বর্তমান সময়ের বিভিন্ন রোগের পাদুর্ভাব ঘটছে। তবে বিভিন্ন রোগের হাত থেকে বাঁচার জন্য আমাদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মত চলতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ঔষধ সেবন করতে হবে। কেননা আমরা যদি চিকিৎসকের পরামর্শ মত না চলি বা প্রয়োজনীয় ঔষধ সেবন না করি, তাহলে বিভিন্ন ছোট ছোট সমস্যা গুলো থেকে বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে। এজন্য স্বাস্থ্য বিষয়ে আমাদের সচেতন হতে হবে এবং যেকোন ছোট ছোট বিষয় গ্রাহ্য করতে হবে এবং গুরুত্ব দিতে হবে। আর চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চলতে হবে। তাহলে সে ছোট ছোট সমস্যা গুলোর হাত থেকে বাঁচা সম্ভব হবে এবং বিভিন্ন রোগের হাত থেকে বাঁচা সম্ভব হবে। কিন্তু কোন ব্যক্তি যদি ছোট ছোট অসুখকে গ্রাহ্য না করে, অবহেলা করে, তাহলে এই ছোট রোগগুলো থেকে বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে। এক সময় মৃত্যুরও কারণ হতে পারে।
বর্তমান সময়ে অনেক বেশি পরিচিত একটি রোগ হচ্ছে ডেঙ্গু জ্বর। বেশিরভাগ মানুষই এই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে। আর প্রথম অবস্থায় এই ডেঙ্গু বুঝা যাচ্ছে না। কিন্তু কোন কারণে কোন ব্যক্তি যদি সচেতন থাকে এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য চেষ্টা করে, তাহলে খুব সহজেই ডেঙ্গুর হাত থেকে বাঁচা সম্ভব হবে। কিন্তু কোন ব্যক্তি যদি শুরুতে বুঝতে না পারে, তাহলে তা জটিল আকার ধারণ করতে পারে। অনেকেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণও করতে পারে।
কোন ব্যক্তি যদি জ্বরে আক্রান্ত হয়, তাহলে রক্তে থাকা প্লাটিলেট কমে যায় এবং ডেঙ্গু জ্বরের আক্রান্ত হওয়ার কারণে এই প্লাটিলেট কমে যেতে থাকে। আস্তে আস্তে যদি কোন ব্যক্তির এই প্লাটিলেট কমতে থাকে, তাহলে সে ব্যক্তির অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যাবে এবং মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়বে৷ কিন্তু যদি কোনো কারণে কোন ব্যক্তির ডেঙ্গু হওয়া সত্ত্বেও রক্তে থাকা প্লাটিলেট না কমে, তাহলে সে ব্যক্তির সুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি থাকে এবং খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে পড়ে।
কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে এই প্লাটিলেট কমতে থাকে এবং আস্তে আস্তে রক্তের প্লাটিলের বেশি কমে যায়। তাহলে এখান থেকে রিকভার করা কঠিন হয়ে পড়ে। এজন্য ডেঙ্গু আক্রান্তের কোনো লক্ষণ দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ঔষধ সেবন করতে হবে। তবে অনেকেই দেখা যায় যে এই ডেঙ্গু থেকে খুব তাড়াতাড়ি রিকভার করতে পারে বা প্লাটিনের খুব তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি করতে পারে। মূলত এটি নির্ভর করে শরীরের ওপর। কার শরীর কতটা ভালো বা স্ট্রং তার উপর এটা অনেকটা নির্ভর করছে।
অনেকেই দেখা যায় যে এই প্লাটিলের কিভাবে বৃদ্ধি করা যায়, কিভাবে তাড়াতাড়ি বাড়বে এই বিষয়গুলো জানার জন্য অনলাইনে সার্চ করে। এই আর্টিকেলটিতে এই বিষয়টি লেখার চেষ্টা করব। আপনি যদি এই আর্টিকেলটড পড়েন, তাহলে এই বিষয়ে জেনে নিতে পারবে। ন যদি কোন ব্যক্তি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয় এবং প্লাটিলেট কমে যায়, তাহলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং পরামর্শ মত ঔষধ সেবন করাতে হবে। যতটা সম্ভব যেকোনো কিছু খাওয়াতে হবে। কারণ না খেয়ে থাকলে আরো কমে যেতে পারে। খেতে না পারলে স্যালাইন দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
স্যালাইন শরীরে পুশ করলেও শরীর অনেকটা সুস্থ থাকে এবং প্লাটিলেট দ্রুত কমার হাত থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তাছাড়া খাবার স্যালাইন খেতে হবে এবং অন্যান্য ফল খেতে হবে। ফল-মূলে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর উপাদান থাকে এবং রক্তে থাকা প্লাটিলেটের পরিমান বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তাই খাবারের তালিকায় এই ফল-মূলের সন্নিবেশ ঘটাতে হবে এবং বেশি করে খাবার স্যালাইন খেতে হবে। যদি একেবারেই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী খেতে না পারে, তাহলে তার প্লাটিলেট অনেক বেশি কমে যাবে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শে চলতে হবে।