প্যানিক অ্যাটাক থেকে মুক্তির উপায়

বিভিন্ন সময় প্যানিক অ্যাটাকে আক্রান্ত মানুষকে দেখা যায়। অনেক সময় দেখা যায় যে এই প্যানিক অ্যাটাক মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। তাই এই প্যানিক অ্যাটাকের ব্যাপারে আমাদের সতর্ক হতে হবে এবং এই সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সাবধানে থাকতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় যে অনেকেই প্যানিক অ্যাটাক সম্পর্কে জানতে চায় এবং প্যানিক অ্যাটাক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চায়। মূলত তাদের কথা মাথায় রেখে আমরা আজকের আর্টিকেলটিতে প্যানিক অ্যাটাক সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি এবং কিভাবে অ্যাটাক থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে, সেই বিষয়গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আপনি যদি এই বিষয়গুলো জানতে চান, তাহলে এই আর্টিকেলটি পড়তে পারেন।

প্যানিক অ্যাটাক আসলে একটি ভয়ংকর অসুখের নাম। এই প্যানিক অ্যাটাকের ফলে কিছু ঠিক মতো চলে না। প্যানিক অ্যাটাক এর মতো মানসিক সমস্যা থেকে বা যন্ত্রণা থেকে রক্ষা পাওয়া অবশ্যই দরকার। তবে এই পরিস্থিতির সম্মুখীন যদি আপনি হয়ে থাকেন তাহলে কি করবেন এখানে কিছু টিপস দেয়া হলো। যে টিপস গুলো মেনে চললে আপনি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আমাদের শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর যেমন যত্নবান হওয়া প্রয়োজন, তেমনি ভাবে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপরে যত্নবান হতে হবে। অনেকে দেখা যায় যে মানুষের স্বাস্থ্যের উপর যত্নবান হয় না এবং মানসিক বিভিন্ন ভারসাম্যহীন অবস্থার মধ্যে পড়ে যায়। এ অবস্থার মধ্য থেকে বেরিয়ে আসতে হলে প্রথমত মানুষের স্বাস্থ্যের উপর মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন।

সুস্থতার পাশাপাশি মানসিকভাবে সুস্থ থাকা ও প্রত্যেকটা মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক মানুষের শারীরিক সুস্থতার দিকে নজর দেয় বা শারীরিকভাবে কোনো ধরনের সমস্যা হলে তার চিকিৎসা করে। কিন্তু মানসিকভাবে কোনো সমস্যা হলে তার চিকিৎসা করাতে চায় না। এর ফলে পরবর্তীতে ভয়াবহ সমস্যা তৈরি হতে পারে। এখান থেকে প্যানিক অ্যাটাকের মতো ঘটনা ঘটতে পারে। মানুষের স্বাস্থ্যের উপর নজর না দিলে নিজের অজান্তেই বা নিজের অবহেলাতে বহু অসুখ হয়ে যেতে পারে। এমনই একটি সমস্যা হচ্ছে প্যানিক অ্যাটাক। যেটা খুব অল্প দিনে অনেক সমস্যার ফলে তৈরি হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন এটা হলো অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডারের একটি অংশ।

এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা খুব সহজে যে কোন বিষয় নিয়ে ভয় পেতে পারে। হঠাৎই ভয় পেয়ে যায়। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তেমন কোনো বড় কারণ না থাকলেও তারা ভয় পেতে পারে। এমন কি কোনো কারণ ছাড়াই এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা ভয় পায়। এর আগে আক্রান্ত ব্যক্তির কিছু কিছু লক্ষ্য রয়েছে, যে লক্ষণগুলো থেকে আপনি বুঝতে পারবেন এই ধরনের সমস্যা কারো হয়েছে কিনা।

এই সকল রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে উৎকন্ঠা বেশি থাকে। এরা ছোটখাটো বিষয় নিয়ে অনেক বেশি ভয় পায়। অনেক চিন্তায় পড়ে যায়। মনে রাখতে হবে যে উৎকণ্ঠের সর্বশেষ পর্যআয় হচ্ছে প্যানিক অ্যাটাক। এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে দেখা যায় যে হার্টবিট বেড়ে যেতে পারে, অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মত অবস্থা তৈরি হতে পারে, প্রচন্ড ঘাম হতে পারে, বমি বমি ভাব হতে পারে, অনেক সময় বমিও হতে পারে, মাথা ঘুরতে পারে, হাত-পা কাঁপতে পারে, মৃত্যুর ভয় গ্রাস করতে পারে ইত্যাদি এই সমস্যাগুলো থাকলে বুঝতে হবে অ্যাটাকের মতো মারাত্মক সমস্যাটি হতে পারে।

প্যানিক অ্যাটাক হলে কয়েকটি বিষয়ে মাথায় রাখতে হবে। যেমন খুব বেশি চিন্তা করা যাবে না, যেখানে আছেন সেখানেই থাকতে হবে, ধীরে ধীরে নিঃশ্বাস নিতে হবে, নিজেকে বোঝাতে হবে, মানসিকভাবে স্ট্রং থাকার চেষ্টা করতে হবে, পজিটিভ বিষয় চিন্তা করতে হবে, নিজেকে বোঝাতে হবে, যে আমার কিছুই হয়নি। এরকম ভাবে বোঝাতে পারলে তেমন বেশি প্রভাব ফেলতে পারবে না। এছাড়াও যদি অন্যান্য সমস্যা হয়ে থাকে বা সমস্যাটা যদি মারাত্মক হয়ে থাকে, তাহলে যত দ্রুত সম্ভব একজন সাইক্রিয়াট্রিস্ট এর পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

Leave a Comment