১ লক্ষ টাকা ব্যাংকে রাখলে ২০২৪ সালে কত টাকা পাওয়া যায়

আজকে আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করব। অনেকেরই এই বিষয়ের উপর প্রশ্ন থাকে কিন্তু এই টপিকের ওপর সঠিক তথ্য পাওয়া যায় না। আজকে আমরা বিস্তারিত আলোচনায় আপনাদের বুঝিয়ে দেবো এক লক্ষ টাকার আসল এবং সুদ, মুনাফা ইত্যাদি যাবতীয় তথ্য। আপনি কি এক লক্ষ টাকা ব্যাংকে রাখতে চাচ্ছেন?
এক লক্ষ টাকা যদি ব্যাংকে রাখেন তাহলে আপনি প্রতি মাসে ১ লক্ষ টাকার কিছু লাভ পাবেন।

কিন্তু বর্তমানে ২০২৪ সালে এই লাভের পরিমাণ অনেক কমে গেছে। আগে ১০০% লাভে প্রতিমাসে এক লক্ষ টাকা লাভ ছিল এক হাজার টাকা। কিন্তু এখন সেটা কমে ৬% অথবা ৭% এসে দাঁড়িয়েছে। আপনি যদি এক লক্ষ টাকা ব্যাংকে রাখতে চান তাহলে ব্যাংক এ রাখার পরিবর্তে পোস্ট অফিসে রাখতে পারেন। কারণ ব্যাংকের তুলনায় পোস্ট অফিসে লাভের পরিমাণ বেশি। তাই এডভাইস হিসেবে বলব ব্যাংকে না রেখে পোস্ট অফিসে রাখতে পারেন।
ব্যাংকে ৭৫০ _৮০০ টাকা দিবে মাসে। আর পোষ্ট অফিসে রাখলে ৮৬০ _৯০০ টাকা দিবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক প্রদত্ত এই লাভের পরিমাণ কম করে দেওয়া হয়েছে। সকল ব্যাংকই প্রায় কাছাকাছি মুনাফা বা সুদ প্রদান করে থাকে। ব্যাংক ঋণের হার উর্ধ্বসীমা ৯% বেধে দেওয়ার ফলে আমানতকারীদের আমানতের উপর খুব একটা মুনাফা ব্যাংক চাইলেও দিতে পারছেনা। সকল ব্যাংকে এফডিআর ৫-৭% সুদ দিয়ে থাকে। আপনি ১ লক্ষ টাকা ব্যাংকে রাখলে আসলে কোন লাভই হবে না। মেয়াদ শেষে ৬% মুনাফা সহ আপনি যে টাকা পাবেন তা ঐ সময়ে মূলত এক লক্ষ টাকাই থাকবে অর্থাৎ ব্যাংকে টাকা রাখলে মূল্যস্ফিতির সাথে মূল্যমান সমন্বয় করলে আপনার টাকা বাড়বে না।

মধ্যবিত্ত মানুষরা যারা ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে সপ্তাহে অথবা মাসিক কিস্তি অনুযায়ী লোন শোধ করে। এক্ষেত্রে লোন পরিশোধের সময় অনেক ব্যাংককে সুদের পরিমাণ অনেক বেশি ধরা হয়। মধ্যবিত্ত বন্ধুরা যারা লোন নিয়ে উন্নতি করার পথে অগ্রসর হয় তাদের এডভাই হিসাবে বলব গ্রামীণ ব্যাংক নামক একটি সংস্থা রয়েছে যেখানে ক্ষুদ্র লোন প্রদান করা হয় এবং স্বল্প সুদ আদায়ের মাধ্যমে কিস্তি আকারে লোন পরিশোধের সুবিধা রয়েছে। এছাড়া অনেক এনজিও রয়েছে যেমন ব্ল্যাক, আশা, এস এস, পল্লী উন্নয়ন সমিতি ইত্যাদি এগুলো এনজিও থেকে খুব সহজে ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান করা হয় এবং স্বল্প সুদ আকারে ঋণ পরিষদের ব্যবস্থা থাকে।

ব্যাংকগুলো প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে এর চেয়ে কম সুদও নির্ধারণ করতে পারবে। তবে কোনোক্রমেই ৯ শতাংশের বেশি সুদ নেয়া যাবে না। নিয়মিত ঋণ বা বিনিয়োগের বিপরীতে অতিরিক্ত কোনো মুনাফা বা দণ্ডসুদও আরোপ করা যাবে না।
রফতানির ঋণের সুদের হার ৭ শতাংশে অপরিবর্তিত থাকবে। তবে ৬ শতাংশে আমানত নেয়ার ব্যাপারে কোনো বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়নি। বিষয়টি ব্যাংকারদের ওপর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংকগুলো তাদের তহবিল ব্যবস্থাপনা ব্যয় কম রাখার চেষ্টা করবে।

এতে স্বাভাবিকভাবেই আমানতের সুদের হার কম হবে। বিষয়টি ব্যাংকগুলোই এখন প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে নিরূপণ করবে। ঋণের সর্বোচ্চ সুদ বেঁধে দেয়া হয়েছে। এখন এর ওপর ভিত্তি করেই আমানত সংগ্রহ ও অন্যান্য খরচ মেটানো হবে।

আরও জানা গেছে, উল্লিখিত প্রজ্ঞাপন জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের কাছে পাঠানো হয়েছে। ব্যাংকগুলো যাতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে পারে, সেজন্য এক মাসের বেশি সময় দেয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই সার্কুলার জারির ফলে ঋণ ও বিনিয়োগের সুদের হার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনা ব্যাংকগুলোর জন্য বাধ্যতামূলক হল। এতদিন ঋণের সুদহার সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনার জন্য সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে গভর্নর পর্যন্ত বলার পরও ব্যাংকগুলো তা কার্যকর করেনি।

এই পোস্টটির মাধ্যমে আমরা আসল , সুদ এবং মুনাফা এর ওপর যাবতীয় তথ্য প্রদান প্রদান করেছি। ভাষায় বোঝানো হয়েছে যে বর্তমান বাংলাদেশ ব্যাংক অনুযায়ী এক হাজার টাকা ব্যাংকে রাখলে প্রতিমাসিক তার লাভ কত টাকা পাওয়া যায়। আশা করি আমাদের এই সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনায় আপনারা আপনাদের প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে সক্ষম হয়েছেন।

Leave a Comment