ভিসা করতে কত টাকা লাগে

ভিসা করতে কত লাগা লাগে এই প্রসঙ্গে একটা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রথমে দিতে চাচ্ছি সেটা হচ্ছে ভিসা করতে কত টাকা লাগে সেটা নির্ভর করছে দেশের ওপর। আপনি যে দেশে অবস্থান করছেন বা আপনি যে দেশের নাগরিক তার উপর বিবেচনা করা হয় এবং আপনি যে দেশে যেতে চাচ্ছেন তার ওপর বিবেচনা করে ভিসার টাকা নির্ধারণ করা হয়। বাংলাদেশী নাগরিক হিসেবে আমরা বিশ্বের প্রায় প্রত্যেকটি দেশে যাওয়ার অনুমতি পায় এবং প্রত্যেকটি দেশের ভিসা করার অনুমতি পায় সে ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি দেশের ভিসার খরচ সম্পর্কে বলা এখানে অসম্ভব ব্যাপার। তবে আমরা আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব কিছু গুরুত্বপূর্ণ দেশে যেখানে আমরা যেতে পারি এবং সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারি এবং তাদের পেছনে বেসার খরচ কত টাকা হতে পারে।

মালদ্বীপ ভিসার খরচ কত

বাংলাদেশ থেকে আপনি যদি ৩০ দিনের জন্য মালদ্বীপে যেতে চান তাহলে সেই ক্ষেত্রে আপনাকে ভিসার জন্য গুনতে হবে ৩৩৫০ টাকা। তবে এখানে অবশ্যই আপনাকে সরকারি নিয়ম মেনে সেখানে যেতে হবে এবং সরকারের নিয়ম বিভিন্ন সময় পরিবর্তন হয় তাই সে বিষয়ে অবশ্যই নজর রাখতে হবে যে কখন সরকারের নিয়ম পরিবর্তন হচ্ছে। ডলারের দাম ওঠানামার কারণে বাংলাদেশী মুদ্রার দামও উঠানামা করছে যার কারণে এ ধরনের খরচ গুলো পড়তে পারে সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে এই বিষয়গুলো নজর রাখতে হবে এবং খেয়াল করতে হবে। সঠিকভাবে আপনি বিষয়গুলো খেয়াল করতে পারলে অবশ্যই কোন ধরনের ভুল হওয়া সম্ভব না খুব কম থাকে।

সিঙ্গাপুরে ভিসার খরচ কত

আপনি যদি সিঙ্গাপুরে ভ্রমণ ভিসাতে যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাকে ভিসার জন্য খরচ করতে হবে শুধুমাত্র ১৮৫০ টাকা। তবে অবশ্য এখানে একটি আন্তর্জাতিক পাসপোর্ট অধিকারীরাই কেবলমাত্র আবেদন করতে পারেন এর বাইরে কেউ আবেদন করতে পারবেন না।

ভিসা করতে কি কি লাগে

ভিসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ডকুমেন্ট এবং এই গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট ছাড়া আপনি কোনভাবেই এক দেশের নাগরিক হয়ে অন্য দেশে প্রবেশ করতে পারবেন না। আপনি যখন এক দেশের নাগরিক হয়ে অন্য দেশের প্রবেশ করতে চাইবেন তখন অবশ্যই সেই দেশের ভিসার জন্য আবেদন আপনাকে করতে হবে এবং ভিসা গ্রহণ করতে হবে। তবে ভিসার আবেদন করার জন্য সাধারণত যেই ডকুমেন্টগুলো লাগে সেগুলো সম্পর্কে আমরা অনেকে অজানা চলুন জানার চেষ্টা করি কোন কোন ডকুমেন্ট লাগতে পারে ভিসার আবেদন করার জন্য।

ভিসার আবেদন করার জন্য সবার প্রথমে মূল পাসপোর্ট প্রয়োজন পড়বে। সাধারণত ভিসার আবেদন দাখিল করার তারিখের আগ থেকে সর্বনিম্ন ৬ মাস মেয়াদ থাকতে হবে এই পাসপোর্টে এবং অন্তত দুটি সাদা পাতা থাকতে হবে এই পাসপোর্ট এর ভিসার আবেদন করার জন্য।

আবেদনের সঙ্গে অবশ্যই পুরনো পাসপোর্ট জমা দিতে হবে এবং এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সদ্য তোলা ছবি। আবেদনকারীর আবাসস্থলের প্রমাণপত্র অথবা জাতীয় পরিচয় পত্র এবং বিদ্যুৎ বিল ও টেলিফোন অথবা গ্যাস পানির বিলের অনুলিপি প্রয়োজন পড়বে।

আবেদনকারী যেই পেশায় কর্মরত আছেন সেই পেশার প্রমাণপত্র সেখানে দাখিল করতে হবে। এক্ষেত্রে চাকরি দাদার কাছ থেকে সনদ শিক্ষার্থী হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ডের অনুলিপি অবসরপ্রাপ্ত হলে ব্যক্তির অবসরপ্রাপ্তির কাগজপত্র এবং ব্যবসায়ী হলে বাণিজ্যিক সনদপত্রের প্রয়োজন পড়বে।

এখানে আর্থিক সনদপত্রের সচলতার প্রমাণপত্র দিতে হবে এবং আবেদনের ক্ষেত্রে অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম এর নির্ধারিত স্থানে ছবি স্কেল করে আপলোড করতে হবে। যেদিন ঢাকা হবে সাক্ষাতের জন্য অবশ্যই পুরনো পাসপোর্ট জমা দিতে হবে এবং বাংলাদেশীদের ক্ষেত্রে অবশ্যই ভিসার সাক্ষাৎ ওয়াকিল পদ্ধতিতে গ্রহণ করা হয়।

এই প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো নিয়ে ধাপে ধাপে ভিসার জন্য আবেদন করতে হয় এবং ভিসা গ্রহণ করতে হয়। ভিসা আবেদন বর্তমানে খুব সহজ করা হয়েছে এবং খুব দ্রুত আমার মধ্যে যে কেউ ভিসার গ্রহণ করতে পারছে জরুরি প্রয়োজনের জন্য।

 

 

 

 

Leave a Comment