কিভাবে স্মার্ট হওয়া যায়

বর্তমান আধুনিক বিশ্বে আপনি যদি স্মার্ট না হন তাহলে জীবনে কিছুই করতে পারবেন না। আজকে আমরা এই আর্টিকেলটিতে স্মার্ট মানুষের কিছু বৈশিষ্ট্য আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আমাদের জেনারেশনের সব ছেলেমেয়েদেরই এই আর্টিকেলটি নিশ্চয়ই ফলো করা উচিত। স্মার্টনেস কাকে বলে?আমরা সত্যিই কি জানি স্মার্ট হওয়াটা কাকে বলে?

স্মার্ট মানুষ সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই কিন্তু ভুল ধারণা রয়েছে। কারন আমরা ওয়েস্টিন ড্রেস পর আধুনিক মর্ডান নারী এবং সুদর্শন পুরুষদেরকেই স্মার্ট মানুষের তালিকায় ফেলি। কিন্তু শুধু বাইরের আবরণ দেখে কি আমরা বিচার করতে পারি যে, কে স্মার্ট আর কে আনস্মার্ট?এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা যে কারো রুপ দেখে বিচার করা যে কে স্মার্ট আর কে আনস্মার্ট।

স্মার্ট হতে গেলে সব চাইতে বেশি প্রয়োজন সেটি হলো জ্ঞান।যার জ্ঞান যত বেশি , সে ততো বেশি স্মার্ট। যে পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে জানে সে হচ্ছে স্মার্ট। যেই মানুষ একা একা নিজের দায়িত্ব বহন করতে পারে এবং সকল কাজে যার দক্ষ বেশি সেই হচ্ছে স্মার্ট। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং কথা বলার দক্ষতা যা রয়েছে সেই হলো স্মার্ট।

এখন আমরা স্মার্ট মানুষের কিছু বৈশিষ্ট্য জানবো। এবং এই বৈশিষ্ট্য গুলো নিজের জীবনে প্রতিফলন করার চেষ্টা করব।
Smart মানুষেরা কোন কাজকে Problem মনে করে না।স্মার্ট মানুষেরা যে কোনও কাজকে সামনা সামনি মোকাবেলা করে। স্মার্ট মানুষেরা যে কোন সমস্যার গঠনমূলক সমাধান খুঁজে বের করবার চেষ্টা করে। এরা যখন ব্যর্থ হয়, আবার নোতুন উদ্যোগে কাজ করবার প্রয়াস পায়। পড়ে গেলে থেমে থাকেনা।

উঠে দাঁড়ায়। হেঁটে যাবার চেষ্টা করে। কারণ, স্মার্ট মানুষেরা জানে যে জীবন উপভোগ করা খুবই সহজ। স্মার্ট মানুষেরা সাহসী। এরা Problem থেকেই সমাধান পায়।স্মার্ট মানুষেরা মনেই করেনা যে অন্যেরা কি বললো।পাছে, লোকে কিছু বলে, এটা স্মার্ট মানুষেরা ধর্তব্যের মধ্যেই আনে না। আমাদের এই দুনিয়ায় সন্দেহপ্রবণ মানুষের কোনই অভাব নেই। নেতিবাচক মনোভাব নিয়ে থাকেন এ ধরনের লোকদেরও কোন ঘাটতি নেই। মানুষকে ঘৃনা করে এমন লোকও সমাজে যথেষ্ট, আরও আছে যারা পিছু হটে। স্মার্ট মানুষেরা এসব মানুষদের এড়িয়ে চলে সব সময়।

স্মার্ট মানুষেরা জানে সময় কত মূলবান। এরা সময়কে মূল্যায়ন করে। অলস মানুষেরা কোনদিনই স্মার্ট হতে পারে না। যারা সময়ের সঠিক ব্যবহার করে নিজেদেরকে ক্যারিয়ার গড়ে তোলে তারাই হলো স্মার্ট। সুন্দর চেহারা নিয়ে যদি সারাদিন ঘুরে বেড়াও তাহলে সেই স্মার্টনেসের কোন দাম নেই। তোমার আচরণ যাতে পরিচয় দেয় যে তুমি স্মার্ট সেরকম ভাবে নিজের স্মার্টনেসকে দেখানোর চেষ্টা করো।

স্মার্ট মানুষদের মধ্যে সব থেকে বড় গুণ হচ্ছে, যেকোন বিষয় সম্পর্কে তাদের সাধারণ ধারণা থাকে, যা অন্যদের চোখে তাকে তুখোড় বুদ্ধিমান বলে মনে করায় । এবার আসি স্মার্টনেস কেন প্রয়োজন? আপনি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠার পর থেকে শুরু করে রাতে পুনরায় বিছানায় যাওয়ার আগে পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা সময়ের সার্কেলে কত শত মানুষের সাথে উঠাবসা করছেন, একবার ভেবে দেখেছেন?

আপনাকে প্রতিদিন প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে শত শত মানুষের সাথে চলতে হচ্ছে, বিনিময় করতে হচ্ছে, কাজ করতে হচ্ছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কাজের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময়ে মানুষকে সামলানোর জন্য দক্ষতার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। আপনি যত বেশি মানুষকে কনভেন্স করতে পারবেন, ততই কাজের গতি আপনার স্মুথ হবে । আপনি সহজেই সাফল্যের দেখা পাবেন ।

স্মার্ট হওয়ার উপায় গুলো অনেকেই জানতে চাই। তাদের জন্য আমরা কিছু পয়েন্ট উল্লেখ করছি। এগুলো ফলো করে আপনিও নিজেকে স্মার্ট হিসেবে গড়ে তুলুন।

১. মানুষের সাথে চলাফেরার দক্ষতা অর্জন করুন‌
২. ইতিবাচক অভ্যাস করুন।
৩. মস্তিষ্কের সক্ষমতা বৃদ্ধি করুন।
৪. শিক্ষাতে মন দিন।
৫. আপনার জীবনকে প্রসারিত করুন।
৬. আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠুন।
৭. যেকোনো পরিস্থিতিতে নিজেকে ঠিক রাখার চেষ্টা করুন।
৮. নিজের বুদ্ধিমত্তা দিয়ে সমস্যা সমাধান করার মনোভাব তৈরি করুন।

আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে স্মার্ট কাকে বলে। স্মার্টনেস কে কিভাবে প্রকাশ করা উচিত। স্মার্ট মানুষ সম্পর্কে যদি আপনাদের ভুল ধারণা থাকে তাহলে আশা করছি যে আমাদের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে স্মার্ট মানুষ সম্পর্কে আপনাদের সঠিক ধারণা হয়ে গেছে।

Leave a Comment