আন্তর্জাতিক বাজার নিয়ন্ত্রণ করে ডলার অর্থাৎ ইউ এস ডলার। ডলারের বিপরীতে বিচার বিবেচনা করা হয় যে কোন দেশের মুদ্রার মূল্য কত টাকা সেই বিষয়টি। প্রত্যেকটা দেশে অর্থাৎ পৃথিবীতে ১৯০ থেকে ২০৮ টি যে দেশ রয়েছে সেই দেশের প্রত্যেকটি দেশের আলাদা আলাদা মুদ্রা রয়েছে। সেই মুদ্রা গুলো দেশের অভ্যন্তরে পূণ্য ক্রয়-বিক্রয় ছাড়াও যাবতীয় কার্য সম্পাদন করা হয়ে থাকে। যেমন আমাদের বাংলাদেশের প্রচলিত মুদ্রার নাম হল ঢাকা। আমাদের এই টাকা ১৯৭২ সাল থেকে প্রচলিত রয়েছে। অর্থাৎ ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হয় এবং 1972 সালের চৌঠা মার্চ থেকে বাংলাদেশের মুদ্রা প্রচলিত হয়। আজকে আপনারা দেখতে এসেছেন যে ওমানের ১০০ রিয়াল সমান বাংলাদেশি কত টাকা সেই বিষয়টি।
আপনারা জানেন যে বাংলাদেশের জনসংখ্যার ঘনত্ব অনেক বেশি। সেই তুলনায় আমাদের বাংলাদেশের মোট সম্পদের পরিমাণ অনেক কম। আর এই কারণে আমাদের বাংলাদেশের মুদ্রাস্ফীতির হার অনেক বেশি আর তাই আমাদের বাংলাদেশের টাকার মূল্য্যমান অন্যান্য যে কোন দেশের চাইতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কম হয়ে থাকে। তাই আজকে আমরা হিসাব করে দেখব যে ওমানের 1 রিয়াল বাংলাদেশের কত টাকা সেই বিষয়টি। ওমান মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশ। এই দেশ অনেক প্রাকৃতিক সম্পদ সমৃদ্ধ এবং ব্যবসা-বাণিজ্য থাকার কারণে ওমানের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব ভালো এবং মুদ্রাস্ফীতি
কম। তাই দেখা যায় যে বিশ্বের অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় ওমানের মুদ্রার মূল্য অনেক বেশি। অর্থাৎ পৃথিবীর আন্তর্জাতিক বাজার নিয়ন্ত্রণ করে যে ইউ এস ডলার সেই ডলারের বিপরীতেও ওমানের রিয়ালের দাম বেশি। তাই আমরা আজকে জানবো যে আমাদের বাংলাদেশের টাকার বিপরীতে ওমানের মুদ্রার মূল্য কত। কারণ হলো আমাদের নিজেদের প্রয়োজনেই আমরা বিভিন্ন কারণে ওমান গিয়ে থাকি এবং ওমানের ব্যবসা-বাণিজ্য বাংলাদেশের সাথে রয়েছে।
তাই উভয় দেশে যখন যাতায়াত থাকে তখন অবশ্যই যে মুদ্রা বিনিময় মূল্য রয়েছে সেটি মেনে চলতে হয়। বাংলাদেশ থেকে অনেক শ্রমিক কর্মচারী ওমানে গিয়ে কাজ কর্ম করে থাকেন নিজেদের ভাগ্য বদলাবার উদ্দেশ্যে। কারণ আগেই বলেছি বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ। আমাদের দেশে প্রচুর পরিমাণে দক্ষ জনশক্তি রয়েছে। আর এই দক্ষ জনশক্তি বিদেশে রপ্তানি করে বাংলাদেশ সরকার প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক অর্থ উপার্জন করতে পারে। এবং বর্তমান সময়ে বিশ্বের যেহেতু অনেক দেশ বাংলাদেশ শ্রমিক নিয়ে থাকে তাই আমাদের বাংলাদেশও এই সুযোগটা হাতছাড়া করতে চায়নি বা প্রত্যেক বছর বাংলাদেশ থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দক্ষ শ্রমিক রপ্তানি করে থাকেন।
তাই ওমানে যেসব শ্রমিকগণ কাজ করছেন তারা অবশ্যই ওমানের প্রচলিত মুদ্রায় বেতন পেয়ে থাকেন। তাদের উপার্জিত সেই ওমানের রিয়াল তারা বাংলাদেশে পাঠিয়ে থাকেন। এখন তাদের কাছে অবশ্যই হিসাব থাকতে হবে যে ওমান থেকে যদি ১০০ রিয়াল বাংলাদেশে পাঠায় তাহলে বাংলাদেশ সরকার বা তার আত্মীয়-স্বজন আসলে কত টাকা পাবে। কারণ হিসাবটি যদি না জানে তাহলে অবশ্যই তার আত্মীয়-স্বজন এবং সেই ব্যক্তির মধ্যে সমস্যায় পড়তে হবে।
কারণ কত টাকা পাঠাবে আর কত টাকা পাবে এটি যদি না বোঝা যায় তাহলে অনেক সমস্যা পড়বে এটা আপনারা বুঝতে পারছেন অবশ্যই। এছাড়া প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে বাংলাদেশী ছাত্রছাত্রীরা ওমানের উদ্দেশ্যে যায় সেখানে লেখাপড়া করার জন্য। তাই আমরা সেখানেও দেখব যে বাংলাদেশ থেকে একজন ছাত্র ওমানে গে লেখাপড়া করতে কত টাকা লাগবে এবং সর্বসাকুল্যে তার খরচ কত হবে। এ সকল বিষয় জানার জন্য আজকে আমরা আপনাদেরকে অবশ্যই জানাবো যে ওমানের 100 রিয়াল সমান বাংলাদেশি কত টাকা এই বিষয়টি। চলুন তাহলে দেখে নিই যে বা ওমানের ১০০ রিয়াল বাংলাদেশের কত টাকা।
100 Omani Rial equals 28,309.77 Bangladeshi Taka. আপনারা তাহলে বিষয়টি বুঝে নিতে পারলেন যে ওমানের 100 রিয়াল সমান বাংলাদেশের ২৮৩০৯.৭৭ টাকা। এ ধরনের বিভিন্ন তথ্য পাওয়ার জন্য আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের পাশে থাকতে পারেন।