বাংলাদেশ পুলিশ বিভাগ থেকে যখন আপনাদের জন্য চাকরির সার্কুলার আসে তখন সেই সার্কুলার অনুযায়ী আবেদন করতে হয়। পুলিশের চাকরিতে অনেক সময় লবিং চলে এবং টাকা পয়সার খেল চলে বলে আপনারা হয়তো জানতে চান পুলিশের চাকরি পাওয়ার জন্য কত টাকা লাগে। তবে এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের এখন জানিয়ে দিতে চলেছি যে বর্তমান সময়ে এ ধরনের বিষয়গুলো উঠে গিয়েছে এবং এরকম বিষয়গুলো হয়ে থাকলেও সেগুলো আমাদের জানা নাই।
পুলিশের চাকরি পেতে হলে আপনাকে শারীরিক যোগ্যতা মেধা এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভর করে এই চাকরি পেতে হবে। আর যাদের কৌটা সুবিধা রয়েছে তারা তো বিশেষভাবে এই চাকরিতে নিয়োগ পাওয়ার জন্য সে সকল সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। পুলিশের চাকরি কে চাকরি না বলে এটাকে বরং সেবার পেশা বলা হয়ে থাকে। অর্থাৎ এখানে আপনি যদি আসেন তাহলে বাংলাদেশের ভেতরে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রেখে মানুষের সেবা প্রদান করতে পারবেন। এই দৃষ্টিকোণ থেকে আপনি যদি সেবাই ব্রত নিয়ে এই কাজে আসতে চান তাহলে আসতে পারেন।
বাংলাদেশ পুলিশ বিভাগ থেকে অনেক সময় ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর অথবা কনস্টেবল পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আসে। সে ক্ষেত্রে আপনার যদি গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন হয়ে থাকে তাহলে আপনারা ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন অথবা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারলে কনস্টেবল পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা থেকে শুরু করে শারীরিক যোগ্যতার যে বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলোর ভিত্তিতে প্রকাশিত সার্কুলার অনুযায়ী বয়স দেখে আবেদন করতে পারেন।
অনেকেই বলে থাকে পুলিশের চাকরিতে ৮ থেকে ১০ লাখ অথবা 15 থেকে 20 লাখ টাকা ঘুষ দেওয়া লাগে যার ভিত্তিতে আপনাদের চাকরি কনফার্ম হবে। আপনার যদি শারীরিক যোগ্যতা ও মেধা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাদের এ সকল পথ অবলম্বন করে টাকাগুলো নষ্ট করার কোন দরকার নেই। সৎভাবে চেষ্টা করতে পারলে সেটা আপনাদের জন্য অনেক ভালো হবে এবং আশা করি আপনার যদি সকল যোগ্যতা মিলে যায় তাহলে আপনি নিজেকে সেই পজিশনে নিয়ে যেতে পারবেন। তাই এখানে যারা ভিজিট করেছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলবো যে পুলিশের চাকরিতে কত টাকা লাগতে পারে সে প্রসঙ্গে আমাদের কোন তথ্য জানা নেই।
এক্ষেত্রে কেউ যদি আপনাদের সঙ্গে ঠকবাজি করে চাকরি দিব বলে কনফার্ম করে অথবা চাকরি পাওয়ার পরে টাকা দিতে হবে এমন কোন প্রতিশ্রুতি প্রদান করে তাহলে সেটা একান্তই আপনাদের ব্যক্তিগত দায়ভার। তবে বর্তমানের সিস্টেম অনুযায়ী আপনার শারীরিক যোগ্যতা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা থেকে শুরু করে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার বিষয়গুলো যেভাবে উল্লেখ করা থাকে সেই ভিত্তিতে আপনি যদি পারফেক্ট হয়ে থাকেন তাহলে টিকে যাবেন। সেই ক্ষেত্রে পুলিশের চাকরিতে কত টাকা খরচ হতে পারে সেটা একমাত্র আবেদন পত্র দেখলেই বোঝা যাবে।
পুলিশের চাকরিতে কত টাকা খরচ হয়
অর্থাৎ বাংলাদেশ পুলিশের যেসকল ব্যক্তি চাকরি করছেন তারা কৌটার প্রভাবে তেমন চাকরি করছেন তেমনিভাবে যাদের কোন কৌটা নেই তারা আবেদন করার ভিত্তিতে চাকরি করছেন। আবেদনের ক্যাটাগরি অনুযায়ী আবেদনের খরচ আলাদাভাবে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে বলে আপনারা যে আবেদন করছেন সেই আবেদনের খরচ হিসেবে যত টাকা সার্কুলার উল্লেখ করা আছে ঠিক তত টাকায় আপনাদের খরচ করতে হবে। এক্ষেত্রে অনলাইন সার্ভিসের খরচ অথবা যেদিন নিয়োগ সংক্রান্ত কাজের জন্য আপনাদেরকে ফিল্ডে ডাকা হবে সেদিন উপস্থিত হওয়ার জন্য যাতায়াত ভাড়া বাবদ এই খরচ গুলো হয়ে থাকবে।
পুলিশের চাকরির আবেদন খরচ কত
মাঝেমধ্যে পত্রিকায় বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন আসে যে কোন একজন ব্যক্তি শুধু আবেদন ফি দিয়ে সেই চাকরি পেয়েছেন। তাই আপনি যদি পুলিশের চাকরির আবেদন খরচ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে কেমন ধরনের আবেদন করতে চান অথবা সাব ইন্সপেক্টর নাকি কনস্টেবল পদের জন্য আবেদন করতে চান সেটার ভিত্তিতে এই খরচ নির্ধারণ করবে। তাই পুলিশের চাকরির আবেদন খরচ আবেদন পত্র যেভাবে উল্লেখ থাকবে ঠিক সেভাবেই আপনাদেরকে প্রদান করতে হবে এবং এর বেশি খরচ করার কোন দরকার নেই।