আগেকার দিনে পিতলের তৈরি বিভিন্ন ধরনের তৈজসপত্র ব্যবহার করা হয়ে থাকলেও বর্তমান সময় সেগুলো আর ব্যবহার করা হয় না। অনেক বাড়িতে আগে পিতলের জিনিস ব্যবহার করতে দেখা গেছে এবং আত্মীয়-স্বজন আসলে পিতলের থালা বাসনে অথবা পিতলের প্রত্যেকটি আসবাবপত্র ব্যবহার করার মাধ্যমে সেগুলো আমরা বুঝতে পেরেছি। কিন্তু বর্তমান সময়ে কাছের যুগ অথবা বিভিন্ন ধরনের অ্যালুমিনিয়াম ব্যবহার করা হয়ে থাকে বলে সেই অনুযায়ী মানুষজন তেজপত্র ব্যবহার করে থাকেন।
তাছাড়া পিতলের এ সকল জিনিস ব্যবহার করার প্রতি আগ্রহ যদি না থাকে তাহলে বাড়িতে ফেলে না রেখে আপনারা চাইলে বিক্রি করে দিতে পারেন। যদি আপনারা পিতলের তৈরি থালা বাসন অথবা কোনদিনই বিক্রি করতে চান তাহলে সেটা বিক্রি করতে গেলে খুব ভালো দাম পাবেন। আর যদি মনে করেন কিনবেন তাহলে সেটা কিনতে পারেন এবং অনেক হিন্দু বাড়িতে বাচ্চাদের মুখেভাতে পিতলের ব্যবহার্য জিনিস গিফট হিসেবে প্রদান করা হয়। তবে আপনারা যদি পিতলের প্রতি আগ্রহ দেখান এবং পিতলের প্রতি কেজির দাম কত টাকা করে তা যদি জানতে চান তাহলে এখানকার প্রত্যেকটি তথ্য আপনাদের জন্যই দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
যেহেতু আপনারা এখানে পুরাতন পিতলের দাম জানতে এসেছেন সেহেতু বুঝতে হবে যে কোন একজনের থেকে আপনারা হয়তো পিতলের কোন জিনিস কিনছেন অথবা আপনাদের বাড়িতে থাকা পিতলের জিনিস বিক্রি করতে চাইছেন। তবে সকল জিনিসের দামের ক্ষেত্রে খুব একটা পরিবর্তন হয় না এবং নতুনের যা দাম তার চাইতে খুব বেশি কম হয় না পুরাতন পিতলের দাম। তবে এখানে যে তথ্য জানতে এসেছেন সেটা অবশ্যই জানতে পারবেন এবং সেই পর্যন্ত আপনারা আমাদের এই পোষ্টের নিচে চলে যান।
বর্তমান সময়ে মানুষ সৌখিন হয়েছে এবং ডিনার সেট থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ব্যবহার করা জিনিস তারা কিনছে। কিন্তু আগেকার দিনে কোন অতিথি বেড়াতে আসলে তাদেরকে পিতলের থালায় যেমন খেতে দেওয়া হতো তেমনিভাবে পিতলের কলসে করে পানি এনে পিতলের গ্লাসে পানি ঢেলে দেওয়া হতো। তাছাড়া আগেকার দিনে পিতল দিয়ে বানানো প্রত্যেকটা জিনিসের ওজন এতটাই বেশি ছিল যে সেগুলো খালি হাতে ছাড়তেও অনেক বেশি শক্তি লাগতো।
কিন্তু বর্তমান সময়ে এ সকল জিনিসের যে নতুন করে প্রোডাকশন করা হচ্ছে তার ওজনগুলো খুবই কম হয়ে থাকে। সাধারণত যাদের দোকানে তারা বসন বিক্রি করে থাকে এমন দোকানে গেলে পিতলের তৈরি যে সকল তৈজসপত্র রয়েছে সেগুলো হাতে নিলেই আপনারা ওজন বুঝতে পারবেন। তবে যাই হোক আপনারা পিতলের তৈরি জিনিস ব্যবহার করলে খুব ভালো করবেন এবং আগেকার দিনে পিতলের খাওয়া ব্যতীত বিভিন্ন ধরনের কাজে এগুলো ব্যবহার করা হতো। যুগের সঙ্গে মানুষের রুচির পরিবর্তন হয়েছে এবং চাকচিক্যময় জীবন যাপনের জন্য মানুষের আগ্রহ বেড়েছে।
পুরাতন পিতল প্রতি কেজির দাম
পুরাতন পিতল প্রতি কেজির দাম কত তা যদি জানতে এসে থাকেন তাহলে স্থানীয় বাজার পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে সেটা আপনাদেরকে জানিয়ে দিতে চলেছি। সাধারণত আপনি যদি পিতল কিনতে চান তাহলে সেই ক্ষেত্রে দাম কম বেশি হতে পারে এবং স্থানীয় বাজারের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজার অথবা বড় বড় দোকানের দামের পার্থক্য কিছুটা হতে পারে। বর্তমানের বাজার অনুযায়ী এবং পিতলের ধরন অনুযায়ী আপনারা যেগুলো একেবারেই নরমাল পিতল বিক্রি করবেন সেগুলো ৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে পারবেন।
১ কেজি পিতলের দাম কত
আর যদি পিতলের কোয়ালিটি ভালো হয় তাহলে ১২০০ টাকা কেজি পর্যন্ত আপনারা তা বিক্রি করতে পারবেন। তাই এখানকার এই তথ্যের ভিত্তিতে আপনারা এটা জানতে পারলেন যে পুরাতন পিতল হিসেবে আপনারা যেমন 500 থেকে 1000 টাকা কেজির মধ্যে এগুলো বেচতে পারবেন অথবা কিনতে পারবেন তেমনিভাবে নতুন পিতল যদি কিনতে চান তাহলে পিতলের কোয়ালিটি অনুযায়ী ১০০০ থেকে ১৩০০ টাকার মধ্যে প্রতি কেজি কিনতে পারবেন। দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন উপকরণের দাম জানতে আমাদের এখানে ভিজিট করতে পারেন এবং আপনাদের কল্যাণের জন্য আমরা প্রত্যেকটা জিনিস জানিয়ে দেয়ার চেষ্টা করব।