পলিসিস্টিক ওভারি থেকে মুক্তির পদ্ধতি

পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম হলো সাধারণত নারীদের একটি রোগ যাকে আমরা বলি মেয়েলি রোগ। এটি হলে মেয়েদের মধ্যে এন্ড্রোজেন এর মাত্রা অর্থাৎ পুরুষ হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। আর পুরুষ হরমোন এর মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ফলে ওই মহিলাটির মধ্যে অনেকটা পুরুষত্ব ভাব চলে আসে। আর এটির কারণেই ওই মহিলার এবং মহিলার আত্মীয়-স্বজন সকলের জন্যই অস্বস্তিকর একটি বিষয়। এবং এই রোগটি আসলে একটি হরমোন জনিত রোগ। সাধারণত সুস্থ মহিলাদের ডিম্বাণু বা ডিম্বাশয় প্রত্যেক মাসে একটি করে ডিম্বাণু ছেড়ে থাকে।

কিন্তু যখন এই বিষয়টি বাধাগ্রস্ত হয় তখনই সমস্যা সৃষ্টি হয়ে থাকে। কারণ দেখা যাচ্ছে যে প্রত্যেকটি মাসে যখন মহিলাদের একটি করে ডিম্বানুসারে আর এটি থেকে ডিম স্ফুটন ঘটে আর এই চক্রটি যদি ঠিকমতো না ঘটে বা আধার সৃষ্টি হয় যে প্রক্রিয়ার কারণে সেই বাধার সম্মুখীন হলে অনেক ধরনের শারীরিক জটিলতার সৃষ্টি হয়ে থাকে। আর সেই শারীরিক জটিলতা সাধারণত এই পুরুষ হরমোন যখন বেড়ে যায় তখন ঘটে থাকে। আর এই পলিসিস্টিক ওভারি রোগটি হলে যদি ঋতুচক্রের সাথে মিশে যায় তা না হলে এটি বিভিন্ন ধরনের সিস্টের তৈরি করে থাকে।

পলিসিস্টিক ওভারি থেকে মুক্তির পদ্ধতি

পলিসিস্টিক ভারী রোগটি হলে আমরা তা থেকে কিভাবে মুক্তি পাব সে বিষয়টি অবশ্যই আমাদের জেনে রাখা প্রয়োজন। কারণ যেহেতু এখানে বিষয়টি হল মেয়েদের ক্ষেত্রে মেয়েদের পুরুষ হরমোন নির্গত হওয়া বেড়ে যাওয়ার কারণেই এই রোগটি হয়। তাহলে আমাদেরকে অবশ্যই সেই পুরুষ সম্মান বেশি পরিমাণে নির্গত ভাবে থেকে ই প্রথমে রোধ করতে হবে। যদি আমরা পুরুষ হরমোন নির্গত হওয়া রোধ করতে পারি তাহলে এই রোগটি থেকে মুক্তি পেতে পারি বা মুক্ত হতে পারে। তারপরেও আমাদের দেখতে হবে আসলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় কিভাবে এই রোগটি থেকে আমরা মুক্ত হতে পারি তা এখন দেখব।

সাধারণভাবে এই রোগটি থেকে যদি আমাদের মুক্তি পেতে হয় তাহলে অবশ্যই এর যে সকল কারণে পুরুষ হরমোন গুলো বেড়ে যায় সে সকল কারণ রোধ করতে হবে এবং কিভাবে রোধ করা যায় সে বিষয়টি সম্পর্কে আমাদের সামান্য অভিজ্ঞতা থাকলে অবশ্যই সে তার রোধ করা সম্ভব বলে মনে করা হয়। কারণ যেকোনো রোগ থেকে মুক্তির চাইতে যে কোন রোগকে প্রতিরোধ করাই সবচাইতে উত্তম বলে মনে করা হয়। তাই আমরা দেখব যে কিভাবে এই রোগকে আমরা প্রতিরোধ করতে পারি অর্থাৎ আমাদের শরীরে যেন এই রোগটি বাসা বাঁধতে না পারে সে বিষয়টিকেই আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। বেশি পরিমাণে যদি আমরা প্রোটিন খেতে পারি তাহলে শরীরে অতিরিক্ত প্রোটিনের কারণে এই বিষয়টি ঘটবে না।

অর্থাৎ উচ্চতর প্রোটিন গ্রহণ ওজন রাস করতে পারে বা বাড়াতে পারে। বিশেষ করে পিসিওএস যুক্ত মহিলাদের জন্য প্রোটিন খাওয়া বা বেশি করে প্রোটিন খাওয়া অত্যন্ত জরুরী। আমরা যখন ডায়েট কন্ট্রোল করবো তখন অবশ্যই সেই ডায়েটের মধ্যে যেন ডিম বাদাম এবং সামুদ্রিক খাবারের মতো স্বাস্থ্যকর উচ্চ প্রোটিন আইটেম গুলি যোগ করার চেষ্টা করতে হবে। তাতে আপনার বিপাকীয় হার বাড়াবে। এবং আপনার শরীরের ক্যালোরি বার্নিং মেশিনে যুক্ত হবে। তাই মোটামুটি ভাবে এই আসক্তি হলে কোন পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে আমাদেরকে সে

বিষয় সম্পর্কে আমরা মোটামুটি ভাবে বুঝে নিতে পারলাম। আর এই কারণেই আমরা অবশ্যই এই রোগটি সম্পর্কে সচেতন হব এবং প্রত্যেককে একটি কথা বলব যে তারা যেন এই রোগটি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য যেন এই কাজগুলো করে থাকে। এ ধরনের যে কোন তথ্য পাওয়ার জন্য আপনারা সবার আগে সবসময় আমাদের এই ওয়েবসাইটের কথা চিন্তা করবেন। কারণ আপনারা জানেন আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে আপনারা যে তথ্যগুলি পাবেন সে তথ্যগুলির অবশ্যই সঠিক তথ্য।

Leave a Comment