বর্তমান সময়ের বেশিরভাগ মানুষ মোটা হয়ে থাকে। অবশ্য এই মোটা হওয়ার কারণও রয়েছে। বর্তমান সময় মানুষের পরিশ্রম অনেক কমে গেছে। এবং মানুষের সচ্ছলতা বাড়ার কারণে মানুষ বেশি পুষ্টিকর খাবার খেতে পারে। আর বেশি পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার কারণে এবং পরিশ্রম কম করার কারণে তাদের ভিতরে ক্যালোরি থেকে যায়। অর্থাৎ খাবার খাওয়ার কারণে যে ক্যালরি মানুষের শরীরের মধ্যে প্রবেশ করে সেখানে অত পরিমাণ ক্যালরির প্রয়োজন হয় না। অতিরিক্ত ক্যালরি
শরীর এর ওজন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। তাই আমাদের উচিত স্বল্প পরিমাণে খাবার গ্রহণ করা এবং প্রচুর পরিমাণে শারীরিক পরিশ্রম করে শরীরকে স্বাভাবিক অবস্থায় রাখা। অর্থাৎ যখনই আপনি বুঝতে পারছেন যা আপনার কজন বৃদ্ধি হচ্ছে বা আপনি মোটা হয়ে যাচ্ছেন তখন আপনাকে অবশ্যই শারীরিক পরিশ্রম বাড়িয়ে দিতে হবে। শারীরিক পরিশ্রম করার জায়গা যদি না থাকে ক্ষেত্র যদি না থাকে তাহলে আপনাকে নিয়মিতভাবে শরীর চর্চা বা ব্যায়াম করতে হবে।
যদি মোটা হতে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে এক দেড় ঘন্টা সকালে অথবা বিকেলে হাঁটাহাঁটি ছাড়াও আপনি পরিশ্রম অর্থাৎ দৌড়ানো বা খেলাধুলা যেখানে শারীরিক পরিশ্রম হবে সে কাজগুলি করবেন। এতে দেখবেন যে আপনার শরীর অনেকটাই চিকন হচ্ছে। তাই আপনাকে চিকন হওয়ার জন্য একসাথে দুইটি কাজ করতে হবে। একদিকে ডায়েট কন্ট্রোল বাট ডায়েট চার্ট ফলো করতে হবে অন্যদিকে শরীরচর্চা ভাব ব্যায়ামের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে।
তাহলে দেখবেন আপনি কিছুদিনের মধ্যেই আপনার শরীর স্লিম বা আগের মত ফিট হয়ে যাচ্ছেন। যখনই শরীর মোটা হতে থাকবে তখন আপনাকে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অর্থাৎ ওজন বৃদ্ধি হচ্ছে মনে করলেই আপনাকে শুরু করতে হবে ডায়েট কন্ট্রোল এবং আপনাকে প্রচুর পরিমাণে ব্যায়াম তাহলে দেখবেন যে আপনি আস্তে আস্তেই অনেক সুন্দর স্লিম হচ্ছেন।
তবে আরো কিছু বিষয় আমাদের দেখে নিতে হবে সেগুলির মধ্যে হচ্ছে খাবারের চাটের মধ্যে আপনি মোটামুটি ভাবে শর্করা জাতীয় খাবার একেবারে কম রাখবেন। ফলমূলের মধ্যে শসা জাতীয় খাবার অর্থাৎ শসা গাজর এ জাতীয় খাবার দিয়ে পেট ভরানোর চেষ্টা করবেন। এছাড়া দুপুরের খাদ্য তালিকায় আপনি সরকার অর্থাৎ ভাব যিনি আলু এই খাবারগুলি বাদ দিয়ে চলতে হবে।
অধিক শর্করা চিনি মিষ্টি এই খাবারগুলি বাদ দিয়ে চলতে লাগলে দেখবেন যে কিছুদিনের মধ্যে আপনার শরীর অন্ততপক্ষে মোটার থেকে স্থিতিশীল হয়েছে। তারপর আরো কিছুদিন এই ডায়েট কন্ট্রোল এবং ব্যায়াম করতে থাকলে আপনি চিকন হতে থাকবেন। এছাড়া আপনি আরেকটি কাজ করতে পারেন তা হল চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে পারেন। চিকিৎসক যেটা ভালো বুঝবেন সে বিষয়টি আপনাকে বলে দিবেন। আপনি যদি খাবার কন্ট্রোল করতে না পারেন তাহলে আপনাকে ঔষুধের মাধ্যমে চিকন করবেন।
তবে চিকন হওয়ার ঔষধ বেশিদিন খেলে মানুষের অনেক সমস্যায় ভুগতে পারেন। তাই আপনাকে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে যে স্বাভাবিকভাবে অর্থাৎ খাবার গ্রহণ এবং শারীরিক পরিশ্রম করার মাধ্যমে যদি আপনি চিকন হতে পারেন তবে সেটাই ভালো। এতে খুব একটা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে না। তবে একদিনই আপনাকে খাবার বন্ধ করে দিতে হবে এরকম কথা বলা হচ্ছে না। আপনাকে অবশ্যই আস্তে আস্তে খাবার কমিয়ে দিতে হবে।
সবজি খাবার বেশি খাবেন এবং সালাত শসা এই খাবারগুলি বেশি খাবেন তাহলে দেখবেন আপনার ভিতরে চর্বি কেটে আস্তে আস্তে আপনি স্লিম হচ্ছেন। এবং বিশেষ করে যিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবারগুলি যদি আপনি বাদ দিতে পারেন আপনার খাদ্য তালিকা থেকে তাহলে দেখবেন আপনি অল্প কিছুদিনের মধ্যেই চিকন হয়ে যাবেন। স্বাভাবিক প্রক্রিয়াতে চিকন হওয়াটাই বেশি ভালো।
তাই আপনারা যারা এ সকল বিষয় সংক্রান্ত বিষয়গুলি জানতে এসেছেন আপনারা অবশ্যই বুঝে নিতে পারলেন যে কিভাবে চিকন হওয়া যায়। চিকন হওয়া আমাদের সবারই স্বপ্ন এবং আপনার স্বপ্ন অবশ্যই আমাদের এই পোস্ট করার পর বাস্তবায়ন হোক এটাই চাই।