বায়োপসি রোগ নির্ণয় করার এক ধরনের পরীক্ষা, যে পরীক্ষার মাধ্যমে শরীরের যে কোন অংশের কিছু অপসারণ করা হয়। এই সিস্টেমের মাধ্যমে অনেক বড় ধরনের অসুখগুলো এখন ভালো হচ্ছে। এই রোগ নির্ণয় সার্জন, রেডিওলজিস্ট এর মাধ্যমে হয়ে থাকে। এই চিকিৎসার মাধ্যমে টিউমার খুব সহজে অবসরণ করা যায়।
এই চিকিৎসা প্রথম আরব দেশের চিকিৎসক আবুল কাশিস প্রাচীনতম ডায়াগনস্টিক সেন্টার বাইপোসি তৈরি করেন। তিনি এই প্রাচীনতম বায়ু পথে যখন তৈরি করেন, তখন তিনি গলগন্ড খোঁচা দেবার জন্য একটি সুই ব্যবহার করেন। সেইটার মাধ্যমে তিনি এই চিকিৎসাটি আজ পর্যন্ত টিকিয়ে রাখতে পেরেছেন।
কারো যদি ক্যান্সার হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই সেই রোগীকে বায়োপসি কৌশল অবলম্বন করে চিকিৎসা করা যেতে পারে। এই পদ্ধতিতে শরীরের টিস্যু সামান্য পরিমাণ এ সংগ্রহ করে মেশিনের সাহায্যে পরীক্ষা করে দেখা যায়। তাই অবশ্যই আপনাদের যাদের পরিবারের সদস্যদের ক্যান্সার বা অন্যান্য রোগের সমস্যা দেখা দিবে অবশ্যই তারা এই পদ্ধতি অবলম্বন করে চিকিৎসা করতে পারেন।
কখন বায়োপসির প্রয়োজন
বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে বায়োপসি করার প্রয়োজন পড়ে। কিডনি ও লিভারের সমস্যা হলে প্রায় মানুষ এখন এই চিকিৎসা করছে। শরীরে নির্দিষ্ট কোন অংশ যদি ব্যথা করে বা ফুলে যায় তখন বায়োপসী চিকিৎসা করা হয়। ওই জায়গার টিস্যুর নমুনা মেশিনের মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়, স্বাভাবিক কোষগুলোই সুনির্দিষ্ট ভাবে রোগ নির্ণয় করতে সাহায্য করে। চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় একজন ব্যক্তি নির্দিষ্ট ধরনের চিকিৎসার প্রতি কতটা ভালোভাবে সাড়া দেয় সে বিষয়ে সঠিক ধারণা পাওয়া যায় এই চিকিৎসার মাধ্যমে।
বায়োপসির বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে, পাঞ্চ বায়োপসি মাধ্যমে বিশেষ যন্ত্র দ্বারা শরীরের ত্বকের ভেতর প্রবেশ করিয়ে ত্বকের নমুনা সনাক্ত করে রোগ নির্ণয় করা হয়। সুই ভাইপোসির মাধ্যমে পুরো শরীরের সিটি স্ক্যান এর মাধ্যমে এ রোগের চিকিৎসা করা হয়। এন্ডোসকপি চিকিৎসার মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন ধরনের পরিস্থিতি বোঝা যায়, গুটি কোন পর্যায়ে রয়েছে।
বায়োকোসি করতে হলে অবশ্যই আপনাকে নিকটস্থ হসপিটালে যেতে হবে। এই চিকিৎসা করতে হলে আপনাকে সারারাত হসপিটালে থাকার প্রয়োজন হয় না। শুধু থাকতে হবে যখন আপনার রোগ নির্ণয়ের জন্য আপনাকে চেকআপ রুমে ঢোকানো হবে তখন। এই চিকিৎসাটা হলো একদম ব্যাথা হীন চিকিৎসা, কোন রোগী এই চিকিৎসার মাধ্যমে কষ্ট পেয়ে থাকে না ব্যথা অনুভব করে না। তাই এই চিকিৎসা পদ্ধতি এখন অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
বায়োপসি করতে কত টাকা লাগে
বায়োপসির খরচ আনুমানিক ৪০০০ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে। এর বেশি লাগতে পারে কারণ মানুষের রোগের উপর নির্ভর করে এই চিকিৎসার টাকা পরিমাপ করা হয়। কত টাকা খরচ হবে এটি আপনি যে হসপিটালে করবেন সেই হসপিটালের হেল্প ডেক্সট থেকে আপনি জেনে নিতে পারেন।
স্কিন বায়োপসি রেজাল্ট কতদিন লাগে
এই রেজাল্টগুলো পেতে এক একদিন থেকে এক সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। এটি যদি ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে যে সেটা ক্যান্সার সেটা কখনোই ভাবা যাবে না। সামান্য কোনো সমস্যা হলে ওষুধের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান হয়ে থাকে।
এই টেস্ট করার জন্য একটি রোগীকে ৩০ থেকে ৬০ মিনিট সময় দিতে হয়। বিভিন্ন রোগের উপর ভিত্তি করে সময় বেশি লাগতেও পারে। কিডনি বায়ুপোসি সাধারণত মানুষ যখন জেগে থাকে তখন করা হয়। প্রায় সব টেস্টগুলো মানুষ জেগে থেকেই দিতে পারে। কখনোই কোন রোগীকে অজ্ঞান করা হয় না এই চিকিৎসার জন্য।