প্রোটিনের জন্য খাবারের মধ্যে সবচাইতে যে খাবারটি গুরুত্ব পূর্ণ তাহলো ডিম। ডিমের গুণাগুণ এতটাই বেশি যা বলে শেষ করা যাবে না। তাছাড়া আমরা অনেকেই ডিম খেতে অনেক বেশি ভালবাসি সকালের নাস্তা থেকে শুরু করে বিকেলের নাস্তা অব্দি কোন না কোন ক্ষেত্রে ডিম আমাদের খাবার মেনুতে থাকেই। আমরা মূলত অনেকেই অনেক ভাবে ডিম খাই কেউ ভেজে খাই কেউ সিদ্ধ খাই আবার কেউ বা বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে খাই। তবে আপনি যেভাবে ডিম খান না কেন আপনার শরীরের জন্য সেটা পুষ্টিকর।
তবে ডিম নিয়ে আমাদের অনেকেরই অনেক প্রশ্ন রয়েছে বা অনেকেই জানতে আগ্রহী ডিম কিভাবে খেলে উপকার বেশি। আর এই বিষয়টি জানার জন্য অনেকে অনলাইনে সার্চ করে। যেহেতু আমরা অনেকেই অনেক ভাবে ডিম খাই তাই ঠিক কিভাবে খেলে আমাদের শরীরের জন্য সবচেয়ে বেশি উপকার সে বিষয়টি আমরা যদি জানি তাহলে সে মোতাবেক ডিম খাব। তাই আমরা আমাদের আজকের আলোচনার মাধ্যমে আপনাদের কে জানিয়ে দিব কিভাবে ডিম খেলে উপকার মিলবে সে বিষয়ে। আপনারা যারা এ বিষয়ে জানতে আগ্রহী আমাদের আলোচনাটি শেষ অবধি পরুন।
ধনী গরিব আমরা সব ধরনের মানুষ ডিম খেতে পারি কারণ ডিমের দাম যেমন কম তেমনি এটা খুব সহজেই যেখানে সেখানে পাওয়া যায়। খাদ্যের পুষ্টি উপাদান প্রাকৃতিক ভাবে যেসব খাবার গুলোতে বেশি পাওয়া যায় সেগুলোর মধ্যে ডিম অন্যতম। তাই বেশিরভাগ ডাক্তারই শারীরিক দুর্বলতা বা অন্য যেকোনো সমস্যার জন্য ডিম খেতে বলে। ডিম খায় না বা ডিম খেতে পারে না এমন মানুষের সংখ্যা হয়তো বা খুবই কম কারণ অধিকাংশ মানুষের ডিম খেতে বেশি পছন্দ করে। আমরা যারা ডিম খেতে পছন্দ করি তারা অনেকেই ডিম দিয়ে নানান ধরনের নতুন নতুন জিনিস তৈরি করে খায়।
ডিম কিভাবে খেলে উপকার বেশি
ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে। ডিম মূলত এমন একটি খাবার এটা অনেক ভাবে খাওয়া যায়। আর আপনি ঠিক কিভাবে খেলে ডিমের উপকার সবচেয়ে বেশি পাবেন এই বিষয়টি অনেকেরই অজানা। তাই আমরা আপনাদেরকে জানিয়ে দেব ডিম কিভাবে খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাবেন। আপনারা যারা এই বিষয়টি আগে থেকে জেনে নিতে পারবেন ঠিক সেই অনুযায়ী আপনি যদি ডিম খেতে পারেন তাহলে আপনি আপনার শরীরের পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি করতে পারবেন। চলুন তাহলে জানা যাক ঠিক কিভাবে ডিম খেলে এর থেকে বেশি উপকার মিলবে।
হাফ বয়েল
আপনি যদি ডিম খাওয়ার পর সবচাইতে বেশি উপকার পেতে চান তাহলে আপনি হাফ বয়েল ডিম খেতে পারেন। হাফ বয়েল ডিম বলতে বোঝায় আপনি যখন ডিম সেদ্ধ করবেন ডিমের উপরের অংশ অর্থাৎ সাদা অংশ সেদ্ধ হবে ঠিকই কিন্তু ভেতরের কুসুমের অংশ সামান্য পরিমাণ সেদ্ধ হবে পুরোপুরি নয়। ফুটন্ত পানির মধ্যে চার থেকে পাঁচ মিনিট রাখলে আপনি হাফ বয়েল ডিম তৈরি করতে পারবেন। তবে কোনোভাবে যেন ডিমের কুসুম কাঁচা না থাকে তাহলে এতে অনেক জীবাণু থাকতে পারে।
ডিমের পোচ
ডিমের পোচ করে খেলেও আপনি এ থেকে অনেক উপকার পাবেন। ডিমের বেশি উপকার পেতে আমরা অনেকেই এভাবে ডিম খায় আবার অনেকেই জানিনা। তাছাড়া তেলবিহীন উপায়ে যদি পোচ বানাতে পারেন, তা হলে স্বাদ ও ডিমের যে উপকার দুটোই আপনি পাবেন। তবে তেলবিহীন উপায়ে পোচ তৈরি করা একটু কঠিন। প্রথমে ডিমটা সাবধানে ভেঙে নিন একটি বাটিতে। এমন ভাবে ভাঙতে হবে যেন কুসুম আস্ত থাকে ছড়িয়ে না পড়ে। আর এভাবে খেলে ডিমের বেশ উপকার রয়েছে।
কাঁচা ডিম
কাঁচা ডিম খাওয়ার মাধ্যমে সবচাইতে বেশি উপকার মিলবে। আপনারা হয়তো অনেকেই এই বিষয়টি শুনে অবাক হবেন। মূলত কাচা ডিম কিভাবে খাওয়া যায়। কাঁচা ডিম খাওয়ার জন্য আপনাকে একটি ডিম নিতে হবে তারপরে সামান্য পরিমাণ ফাঠিয়ে এটা মুখের মধ্যে দিয়ে দিতে হবে। খাওয়ার পর যদি কোন সমস্যা হয় বেশি করে পানি খান। তবে আপনি যে পদ্ধতিতে ডিম খান না কেন তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি উপকার মিলবে কাঁচা ডিম খাওয়ার মাধ্যমে।