এই পোস্টের টাইটেল দেখেই নিশ্চয়ই আপনারা বুঝতে পেরেছেন আমরা কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে আজ আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব। রিঙ্গিত শব্দটি এতদিন শুনে আসলেও আপনার অনেকে হয়তো এটার মানে খুব ভালোভাবে বুঝতে পারছিলেন না। রিঙ্গিত শব্দটি আমাদের কাছে অনেক পরিচিত কিন্তু এটার অর্থ আমাদের কাছে খুব বেশি পরিচিত নয়। যারা এখনো রিঙ্গিত সম্বন্ধে কোন ধারণাই রাখেন না তাদের জানানোর জন্যই বলছি রিঙ্গিত হলো মালয়েশিয়ান মুদ্রার নাম।
মালয়েশিয়া এশিয়ার অন্যতম উন্নত একটি রাষ্ট্র যেখানে প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে অনেক প্রবাসী শ্রমিক কাজের উদ্দেশ্যে যায়। এই পোস্টে শুরুতেই রিঙ্গিত সম্বন্ধে বেশ খানিকটা ধারণা আপনাদের দিতে সক্ষম হয়েছি এবং রিঙ্গিত সম্বন্ধে বাংলাদেশীদের এত আগ্রহ থাকার কারণ নিয়ে বাকি অংশে আলোচনা করব। আশা করি এই পোস্টের বাকি অংশেও আপনারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানতে পারবেন।
বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর বিভিন্ন কাজের জন্য বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে হাজার হাজার লোক। সাধারণত সেই সব দেশগুলোতেই বাংলাদেশ থেকে কাজের উদ্দেশ্যে সবাই যাবার চেষ্টা করে যেখানে বেতন অনেক বেশি পাওয়া যায়। বাংলাদেশের টাকার চেয়ে বিদেশী মুদ্রার মান বেশি হলেই সে দেশে যাওয়ার আগ্রহ সবার মধ্যে অনেক বেশি থাকে। বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর মালয়েশিয়ায় অনেক শ্রমিক যায় এর পেছনে প্রধান কারণ হলো মালয়েশিয়া বেশ উন্নত একটি রাষ্ট্র এবং এখানে শ্রমিকের চাহিদা অনেক বেশি। বাংলাদেশ ে এমন অনেক শ্রমিক রয়েছে যারা দীর্ঘক্ষণ কায়িক পরিশ্রম করতে পারে এবং এদের ধৈর্য অনেক বেশি। যেহেতু মালয়েশিয়াতে অনেক বড়
বড় বিল্ডিং তৈরি করা হয় তাই বাংলাদেশ থেকে অনেক রাজমিস্ত্রি মালয়েশিয়ায় পাঠানো হয়। বাংলাদেশ থেকে যেসব শ্রমিকরা মালয়েশিয়ায় যায় তারা বেতন পায় মালয়েশিয়ান মুদ্রা তে অর্থাৎ রিঙ্গিতে। এখান থেকে একটি বিষয়ে আপনারা খুব ভালো ধারণা পেয়ে যাচ্ছেন আর তা হলো অবশ্যই একজন রাজমিস্ত্রি বাংলাদেশের যত টাকা আয় করতে পারবে মালয়েশিয়ায় গেলে তার চেয়ে বেশ কয়েক গুণ বেশি টাকা আয় করতে পারবে। ঠিক এ কারণেই নিজের দেশ ছেড়ে মানুষ অন্যান্য দেশে কাজের উদ্দেশ্যে যায়। এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে ঠিক কত গুণ বেশি টাকা মালেশিয়া গেলে পাওয়া যাবে। চলুন দেখে আসি মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত বাংলাদেশি টাকার মধ্যে কতটুকু পার্থক্য রয়েছে।
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে টাকার সাথে মালয়েশিয়ান রিঙ্গিতের বেশ বড় একটি পার্থক্য রয়েছে। এক রিংগিত সমান প্রায় বাংলাদেশি ২৩ টাকা। এই পার্থক্যটিকে খুব ছোট হিসেবে ধরার কিছু নেই। অনেকে হয়তো ভাবতে পারেন টাকার সাথে ডলারের পার্থক্য এত বেশি কিন্তু রিঙ্গিতের সাথে টাকার পার্থক্য এত কম কেন। সবচেয়ে বড় কথা হল ইউরোপের দেশগুলো অথবা আমেরিকায় যাওয়া যতটা কঠিন তার চেয়ে অনেক সহজ মালয়েশিয়ায় কাজের উদ্দেশ্যে যাওয়া। খুব কম টাকা দিয়ে মালয়েশিয়ায় কাজ পাওয়া সম্ভব যা ইউরোপের দেশগুলোতে সম্ভব নয় কিংবা আমেরিকায় সম্ভব নয়। সে হিসেবে বলা যায় রিংগিতের সাথে টাকার যে পার্থক্য রয়েছে এটিও কম কিছু নয়। মালয়েশিয়ায় গিয়ে কেউ যদি ১০০০ রিঙ্গিত আয় করতে পারেন তাহলে এটি প্রায় বাংলাদেশি ২৩ হাজার টাকার সমান হবে।
যারা দীর্ঘদিন ধরে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার কথা ভাবছেন কিন্তু সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না তারা হয়তো এই পোস্ট থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়ে গেছেন যা আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে। আপনি এখন হিসেব করে দেখতে পারবেন মালয়েশিয়ায় গেলে ঠিক কত টাকা আয় করতে পারবেন এবং কত টাকা দেশে নিজের পরিবারের কাছে পাঠাতে পারবেন। এখন বাকি সিদ্ধান্ত আপনি নিজেই নিবেন । বেশ কয়েক রকমের ভিসায় মালয়েশিয়ায় যাওয়া যায় তাই আপনি কোন ভিসায় যেতে চান এবং কত রিঙ্গিত আয় করতে চান সে বিষয়ে এজেন্টের সাথে কথা বলে দেখতে পারেন।