আপনারা জানেন যে জমির রেকর্ড বলতে সাধারণত যে বিষয়টি বুঝায় তা হল-সরকারি খাতায় জমির মালিকানা নাম পরিবর্তনের প্রক্রিয়াকে যে জমির রেকর্ড বার জমির নাম জারি বলা হয়। হঠাৎ একটি জমি চিরটা কাল ধরে একই মানুষের থাকবে এটি কখনোই হতে পারে না। বংশানুক্রম অনুসারে জমির মালিকানা পরিবর্তন হয়। পৈতৃক সূত্রে পাওয়া জমির মালিকানা দীর্ঘদিন ধরে চললেও একটা সময় এসে অবশ্যই সেই জমির মালিকানা পরিবর্তন করে নিতে হয়। সাধারণত জমি দুই ধরনের হয়ে থাকে।
যখন কোন জমির মালিকানা নাম পরিবর্তন করা হয় তখন তার সাথে সাথে জমির রেকর্ড বা নামজারির পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়। অর্থাৎ জমির মালিকানা দুই ধরনের হওয়া যায় এক ধরনের মালিকানা সাধারণত জমির ক্রয় সূত্রে হওয়া যায় এবং আরেক ধরনের জমির মালিকানা ৩৫ সূত্রে বা ওয়ারিশ সূত্রে হওয়া যায়। তাহলে আমরা এতক্ষণে বুঝে নিলাম যে জমির মালিকানা বলতে আসলে সাধারণত আমরা কোন জিনিসটি বুঝি। এখন দেখব যে এই জমির রেকর্ড কিভাবে পরিবর্তন করা যায়। এবং প্রক্রিয়া গুলো কি সেগুলো সম্পর্কে দেখি।
রেকর্ড কেন সংশোধন করতে হয়
কোন কারনে জমির রেকর্ড বা মালিকানা অন্য ব্যক্তির নামে যদি থাকে আর প্রকৃত মালিকানায় আরেকজন হয় তাহলে অবশ্যই জমির রেকর্ড সংশোধন করতে হয়। জমির এ সকল রেকর্ড সংশোধন করতে হলে অবশ্যই আমাদের কারণগুলো উল্লেখ করতে হবে কোন কারণে জমির মালিকানা পরিবর্তন হয়েছে সেই বিষয়গুলি। বিভিন্ন কারণেই জমির রেকর্ড বা মালিকানা পরিবর্তন হতে পারে এবং সেগুলো অবশ্যই আগের জায়গায় থাকবে এবং সেখান থেকে অবশ্যই সংশোধন করে নিতে হয়।
আপনি যদি কোন জমির ক্রয় সূত্রের মালিক হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই সেই জমির মালিকানা পরিবর্তনের জন্য আপনাকে নামজারীর সেই আবেদন করতে হয়। এছাড়াও আপনি পৈতৃক সূত্রে কোন জমির মালিক হয়েছেন তখন অবশ্যই সেই জমির মালিকানা পরিবর্তন করতে হলেও আপনাকে নামদারির আবেদন করতে হয় বা রেকর্ড সংশোধনের আবেদন করতে হয়।
কিভাবে রেকর্ড সংশোধন করব
জমি রেকর্ড সংশোধন করতে হলেও আপনি দুই ভাবে রেকর্ড সংশোধন করতে পারবেন। প্রথমত আপনি যদি রেকর্ড সংশোধন করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ইউনিয়ন ভূমি অফিস অথবা উপজেলা ভূমি অফিসে গিয়ে আবেদন সাবমিট করতে হবে। আবেদনের সাথে সাথে আপনাকে জমির মালিকানা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্যাবলী অর্থাৎ দাগ নম্বর জমির খতিয়ান নম্বর সহ ঠিকানা ইত্যাদি সকল কিছু দিতে হবে।
তখন সব তথ্য গুলি যাচাই-বাছাই করে ভূমি কর্মকর্তাগণ সিদ্ধান্ত নিবেন সংশোধন করার জন্য। এরপরে আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসে জমির রেকর্ড সংশোধনের আবেদন করতে পারেন। রেকর্ড বা খতিয়ান সংশোধনের জন্য আদালতে মামলা করার নিয়ম রয়েছে। আদালতে মামলা করার নিয়ম হচ্ছে, প্রত্যেক জেলার আদালতে “ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল”নামে একটি ট্রাইবুনাল রয়েছে। এই ট্রাইবুনালে আপনি খতিয়ান সংশোধনের মামলা করতে পারেন।
সে এবং সেই আদালত আপনাকে সেই সকল ভুল ত্রুটি গুলো দেখে আদালত রায় দেবে আপনার রেকর্ড সংশোধন করা যায় এবং কোন জায়গা গুলো কিভাবে সংশোধন করতে হবে আদালত অবশ্যই রায় এ বিষয়গুলো বলে দেবে। আবার অনলাইনে আবেদন করলেও আপনার যথাযথ বিষয়ে ব্যবস্থা নিবে ইউনিয়ন ভূমি অফিস অথবা উপজেলা ভূমি অফিস। তবে তাদেরকে অবশ্যই সব ধরনের তথ্য এবং জমি সংক্রান্ত সকল কাগজপত্রাদি দিয়ে তাদেরকে অবশ্যই সহযোগিতা করতে হবে।
এ ধরনের যে কোন তথ্য গুলি পাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত যেতে হবে এবং বারবার আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের সঙ্গে থাকতে হবে। আর যদি বারবার ভিজিট করে আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে আপনার সব ধরনের তথ্য আমাদের এখান থেকেই পেয়ে যেতে পারবেন। তার কারণ হলো আমরা সব ধরনের তথ্যই সবার আগেই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে থাকি এবং সঠিক তথ্য দিয়ে আপনাদেরকে সাহায্য করি।