দ্বাদশ শ্রেণী বলতে আমরা সাধারণত যে বিষয়টি বুঝি তা হলো এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষ। অথবা আমরা যেটাকে বলি ফাস্ট ইয়ার সেকেন্ড ইয়ার অর্থাৎ সেই সেকেন্ড ইয়ারি হল দ্বাদশ শ্রেণী। আমাদের দেশে প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় তারপরে ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং নবম দশম শ্রেণী পর্যন্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয় বলে ঘোষণা করা হয়েছে। তবে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয় একইসঙ্গে হয়ে থাকে শুধু স্তরটি আলাদা। তারপরে এস এস সি অর্থাৎ মাধ্যমিক শ্রেণি পাস করে আমাদের ছাত্রছাত্রীরা কলেজে অর্থাৎ একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হয়ে থাকে। একাদশ এবং দ্বাদশ এই দুই শ্রেণীকে একত্রে আমরা বলে থাকি উচ্চমাধ্যমিক।
দ্বাদশ শ্রেণীর শেষে একটি পাবলিক পরীক্ষা হয় এবং সেই পরীক্ষায় পাস করলে বলা হয় উচ্চ মাধ্যমিক পাস। তবে সরকার প্রথমে মেয়েদেরকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সাধারণত ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত উপবৃত্তির ব্যবস্থা করেন। পরবর্তীতে যখন মেয়েরা ঠিকমতো সমাজের সকল কাজে অংশগ্রহণ করল এবং লেখাপড়া করল তখন অবশ্যই সকলের জন্যই উপবৃত্তির ব্যবস্থা করে। তবে সব ছাত্রছাত্রী না আপনারা জানেন যে মোট ছাত্রীর ৩০% এবং মোট ছাত্রের ১০% উপবৃত্তি দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু আজকের বিষয় হলো যে দ্বাদশ শ্রেণীতে আসলে উপবৃত্তি হিসেবে কত টাকা করে দেওয়া হয়। আপনারা এই হিসাবটি অবশ্যই আমাদের এখান থেকে এখন দেখে নিতে পারবেন।
উপবৃত্তি কি?
উপবৃত্তি হলো সাধারণত কিছু অর্থ দেওয়া যে সকল মেধাবী শিক্ষার্থী অর্থের অভাবে ঠিকমতো পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে না তাদের উদ্দেশ্যে। নিঃসন্দেহে সরকারের এই উদ্যোগ অনেক শিক্ষার্থীকে শিক্ষার্থী জীবন থেকে ঝরে যাওয়া থেকে রক্ষা করেছে। এবং এই বিষয়টিকে আমরা অবশ্যই সরকারের জন্য শুভ উদ্যোগ এই হিসেবে তাদেরকে অবশ্যই একটি সাধুবাদ জানানো যায়। কারন আমাদের এই বাংলাদেশ এর অনেক মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করে থাকেন। দারিদ্র সীমার নিচে যে মেধাবী শিক্ষার্থীগুলো রয়েছে তাদের
লেখাপড়ার জন্য এই সরকারের উদ্যোগ অর্থাৎ উপবৃত্তি দেওয়ার বিষয়টি তাদের জন্য বেশ উপকারী। তাই আপনারা অবশ্যই এ বিষয়টি বুঝে নিতে পারলেন যে উপবৃত্তি একজন মেধাবী শিক্ষার্থীর জন্য অর্থাৎ গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীর জন্য অনেকটাই প্রয়োজন। তাহলে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে সামান্য পরিমাণে সাহায্য করার অর্থাৎ আর্থিক সাহায্য করার জন্য যে অর্থ দেওয়া হয় তাহাই উপবৃত্তি নামে পরিচিত। উপবৃত্তি পাওয়ার জন্য কিছু যোগ্যতা বা ক্রাইটেরিয়া রয়েছে। সেই যোগ্যতা গুলি যদি তারা ঠিক মতো পালন করে তাহলে অবশ্যই একজন গরীব মেধাবী শিক্ষার্থী উপবৃত্তি পাওয়ার যোগ্য হবেন।
দ্বাদশ শ্রেণির উপবৃত্তি কত টাকা ২০২৪
দ্বাদশ শ্রেণির যেহেতু উচ্চ মাধ্যমিকের একটি শ্রেণি এই কারণে এই সময় যে আর্থিক সাহায্য সরকার থেকে পাওয়া যায় সেই আর্থিক সাহায্যটি অবশ্যই একটু বেশি হতে হবে তা না হলে তাদের লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া অনেকটাই দুঃসহ হবে বলেই মনে করি। তাই আমরা দেখব যে, দ্বাদশ শ্রেণী অধ্যায়নরত একজন শিক্ষার্থী আসলে কত টাকা করে উপবৃত্তি পেতে পারে বা কত টাকা করে উপবৃত্তি পায় সেই বিষয়টি আমাদের জানতে হবে। আমরা এখন জানব যে দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা কত সেই সম্পর্কে।
আমরা দেখি যে যে সকল শিক্ষার্থীরা দ্বাদশ শ্রেণীর উপবৃত্তি পেয়ে থাকে তাদের ফর্মে লেখা থাকে যে তারা মোট ৬ হাজার টাকা উপবৃত্তি পাবে। তবে যারা উপবৃত্তি পায় তাদেরকে দেখা গিয়েছে যে প্রথম ধাপে তারা ৪৮০০ টাকা উপবৃত্তি হিসেবে পায় এবং পরবর্তী ধাপে পেয়ে থাকে 2400 টাকা। কারণ এখানে বইপত্র কেনার জন্য প্রথম ধাপে কিছু টাকা বেশি দেওয়া হয়। তাহলে আপনারা এই বিষয়টি সম্পর্কে অবশ্যই আমাদের এখান থেকে বুঝতে পারলেন যে উপবৃত্তি হিসেবে দ্বাদশ শ্রেণীতে কত টাকা দেওয়া হয়। এ ধরনের যাবতীয় কিছু পাওয়ার জন্য আপনারা অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটে থাকবেন বলে আশা করি।