আপনারা অনেকেই অনলাইনে এসে সার্চ করে থাকেন রোজার কাপফারা কত টাকা দিতে হয়। কোন ব্যক্তি যদি ধারাবাহিকভাবে রোজা না রাখতে পারে। তাহলে সে গরিব দুঃখী মানুষদের পেট ভরে খাওয়ালে সেই সমান সওয়াব পাবে। সে যদি খাওয়াতে না পারে তাহলে প্রত্যেককে এক ফিতরা সমান অর্থাৎ এক কেজি ৬৫০ গ্রাম গম বা তার মূল্য দান করতে হবে। কোন ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা না রাখে তাহলে রোজা ভাঙ্গার কারণে এক কাপ পাড়ায় যথেষ্ট বলে বিভিন্ন হাদিসে এসেছে।
প্রত্যেকটা মুসলিম বান্দার জন্য রোজা ফরজ করা হয়েছে। তাই আমাদের সকলকে রমজান মাসের প্রতিটি রোজা পালন করতে হবে। আপনারা যদি সব ইচ্ছায় রোজা না থাকেন তাহলে আপনাদের জন্য রয়েছে জাহান্নাম। কোন ব্যক্তি যদি রোজা থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়ে বার ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী তা যদি রোজা করা নিষেধ থাকে তাহলে পরবর্তী তাকে সেই রোজা না রাখার জন্য কাফফারা দিতে হবে। আপনারা চাইলে দরিদ্র মানুষকে সেই পরিমাণ টাকা ও সাহায্য করে আপনি আপনার কাফফারা পূরণ করে ফেলতে পারেন। কোন ব্যক্তি যদি নিজের ইচ্ছায় যদি সৎ কাজ করবে বলে মনে করে তার জন্য তা কল্যাণ করা হবে। প্রত্যেকটা মুসলিম জাতির জন্য রোজা রাখা কল্যাণকর।
রমজান মাস আল্লাহ তাআলা আমাদের জন্য নেয়ামতে পরিপূর্ণ করে রেখেছে। তাই আমাদের এই রমজান মাসকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে। আমরা অনেকেই আছি বিভিন্ন কারণে আমরা এই রমজান মাসের প্রত্যেকটা রোজা রাখতে পারি না কেউ হয়তো বিভিন্ন কাজের কারণে কেউ হয়তো অসুস্থতার কারণে কেউ আবার ইচ্ছাকৃতভাবে প্রত্যেকটা রোজা করি না। আপনারা যদি কেউ রোজা না করতে পারেন তাহলে সেই রোজার কারণে আপনাকে কাফফারা দিতে হবে। রমজান মাসে গরিব অসহায় মানুষদের আমাদের সবার উচিত বিভিন্নভাবে সাহায্য করা। আপনারা যে যতটুকু পারবেন এই মাসে দান করার চেষ্টা করবেন।
রোজা রেখে আপনারা চেষ্টা করবেন আল্লাহর এবাদত করতে কোন খারাপ কাজে লিপ্ত হওয়া থেকে বিরত থাকবেন। একটি রোজা যদি আপনার নষ্ট হয়ে যায় তাহলে দাশ মুক্ত করার জন্য সাতজন মিষ্টিমুখে আপনার দুই বেলা কৃতি সহকারে খাওয়াতে হবে। তাহলে বুঝতে তো পারছেন একটি রোজা যদি আপনার ছাড়া পড়ে যায় তাহলে আপনার পরবর্তীতে কতগুলো কাজ করা লাগবে। তাই চেষ্টা করবেন সঠিকভাবে প্রত্যেকটা রোজা রাখার একটি রোজা না ভাঙ্গার চেষ্টা করবেন
সাওমের কাফফারা কারণ
নির্ধারিত কিছু শর্ত ও সঠিক সময়ে আমাদের রোজা সম্পন্ন করতে হয় তবে এই শর্ত বা সঠিক সময় আমরা যদি রোজা না করতে পারি তাহলে সেটা আমাদের জন্য খারাপ একটি সংবাদ। হাদিস অনুযায়ী একজন ব্যক্তি যদি কোন কারণ ছাড়া রোজা ভেঙে ফেলে তাহলে তার এই গুনা টি কবিরা গুনাহ।
আবু হুরায়রা বলেছেন শরীয়ত অনুমোদিত কোনো কারণ ছাড়া বা রোগ ব্যাধি ছাড়া যদি কেউ রোজা ভেঙে ফেলে তার পুরো জীবনের রোজাদের এই ক্ষতিপূরণ সম্ভব হবে না। তাই কোন ভাবেই রোজা ভঙ্গ করা যাবেনা একজন মুসলিম ব্যক্তির।
কোন ব্যক্তি যদি ইচ্ছা করে তার স্ত্রীর সাথে দিনের বেলায় সহবাস করে তাহলে তার রোজা ভেঙে যাবে। এর প্রতিদান হিসেবে ওই রোজা ভেঙে যাওয়া ব্যক্তিকে অবশ্যই কাফফারা করতে হবে। তবে অন্যান্য হাদিসে এসেছে, সে চাইলে পরবর্তীতে এই রোজা করতে পারবে কারণ স্ত্রী সাথে সহবাস করা হলো ওয়াজিব।
কোন স্বামী যদি তার স্ত্রীকে সহবাস করতে বাধ্য করে তাহলে সেই স্ত্রীকে তার স্বামীর কথা শুনে রোজা ভেঙ্গে তার সাথে সহবাস করতে হবে। তারপর এ রোজার জন্য কাফফারা দিতে হবে পরবর্তী সময়ে।
মৃত ব্যক্তির রোজার কাফফারা
কোন ব্যক্তি যদি রমজান মাসে মৃত্যুবরণ করে তাহলে তার বাকি থাকা রোজাগুলোর জন্য কাফফারা যদি আপনারা দিয়ে থাকেন তাহলে এটা খুবই ভালো হবে। তাই চেষ্টা করবেন মৃত ব্যক্তির রোজার কাফফারা যত দ্রুত আপনারা দিতে পারেন।