মোবাইল আসক্তি থেকে মুক্তির উপায়

আপনি কি মোবাইল আসক্তি থেকে মুক্তির উপায় খোঁজ করছেন? কিভাবে মোবাইলের ব্যবহার কমিয়ে আনা যায় তা জানতে চাচ্ছেন? কিভাবে মোবাইলের আসক্তি থেকে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় তা জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি এই আর্টিকেলটি পড়তে পারেন। কেননা আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে কিভাবে মোবাইল আসক্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে, মোবাইল আসক্তি কমানোর বিভিন্ন উপায় আলোচনা করা হয়েছে। তাই আপনি এ আর্টিকেলটি পড়লে মোবাইল আসক্তি থেকে মু্ক্তির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন বলে আশা করছি। তাহলে চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।

মোবাইল হচ্ছে আমাদের বর্তমান সময় অনেক জনপ্রিয় একটি যোগাযোগের মাধ্যম। মোবাইল এর মাধ্যমে যে কোনো জায়গা থেকে খুব সহজে দূরদূরান্তে যোগাযোগ করা সম্ভব। তাছাড়া মোবাইল ফোনে বিভিন্নভাবে সোশ্যাল সাইট গুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে বা সোশ্যাল অ্যাকাউন্ট খুলে ব্যবহার করার মাধ্যমে খুব সহজে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়। তবে মোবাইলের অতিরিক্ত ব্যবহার কখনোই মঙ্গলজনক হতে পারেনা। মোবাইলের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে বা মোবাইল আসক্তির ফলে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হতে পারে। তাই এই মোবাইল অতিরিক্ত ব্যবহার করা ঠিক না বা মোবাইলে আসক্ত হওয়া যাবে না।

তবে কোনো ব্যক্তি যদি কোনো কারনে মোবাইল ব্যবহারে বেশি সময় দিয়ে থাকে বা মোবাইলে আসক্তি হয়ে যায়, তাহলে অবশ্যই মোবাইলে আসক্তি থেকে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত এবং মোবাইল আসক্তি কমিয়ে আনতে বিভিন্ন ধরনের উপায় অবলম্বন করা উচিত। নিচে কয়েকটি উপায় দেওয়া হলো। আশা করি এই উপায় গুলো অবলম্বন করলে মোবাইল আসক্তি অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।

১. যতটা সম্ভব মোবাইল কম ব্যবহার করা: আমরা বিভিন্ন প্রয়োজনে মোবাইল ব্যবহার করি। আবার বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় কাজেও মোবাইল ব্যবহার করে থাকি। আমাদের উচিত প্রয়োজন ছাড়া মোবাইল ব্যবহার করা উচিত নয়। যেমন অযথা অনেকক্ষণ ধরে ফেসবুকিং করা উচিত নয়, অযথা বিভিন্ন ভিডিও দেখে সময় অতিবাহিত করা উচিত নয়। আবার বিভিন্ন সময় খেয়াল করলে দেখা যায় যে অনেকে দীর্ঘ সময় ধরে ভিডিও গেম খেলে এটাও উচিত নয়। তাই মোবাইল যতটা সম্ভব ব্যবহার কম করতে হবে।

২. বিভিন্ন কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখা: একবার যদি মোবাইলে আসক্তি হয়ে যায় তাহলে তা নিয়ন্ত্রণ করা অনেকটা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই নিজেকে মোবাইলের আসক্তি থেকে মুক্ত রাখার জন্য বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত রাখতে হবে। আমাদের প্রত্যেক দিনে বিভিন্ন ধরনের কাজ থাকে, সেই কাজগুলো যদি আমরা নিয়মিত করি এবং সেই কাজগুলো করার মাধ্যমে আমরা ব্যস্ত থাকি তাহলে মোবাইল ব্যবহার করার সময় কম পাবো। এভাবে অনেক সময় দেখা যায় যে মোবাইলের আসক্তি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়।

৩. পরিবারকে সময় দেওয়া: বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ মানুষ পরিবারকে সময় না দিয়ে সে সময়টা মোবাইলের পিছনে দিয়ে থাকেন। মোবাইলের পিছনে সময় দেওয়ার কারণে তারা মোবাইলে বেশি আসক্ত হচ্ছে। এজন্য অবসর সময়টা মোবাইলে না দিয়ে অবসর সময়টা পরিবারের সদস্যদের সাথে কাটানো উচিত। তাহলে মোবাইল ফোনের প্রতি আসক্তি তৈরি হবে না।

৪. হাতের নাগালের থেকে যতটা সম্ভব দূরে মোবাইল রাখা: আমাদের সামনে যদি মোবাইল রাখা হয়, তাহলে আমরা বিভিন্ন সময় কাজের ফাঁকে ফাঁকে মোবাইলটা হাতে নিলে কখন সময় কেটে যায় তা বুঝতেই পারিনা। অর্থাৎ হাতের কাছে মোবাইল থাকলে মন চায় মোবাইলটি হাতে নিয়ে একটু ফেসবুকে ব্যবহার করি বা বিভিন্নভাবে গেম খেলি। যার ফলে আসক্তি তৈরি হয়। তাই যতটা সম্ভব মোবাইলটা হাতের নালাগালের বাইরে আসতে হবে বা দূরে রাখতে হবে। তাহলে মোবাইলের প্রতি আসক্তি অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব।

কোনো ব্যক্তি যদি এই প্রক্রিয়াগুলো অবলম্বন করে বা এই উপায়গুলো অবলম্বন করে তাহলে তার মোবাইলের প্রতি আসক্তি থাকলেও অনেকটাই নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে এবং আস্তে আস্তে মোবাইল আসক্তির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচা সম্ভব হবে।

Leave a Comment