আপনারা যারা ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে চান তাদের প্রথমে জানতে হবে তারা আসলে কি ধরনের অ্যাকাউন্ট খুলতে চাইছে। ডাচ বাংলা ব্যাংকে আপনারা সাত ধরনের অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন এবং এর ভেতরে আপনাদের উদ্দেশ্যে আমরা এখানে মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট খোলার নিয়ম এবং সেভিংস একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানিয়ে দেব। সুতরাং যাদের ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট খোলার ইচ্ছা হয়েছে অথবা সকল ব্রাঞ্চ ঞ্চ যদি আপনাদের কাছাকাছি হয়ে থাকে তাহলে এখান থেকে লেনদেন করাটাই আপনাদের জন্য সুবিধা জনক হবে বলে মনে করি।
তাই এখানকার এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা ডাচ বাংলা ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট খোলার বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা অর্জন করুন এবং একাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে অবশ্যই নির্দিষ্ট নিয়ম কানুন মেনে চলুন। আপনি যদি সরাসরি অফলাইনে গিয়ে অথবা ডাচ-বাংলা ব্যাংকের কাছে একটি সেভিংস একাউন্ট খুলতে চান তাহলে সেখানে সেই অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম এবং ডকুমেন্টস প্রদান করতে হবে। আবার অনলাইনের মাধ্যমে যদি মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট খুলতে চান তাহলেও কিন্তু আপনাকে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়েই এটা খুলতে হবে।
সুতরাং যে কোন ধরনের অ্যাকাউন্ট আমাদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং এ লেনদেনের ক্ষেত্রে এ সকল অ্যাকাউন্টের প্রত্যেকটি তথ্য যেমন নেওয়া হয় তেমনি ভাবে আমাদের যেগুলো দেওয়া হয় সেগুলো আমাদের সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা উচিত। নিরাপত্তার সঙ্গে লেনদেন করার ক্ষেত্রে অথবা কার্ড থাকলে আপনি যে কোন জায়গায় ডাচ বাংলা ব্যাংকের বুথ পেয়ে যাবেন বলে সেটার মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করাটা অনেক সুবিধা জনক হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডের যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৬ সালে এই ব্যাংক যাত্রা শুরু করলেও বর্তমান সময়ে জনপ্রিয়তার শেষে রয়েছে এবং শিক্ষাবৃত্তির মাধ্যমে সকলের কাছে এটা পরিচিতি লাভ করতে পেরেছেন।
তাই নিচের দিকে আপনাদের উদ্দেশ্যে ডাচ বাংলা ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট খুলতে কি কি লাগে অথবা কত টাকা লাগে সেই প্রসঙ্গে আমরা জানিয়ে দিচ্ছি। সাধারণত আপনি যদি মোবাইল ব্যাংকিং এর একাউন্ট খুলেন তাহলে সেই একাউন্টে ৫০ টাকা দিয়ে খুললেই হয়ে যাবে এবং সেই টাকা আপনাদের ব্যালেন্সে থেকে যাবে। আবার যদি আপনি সেভিংস একাউন্ট খুলতে চান তাহলে সেই একাউন্টে মিনিমাম ব্যালান্স হিসেবে ৫০০ টাকা দেখাতে হবে এবং সেই ৫০০ টাকা আপনাকে ব্যাংকে প্রদান করতে হবে।
ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে
আপনি যদি ডাচ বাংলা ব্যাংকের সেভিংস একাউন্ট খুলতে চান তাহলে সেই ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ব্যাংকে গিয়ে খোঁজখবর নিতে হবে যে তার আসলে কি কি ডকুমেন্টস লাগবে। সেভিংস অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে আপনারা অবশ্যই জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি নিয়ে যাবেন এবং দুই কপি শব্দ তোলা ছবি নিয়ে যাবেন। আপনার এই একাউন্টের নমিনি কাকে তৈরি করতে চাচ্ছেন তার জাতীয় পরিচয় পত্র এবং এক কপি ছবি লাগবে। ডাচ বাংলা ব্যাংকের যে কোন অফিস অথবা ফার্স্ট ট্র্যাক অফিসে গেলেও কিন্তু এই অ্যাকাউন্ট গুলো খোলা যাবে এবং টাকা ডিপোজিট করা যাবে।
ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে
আর যদি মোবাইল ব্যাংকিং এর একাউন্ট খুলতে চান তাহলে আপনারা খুব সহজেই mobile ফোনে একটি রকেট অ্যাপস ডাউনলোড করে নিবেন। সেখানে যেহেতু প্রথমেই লগইন অপশন দেওয়া থাকে সেহেতু আপনারা *322# ডায়াল করার মাধ্যমে আপনার অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য কিছু ধাপ অনুসরণ করতে বলবে। সেক্ষেত্রে সেই নাম্বারে আপনারা যদি একাউন্ট খুলতে চান তাহলে সর্বপ্রথম একটা পিন নম্বর সেট করবেন এবং ৪ ডিজিটের এই পিন নাম্বার কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। তারপরে অ্যাপস ডাউনলোড করে সেখানে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি এবং নিজের ছবি দেওয়ার মাধ্যমে একাউন্ট খুলতে পারবেন।
ডাচ বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট চার্জ
উপরের উল্লেখিত আলোচনার ভিত্তিতে আপনারা সেই একাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে একজন এজেন্ট এর কাছে গিয়ে খুললে খুব ভালো হয়। নিকটস্থ বাজারে গেলে কিন্তু এজেন্ট ব্যাংকিং অথবা বিভিন্ন অপশন রয়েছে যেখান থেকে আপনারা ডাচ বাংলা ব্যাংকের একাউন্ট খুলতে পারবেন। আর যারা ডাচ বাংলা ব্যাংকের সেভিংস একাউন্ট চার্জ সম্পর্কে জানতে চাইছেন তাদের বলব যে মিনিমাম ব্যালেন্স আপনাদেরকে ৫০০ টাকা চার্জ হিসেবে রাখতে হবে। ধন্যবাদ।