আমরা যখন চিন্তাভাবনা করি বিদেশ যাওয়ার তখন কোন দেশে যাব সেই দেশ সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানার ইচ্ছা জাগে। আমরা যে দেশে যেতে চাই সেই দেশ সম্পর্কে সাধারণ তথ্য গুলো আমাদের জেনে নেওয়া প্রয়োজন। আপনি যদি অস্ট্রেলিয়া কাজের জন্য দেখতে চান তাহলে অস্ট্রেলিয়া কাজের জন্য খুবই উপযুক্ত একটি জায়গা। কর্মসংস্থানের পাশাপাশি উচ্চ শিক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে এখানে। শুধু কাজের জন্যই নয় পড়াশোনার জন্য অস্ট্রেলিয়া দেশটি খুবই উপযুক্ত একটি দেশ। পৃথিবীর উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে একটি হলো অস্ট্রেলিয়া।
কিন্তু অস্ট্রেলিয়া যেতে বড় পরিমাণের একটি অর্থের প্রয়োজন হয় যেটা সবার কাছে থাকে না। বাংলাদেশে বসবাসকারী মধ্যবিত্তদের জন্য অস্ট্রেলিয়া দেশ ভ্রমণ করা একটু কষ্টকর। কারণ আনুমানিক ১০ লক্ষ এবং তার চেয়ে বেশি টাকা খরচ হতে পারে অস্ট্রেলিয়া দেশে যেতে। ভিসা এবং পাস পোর্ট এর খরচ সহ ১০ লক্ষের বেশি টাকা খরচ হবে। ২০২২ -২৩ অর্থবছর অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যেতে এরকম প্রায় ১২-১৩ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে।
অস্ট্রেলিয়া একটি উন্নত দেশ এবং উচ্চ আয়ের অর্থনীতি বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়া যেতে ১০ লক্ষ থেকে ১২ লক্ষ টাকা খরচ হয়। আবার সময় সাপেক্ষে কিছুটা কম বেশি হতে পারে। কিন্তু আনুমানিক এই টাকা প্রয়োজন হবে। যদি আপনার স্বপ্ন থাকে অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণ করা অথবা কাজের জন্য অস্ট্রেলিয়াতে যাওয়া তাহলে অবশ্যই আপনার কাছে এই পরিমাণ অর্থ থাকা প্রয়োজন। আপনি চাইলে বিভিন্ন ধরনের প্রবাসী লোন এর মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া গিয়ে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে পারেন।
যাদের স্বপ্ন রয়েছে অস্ট্রেলিয়াতে যাওয়ার তাদের জন্য অস্ট্রেলিয়া সম্পর্কে সাধারণ কিছু তথ্য এবার আমরা আমাদের আর্টিকেলটিতে উল্লেখ করেছি। এবার অস্ট্রেলিয়া সম্পর্কে কিছু তথ্য আমরা জানব। কমনওয়েলথ অব অস্ট্রেলিয়া বা অস্ট্রেলিয়া অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র। এটি অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের মূল ভূখণ্ড, তাসমানিয়াসহ অন্যান্য ক্ষুদ্র দ্বীপ নিয়ে গঠিত।[দেশটির মোট আয়তন ৭৬,১৭,৯৩০ বর্গ কিমি (২৯,৪৪,৩০০ বর্গমাইল)।
আয়তনের দিক থেকে এটি ওশেনিয়া অঞ্চলের সর্ববৃহৎ রাষ্ট্র এবং পৃথিবীর ৬ষ্ঠ বৃহত্তম রাষ্ট্র। দেশটির উত্তরে তিমুর সাগর, আরাফুরা সাগর, ও টরেস প্রণালী; পূর্বে প্রবাল সাগর এবং তাসমান সাগর; দক্ষিণে ব্যাস প্রণালী ও ভারত মহাসাগর; পশ্চিমে ভারত মহাসাগর। বৃহৎ আকৃতির কারণে অস্ট্রেলিয়ার জলবায়ু বেশ বিচিত্র। এর মধ্যবর্তী অঞ্চলে রয়েছে বৃহৎ মরুভূমি, উত্তর-পূর্বে রয়েছে বনাঞ্চল এবং দক্ষিন-পশ্চিমে রয়েছে পর্বতমালা। অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী হলো ক্যানবেরা।
স্কুল কলেজের পাঠ চুকিয়ে ফেলে অনেকেই বিদেশে পড়তে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। সেই বিদেশের তালিকায় একটি পরিচিত নাম হোল অস্ট্রেলিয়া।ওয়াই ফাই কিংবা গুগল ম্যাপ থেকে শুরু করে ব্ল্যাক বক্স ফ্লাইট রেকর্ডার, ইলেকট্রিক পেসমেকার, রেফ্রিজারেশনের মতো দৈনন্দিন জীবনের অনিবার্য সব বিষয়ের সূচনা হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার হাত ধরে।
অস্ট্রেলিয়ার মানুষের জীবনযাত্রার মান অনেক উন্নত। সেখানে নারী এবং পুরুষের মধ্যে কোন ভেদাভেদ নেই। নারী এবং পুরুষ উভয়ে নিজের ক্যারিয়ার স্বইচ্ছায় গড়তে পারে। আপনি যদি সচ্ছল হন তাহলে আপনার সন্তানদের লেখাপড়া শেখাতে অস্ট্রেলিয়া পাঠাতে পারেন।জীবনযাত্রার মান কিংবা পড়ালেখার মান- যাই বলা হোক না কেন বিশ্বের সেরা দশের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া অবশ্যই জায়গা পাবে।বিদেশে পড়তে যাবার প্ল্যান থাকলে তুমিও কিন্তু অস্ট্রেলিয়াকে তোমার তালিকায় স্থান দিতে পারো
অস্ট্রেলিয়া একটি উন্নত দেশ এবং উচ্চ আয়ের অর্থনীতি। এটি পৃথিবীর ১২তম বৃহত্তম অর্থনীতি, মাথাপিছু আয়ের দিক থেকে দশম এবং মানব উন্নয়ন সূচকের মান অনুযায়ী অষ্টম। অস্ট্রেলিয়া একটি আঞ্চলিক শক্তি, এবং সামরিক ব্যয়ের দিক থেকে বিশ্বের দ্বাদশ অবস্থানে রয়েছে।অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এগুলো সম্পর্কে আরো তথ্য জানতে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে খোঁজ নিতে হবে এবং সেখান থেকে আপডেট তথ্য জেনে নিতে পারবেন। কারণ এগুলো তথ্য প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হতে থাকে।
অস্ট্রেলিয়া সরকার প্রতিবছর দেশের বাইরে থেকে কাজের জন্য হাজার হাজার লোক আমদানি করে। আপনি যদি অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে অস্ট্রেলিয়া যেতে চান তাহলে আপনার মোটামুটি ১০ লক্ষ টাকার মত খরচ হবে। আনুমানিক এরকম টাকায় খরচ হয় অস্ট্রেলিয়া যেতে।