জন্ম নিবন্ধন করতে কত টাকা লাগে

বর্তমান সময়ে জন্ম নিবন্ধন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলেই মনে করা হয়। কারণ হচ্ছে যে জন্ম নিবন্ধন না থাকলে শিশু যে এই দেশের নাগরিক সেটি বিবেচনায় করা হয় না। বর্তমান সময়ে সরকার ঘোষিত বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে বাংলাদেশের সকল পৌরসভা সিটি কর্পোরেশন ইউনিয়নস কাউন্সিল থেকে দেওয়া হয়ে থাকে। তাই শিশুদের বা গর্ভবতী মায়েদের এই সকল সুযোগ-সুবিধা পেতে হলে অবশ্যই জন্মের পর শিশুর জন্ম নিবন্ধন অথবা গর্ভকালীন সময়ে অবশ্যই বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে টীকা কার্ড এ নিবন্ধন বা নিবন্ধিত হতে হয়। তাই জন্ম নিবন্ধন সকলকে করা উচিত। একটি শিশু জন্মগ্রহণের তিন দিনের মধ্যে অবশ্যই আপনার ইউনিয়ন কাউন্সিল পৌরসভা অথবা সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলে গিয়ে আপনি আপনার শিশুর জন্ম নিবন্ধন করিয়ে নেবেন বলে আশা করি।

জন্ম নিবন্ধন এর প্রয়োজনীয়তা

একটি শিশু জন্মগ্রহণের পর যদি জন্ম নিবন্ধন না করা হয় তাহলে অবশ্যই ওই শিশু বাংলাদেশের বা আমাদের দেশের সন্তান বলে কখনোই গণ্য করা হবে না। আবার শিশুর জন্ম নিবন্ধন না হলে সরকারের কাছে যে হিসাব নিকাশ থাকে বাংলাদেশের জনসংখ্যা বা জনসংখ্যার কত ভাগ শিশু বা দেশে শিশুর সংখ্যা কত সেই বিষয়গুলি। আর যদি নিবন্ধন না করে থাকি তাহলে সরকার যেহেতু শিশুদের জন্য বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নমূলক বা শিশুর স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রকল্প চালু করে থাকেন বা চালু করেছেন সে সুযোগ-সুবিধা গুলি পাওয়া সম্ভব নয়। কারণ একটি শিশুর সম্পূর্ণ তথ্য যদি দেশের কাছে অর্থাৎ স্থানীয় সরকারের কাছে না থাকে তাহলে কিভাবে সেই

শিশুকে সেই সব সুযোগ সুবিধা গুলো পাইয়ে দেওয়া যায়। তাই মনে করা হয় যে প্রত্যেকটি শিশুর জন্মের সাথে সাথে অবশ্যই তা সরকারি বহিতে নিবন্ধন দেওয়া জরুরী। আবার যদি জন্ম নিবন্ধন না হয় তাহলে ভবিষ্যতে সে দেশের নাগরিকও হতে পারবেনা। আর নাগরিক যদি না হয় তাহলে দেশের দেওয়া অর্থাৎ রাষ্ট্রপ্রদত্ত বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা যেমন চাকরি ভাতা বা অন্যান্য যে সকল সুযোগ সুবিধা নাগরিক সুযোগ-সুবিধা গুলো থেকে বঞ্চিত হবে। আর এই কারণে আমাদের সকলকে অবশ্যই সচেতন হতে হবে এবং শিশুর জন্মের পরে অবশ্যই শিশুকে জন্ম নিবন্ধিত হতে হবে বা করতে হবে।

জন্ম নিবন্ধন করতে টাকা

এক সমাজ জন্ম নিবন্ধন করতে কোন ধরনের টাকা পয়সা খরচ হতো না। কিন্তু বর্তমান সময়ে বেশ কিছু কার্য সম্পাদন করার নিমিত্তে কিছু টাকা জন্ম নিবন্ধন করার জন্য খরচ হয়ে থাকে। যেমন বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপে দেশ জোরে সোরেই মানুষের সামনে উপস্থিত হচ্ছে বা হয়েছে। আর এই কারণে দেশের সব কাজগুলোই অনলাইনে সম্পন্ন করতে হয়। জন্ম নিবন্ধন এর জন্য আপনি যেহেতু আপনার পৌরসভা ইউনিয়ন পরিষদ অথবা সিটি কর্পোরেশনে আবেদন করবেন তাহলে বা তখন আপনাকে অবশ্যই অনলাইনে আবেদন করতে হয়।

আর আপনি যদি নিজে নিজে আবেদনটি করতে না পারেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে টাকা পয়সা খরচ করে অন্যের কাছ থেকে আবেদনটা করে নিতে হবে। আবেদন করা সম্পন্ন হলেই আপনার আবেদন ফরমটি পৌরসভায় যাবে এবং পৌরসভা সেটি তাদের নিবন্ধন বহিতে সংযোজন করবে এবং একটি জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট আপনাকে প্রদান করবেন। তাই আপনাকে অবশ্যই জন্ম নিবন্ধনের জন্য কিছু টাকা ব্যয় করতেই হবে।

তবে আবেদন ফ্রি সহ আপনি যদি সর্বসাকুল্য হিসাব করে থাকেন তাহলে জন্ম বা মৃত্যু নিবন্ধনে সর্বসাকুল্য মাত্র ৫০ টাকা দিয়ে দেশে নিবন্ধন করা যাবে। তবে জন্মতারিখ সংশোধনের জন্য আপনাকে আবেদন ফি বাবদ ১০০ টাকা দিতে হবে। জন্ম নিবন্ধন এর তারিখ ব্যতীত অন্যান্য তথ্য সংশোধনের জন্য যেমন: ব্যক্তির নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, ঠিকানা ইত্যাদি তথ্য ও অন্যান্য তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন ফি মাত্র ৫০ টাকা।

Leave a Comment