গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে মুক্তির উপায়

একটু ভালো করে খোঁজ নিলে দেখা যাবে যে আমাদের আশেপাশে অনেকের ই গ্যাসের সমস্যা রয়েছে। সাধারণত বুক জ্বালাপোড়া অথবা খারাপ গন্ধের ঢেকুর তোলা থেকে শুরু করে অন্যান্য সমস্যার বিষয়গুলো আমরা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অথবা বুকের জ্বালাপোড়া অথবা খাদ্যনালীতে ঘা হয়েছে এমন ভাবে বিবেচনা করে থাকে। তবে গ্যাস্ট্রিকের কারণে অনেক সময় আলসারের সৃষ্টি হয় এবং আলসার হলে অনেক বেশি সমস্যা হয়। তাই গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে মুক্তির উপায় আমরা এখানে আলোচনা করব এবং এই আলোচনার ক্ষেত্রে আপনারা আশা করি দৈনন্দিন জীবনের সুস্থতা অবলম্বন করতে পারবেন।

কোন বিষয় শুনে যেগুলো যদি পালন না করেন তাহলে কোন ক্ষেত্রেই তা আপনার জন্য লাভবান হবে না। দৈনন্দিন জীবনের খাদ্যাভ্যাস যদি পরিবর্তন করতে না পারেন অথবা অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনের চাইতে নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করতে পারলে সবচাইতে ভালো হবে। এছাড়া খাবার-দাবার খাওয়ার খেতে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত এবং সকল ক্ষেত্রে অবশ্যই আমরা অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করব।

আপনারা যারা অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খান তাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সবচাইতে বেশি হয়। এছাড়াও ঠিকমতো খাবার গ্রহণ না করা অথবা অসময়ে খাবার গ্রহণ করে সেটা ঠিকঠাক মতো হজম না হওয়ার কারণগুলো গ্যাস্ট্রিক আলসারের মতো সমস্যার সৃষ্টি করে থাকে। তাই এখন হয়তো বিভিন্ন ধরনের ভাজাপোড়া খাবার অথবা অস্বাস্থ্যকর খাবার মুখরোচক বলে মনে হয়ে থাকলেও একটা সময় কিন্তু সেটা আপনার ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে দিবে। তাছাড়া আমরা দৈনন্দিন জীবনে যে খাবার তেল গ্রহণ করি সেটা আসলে কি থেকে তৈরি হচ্ছে অথবা এটার আসলে পুষ্টিগুণ আছে কিনা সে বিষয়ে জেনে নিয়ে খাওয়া শুরু করুন।

তাছাড়া গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে মুক্তি পাওয়ার বিষয়ে আপনাদের আমরা যে বিষয়গুলো এখানে জানাবো সেগুলো শুধু শুনলেই হবে না বরং মেনে চলতে হবে। দৈনন্দিন জীবনে বাইরে যে সকল মুখরসুখ খাবার রয়েছে সেগুলো এড়িয়ে চলে আপনারা বিভিন্ন ধরনের ফলমূল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। আর যখন আপনারা এই খাবারগুলোর অভ্যাস গড়ে তুলতে পারবেন এবং বাড়ির স্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন তখন কিন্তু গ্যাস্ট্রিকালচারের সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেন।

গ্যাস্ট্রিক আলসার দূর করার উপায়

যদি গ্যাস্ট্রিক আলসার হয়ে থাকে তাহলে আপনাদেরকে নিয়মিতভাবে হয়তো এগুলো থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ সেবন করা লাগে। তাই এ সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে যাতে করে আপনার খাবারগুলো খুব সুন্দর ভাবে হজম হয় মলত্যাগের মাধ্যমে গ্যাস বেরিয়ে যায়। সেই সাথে যে সকল ব্যক্তির অ্যালকোহল জাতীয় জিনিস খাওয়ার অভ্যাস হয়েছে তারা যদি সেগুলো বাদ দিয়ে চলতে পারেন তাহলে আপনাদের জন্য এটা খুব ভালো হবে। অতিরিক্ত ভাজাপোড়া জিনিস খাওয়ার পরিবর্তে আপনারা অবসর সময়ে অথবা ক্ষুধা লাগলে পুষ্টিকর খাবার খেতে পারেন।

গ্যাস্ট্রিক আলসার ট্রিটমেন্ট

গ্যাস্ট্রিক আলসার যদি হয়ে থাকে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আপনারা বিভিন্ন ধরনের গ্যাসের ঔষধ খেতে পারেন অথবা এটা সমাধান করার জন্য যে সকল ঔষধ দিবে সেগুলো খেয়ে নিবেন। তবে ব্যথা নাশক ওষুধ অথবা যে সকল ওষুধের প্রচুর পরিমাণে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে অথবা দেশে কোন ওষুধ খেলে গ্যাসের সমস্যারও বেশি সৃষ্ট সেগুলো বাদ দিয়ে চলতে হবে। সেই সাথে আপনার শরীরের জন্য উপযোগী এবং আপনার হজম করতে খুব সুবিধা হয় এমন খাবার গ্রহণ করবেন যাতে করে পেটের ভেতরে কোন সমস্যা না থাকে।

গ্যাস্ট্রিক আলসার হলে কি খাওয়া উচিত

সয়াবিন অথবা ভোজ্য তেল খাবার পরিবর্তে আমরা যদি দৈনন্দিন জীবনে সরিষার তেল খাওয়ার অভ্যাস করে তুলতে পারি তাহলে দেখা যাবে যে খরচের খুব একটা কমতি হবে না। অনেকের কাছে সয়াবিন তেল দিয়ে ভাজাপোড়া খুব ভালো হয়ে থাকলেও সরিষার তেল দিয়ে ভালো হয় না বলে তারা আগ্রহ প্রকাশ করেন না। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে সরিষার তেল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন এবং ভাজাপোড়া এড়িয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। আজকে অথবা এখন আপনি সুস্থতা অনুভব করলেও খারাপ খাদ্যাভ্যাস একটা সময় আপনাকে কিন্তু প্রভাবে। তাই এখন সময়ের এসকল বিষয়কে বাদ দেওয়ার।

Leave a Comment