ে যাবেন।