বাংলাদেশী মুদ্রা বা কারেন্সি কে যেমন টাকা বলা হয়, আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতীয় মুদ্রা বা কারেন্সিকে যেমন রুপি বলা হয় তেমনি বিভিন্ন দেশের কারেন্সির নাম বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। পৃথিবীতে অসংখ্য দেশের নাম এবং দেশগুলোর কারেন্সি এর নাম মনে রাখা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। আর এইসব মনের রাখার চেষ্টা করলেও অনেক সময় মনে থাকে না। এজন্য আমাদের যেই দেশের মুদ্রার নাম বা মুদ্রার পরিমাণ জানা দরকার সেটা সম্পর্কে জানলেই আমাদের প্রয়োজন মিটে যায়।
তাই আমরা যেকোনো একটি দেশের মুদ্রার নাম বা সেই মুদ্রার পরিমাণ বাংলাদেশি টাকার সমপরিমাণ কত টাকা সেটা জানতে চেয়ে থাকি।প্রিয় বন্ধুগণ অর্থাৎ আমাদের প্রবাসী বন্ধুদের পরিবার পরিজন বর্গ বিশেষ করে তারাই এসব ধরনের তথ্য জানতে চেয়ে থাকে। আজকে আমরা আপনাদের জানাবো বাংলাদেশের প্রবাসী দের সংখ্যা যে দেশে অনেক অংশে লক্ষ্য করা যায় সেটা হল দুবাই।বিশ্বের উন্নত দেশ গুলোর মধ্যে দুবাই অন্যতম যেখানে বাংলাদেশী কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়।তাই এই দেশটি সম্পর্কে সাধারণ কিছু তথ্য আমাদের জানা প্রয়োজন।
দুবাইয়ের মুদ্রার নাম দিরহাম। অর্থাৎ দুবাইয়ের টাকার নাম দিরহাম। যেরকম বাংলাদেশে আমরা বলি এক টাকা, ১০০ টাকা, ১০০০ টাকা তেমনি দুবাইয়ের নাগরিকগণ ১ দিরহাম, ১০০ দিরহাম ,এক হাজার দিরহাম এরকম বলে থাকে।
বাংলাদেশের নাগরিক এইজন্য বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য যায় যে বৈদেশিক মুদ্রার মূল্য বাংলাদেশি অনেক বেশি। এখন এক ডলারের মূল্য বাংলাদেশি টাকার সমপরিমাণ প্রায় ১১২ টাকা। তাহলে উন্নত দেশগুলোতে বাংলাদেশের নাগরিকরা যদি নিম্ন পদের কোন চাকরি করেও থাকে তাহলেও সেই টাকা বাংলাদেশে পাঠানোর মাধ্যমে বাংলাদেশে স্বচ্ছল জীবন যাপন করা সম্ভব।
এই আশায় গ্রামীণ অনেক নিরক্ষর ব্যক্তিরা দিনমজুর অথবা ছোট ছোট শ্রমজীবী মানুষের ভূমিকা পালন করে উন্নত দেশগুলোতে। তারা অনেক কষ্ট করে পরিশ্রম করে সামান্য কিছু বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে থাকে। তারা সেখানে অনেক কষ্ট করে জীবন যাপন অতিবাহিত করলেও সেই টাকা অর্থাৎ সেই ডলার বাংলাদেশের পরিবারদের কাছে প্রেরণের মাধ্যমে তাদের পরিবার পরিজন অনেক স্বচ্ছ ভাবে বাংলাদেশে জীবন যাপন করতে পারে।
প্রবাসী সদস্যদের মাধ্যমে বাংলাদেশের অনেক দরিদ্র পরিবার সুখের মুখ দেখতে পেয়েছে। বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় বিষয় হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রধানকৃত বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার দ্বারা এখন অসংখ্য বাংলাদেশি নাগরিক বিদেশি কর্মসংস্থানের আশায় রয়েছেন।
বিভিন্ন দেশের মুদ্রার নাম বিভিন্ন হয়ে থাকে। যেমন বাংলাদেশের মুদ্রার নাম টাকা। তেমনি সব দেশের মুদ্রার নাম বিভিন্ন হয়ে থাকে। একটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির মধ্যে অতি গুরুত্বপূর্ণ হলো সেই দেশটির কারেন্সি। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ এইসব তথ্য জানেনা। বিশেষ করে আমাদের প্রবাসী বন্ধুরা যারা অধিকাংশ গ্রামীণ জীবনযাপন থেকে প্রবাস গমন করেন। বাংলাদেশের মোট প্রবাসী নাগরিকদের মধ্যে অধিকাংশই গ্রাম থেকে বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য গিয়ে থাকে।
দুবাই একটি ইসলাম প্রধান দেশ। এই দেশে মরুভূমির সংখ্যা বেশি। এই দেশের অন্যতম বিল্ডিং ব্রুজ খলিফা। যেটা বিশ্বের সবচাইতে উঁচুতম ভবন। এখানকার রাষ্ট্রভাষা এরাবিক হলেও এখানে হিন্দি ভাষায় প্রচলন রয়েছে। দুবাই য়ের একটি উন্নয়নশীল দেশ এবং এই দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা অনেক বেশি উন্নতির পথে। এজন্য প্রতিবছর এই দেশে বউ সংখ্যক বাংলাদেশী নাগরিক প্রেরণ করা হচ্ছে।
এটি আমিরাতি দিরহাম নামেও পরিচিত। দিরহাম শব্দের অফিসিয়াল সংক্ষিপ্ত রূপ হল “AED”। তাহলে আমরা জেনে গেলাম যে দুবাইয়ের কারেন্সির নাম “দিরহাম”।
এখন বিভিন্ন দেশের মুদ্রার পরিমাণ প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল। বর্তমানে অর্থাৎ ২০২৪ মে মাস অনুযায়ী দুবাইয়ের কারেন্সির মূল্য বাংলাদেশী টাকার পরিমান কত?
এই প্রশ্নের উত্তর সবাই জানতে চেয়ে থাকে। যে দেশের টাকার পরিমান অর্থাৎ টাকার মূল্য বেশি সে দেশে মানুষের যাওয়ার চাহিদা বেশি।
(এক দিরহাম সমান ৩১.৮৪ বাংলাদেশি টাকা)
১ দিরহাম = ৩১.৮৪ বাংলাদেশী টাকা।
এই পরিমাণ প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল। এটা কম বা বেশি হতে পারে। তবে আনুমানিক ৩০ টাকার সমপরিমাণ। দুবাই ১ দিরহাম সমান বাংলাদেশি ৩০ টাকা ধরে নিতে হবে।