আমরা যদিও মনে করি যে জন্ডিস একটি বা একপ্রকার রোগ। কিন্তু জন্ডিস সাধারণত কোন রোগ নয়। জন্ডিস শুধুমাত্র কোন রোগের লক্ষণ মাত্র। যে লক্ষণগুলো প্রকাশ পেলে আমরা সাধারণত বলে থাকি যে জন্ডিস হয়েছে। জন্ডিস হওয়া বলতে আমরা একটি বিষয় বুঝে থাকি আর তা হল আমাদের রক্তের স্বাভাবিকতা থেকে কোন একটি রাসায়নিক পদার্থের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া। অর্থাৎ রক্তে যদি বিলরুবিনের পরিমাণ বেড়ে যায় তাহলে আমাদের ত্বক চোখের সাদা অংশ অর্থাৎ মিউকাস কোষঝিল্লি সাদা
হয়ে যায়। আবার আমরা দেখি যে এই জন্ডিস যা নামে ও অনেক মানুষের কাছে পরিচিত। অর্থাৎ জন্ডিস হলে আমরা বলতে পারি যে শরীরের রক্তে বিলরুবিনের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে। আর রক্তে যখন দিলরুবিনের পরিমান বেড়ে যায় তখন আমাদের ত্বক চোখের সাদা অংশ ও অন্যান্য অংশ মিউকাস ঝিল্লিগুলো হলুদ হয়ে যায়। আর যখনই এগুলো হলুদ হয়ে যায় তখনই আমরা বলতে পারি যে আমাদের ত্বকে সাধারণত বিল রুবিনার পরিমান কমে গেছে এবং এই পরিস্থিতি বা জন্ডিসের লক্ষণ প্রকাশ পেয়েছে। আমরা জানি আমাদের শরীরের রক্তে সাধারণত বিলিরুবিন এর ঘনত্ব ১.২ mg/dL এর নিচে থাকে।
কিভাবে বুঝব জন্ডিস হয়েছে
তাহলে আমরা সঠিকভাবে যাচাই করার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই একটি সিদ্ধান্তে আসতে হবে। অর্থাৎ আমাদের শরীরে যে জন্ডিসের লক্ষণ প্রকাশ পাচ্ছে সেটি সঠিক কিনা এ বিষয়টি আমাদেরকে অবশ্যই যাচাই করতে হবে। তাহলে জন্ডি স হয়েছে কিনা বা সেই লক্ষণগুলো রয়েছে কিনা তা জানতে হলে আমাদের অবশ্যই কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে। আর এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা গুলি করতে অবশ্যই টাকা-পয়সার প্রয়োজন রয়েছে।
আর তাই আজকে আপনারা যারা জানতে এসেছেন যে জন্ডিস পরীক্ষা করার জন্য কত টাকার প্রয়োজন সেই বিষয়টি জানতে। আমরা অবশ্যই এখন আপনাদেরকে জন্ডিস হলে কিভাবে পরীক্ষা করতে হবে এবং এটি পরীক্ষা করতে কত অর্থ খরচ হবে সে বিষয় সম্পর্কে অবশ্যই বিস্তারিত ভাবে জানাবো। তাহলে আমরা আজকে দেখব যে জন্ডিস পরীক্ষা করতে হলে কত টাকা খরচ হতে পারে আমাদের এই বিষয়টি। জন্ডিসের সাধারণত যে বিষয়টি পরীক্ষা করতে হয় তা হল রক্তের বিল রুবিনের পরিমাণ বা ঘনত্ব।
তাহলে বিলরুবিনের পরীক্ষায় ব্যবহারের জন্য রক্ত বা সিরাম ধারণকারী রক্ত সংগ্রহের টিউবগুলোকে অবশ্যই আলো থেকে দূরে থাকতে হবে। দিলরুবিনের টেস্ট করতে সাধারণত আমাদেরকে ৪০০ টাকার মতো খরচ হতে পারে। রক্তে বিল-রুবিনের পরীক্ষার জন্য শরীরের বিভিন্ন জায়গা থেকে রক্ত সংগ্রহ করতে হয়। বিশেষ করে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য হাতের শিরা থেকে সুয়ে দ্বারা সংগ্রহ করা হয়। এবং নবজাতকদের জন্য রক্ত প্রায় একটি লাঠিতে সংগ্রহ করতে হয়। সরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে জন্ডিসের এই পরীক্ষাগুলো করা হয়ে থাকে। এছাড় াও আমাদের বাংলাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালগুলোতেও এই পরীক্ষাগুলো সম্পন্ন করা হয়।
শেষ কথা
তাই রক্তে বিল রুবিনের পরীক্ষায় হল আসলে জন্ডিসের পরীক্ষা। তাই এ সকল পরীক্ষাগুলো করার জন্য আমাদের অবশ্যই রক্তের প্রয়োজন রয়েছে। রক্তে কি পরিমান নীল রঙিন রয়েছে সেই বিষয়টি যদি আমরা জানতে পারি তাহলেই বুঝে নিতে পারব যে জন্ডিস হয়েছে কিনা বা জন্ডিসের লক্ষণ প্রকাশ পাচ্ছে কিনা এই বিষয়টি। তাই আপনারা যদি এই ধরনের পরীক্ষা অর্থাৎ রক্তের জন্ডিস হয়েছে কিনা সেই পরীক্ষাটি করে থাকি তাহলে অবশ্যই হাসপাতালে যেতে হবে। সেই হাসপাতাল অবশ্যই
সরকারী এবং বেসরকারি যে কোনটি হওয়া সম্ভব। তবে আমাদের সব সময় মনে রাখতে হবে যে যে কারণে জন্ডিস স ছড়িয়ে থাকে বা এই বিষয়টি হয় তখন আমাদের অবশ্যই বিশেষ করে খাবার জল বা অন্যান্য খাবারগুলো যেগুলো খাবার কারণে আমাদের জন্ডিস হতে পারে বা এই লক্ষণগুলো প্রকাশ পেতে পারে তাহলে অবশ্যই নিরাপদ জল পান করতে হবে সব সময়। আর আপনারা এ ধরনের বিষয়গুলি জানার জন্য অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট বারবার ভিজিট করবেন বলে আশা করি।