দক্ষিণ কোরিয়া হলো করিও উপদ্বীপ নিয়ে গঠিত করিও উপদ্বীপের দক্ষিণ অংশ নিয়ে গঠিত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রটি। এই দক্ষিণ কোরিয়া এবং উত্তর কোরিয়া উভয় রাষ্ট্রই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যথাক্রমে উত্তর অংশটি এবং দক্ষিণ অংশটি দখল করে রাখে। কিন্তু পরে ১৯৪৮ সালে উত্তর কোরিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়া নামক দুইটি রাষ্ট্র স্বাধীনতা লাভ করে। যা এখন দক্ষিণ কোরিয়া এবং উত্তর কোরিয়া নামে দুটি রাষ্ট্র রয়েছে। তবে এর আগে যথাক্রমে রাষ্ট্র দুটি একসাথে মিশে করিয়া রাষ্ট্র হিসেবে পৃথিবীতে পরিচিত ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে আবার তাদের মনোমালিন্যের কারণে দুই দেশ আলাদা আলাদা হয়ে যায়।
অর্থাৎ ১৯৫০ থেকে ১৯৫৩ সালে কোরিয়া যুদ্ধের পর ধ্বংস প্রায় দক্ষিণ কোরিয়া ১৯৯৩ সালে এসে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতিগুলির একটিতে পরিণত হয় এবং সেইসঙ্গে এশিয়ার চার ড্রাগনে পরিণত হয়েছিল। তবে এখনো অর্থনৈতিক দিক থেকে দক্ষিণ কোরিয়া বেশ শক্তিশালী। এই দেশে বাংলাদেশ থেকে প্রচুর শ্রমিক কর্মচারী প্রত্যেক বছর বিভিন্ন কাজ করার উদ্দেশ্যে তারা দক্ষিণ কোরিয়া পাড়ি জমান। আর তারই প্রেক্ষিতে আমাদের এখন অবশ্যই জেনে নিতে হবে যে দক্ষিণ কোরিয়ার মুদ্রার সাথে বাংলাদেশের মুদ্রার বিনিময় মূল্য কত টাকা সে বিষয়টি অবশ্যই জানতে হবে। আমরা এখন আপনাদেরকে জানাবো যে দক্ষিণ কোরিয়া যেতে কিভাবে আপনাদের সাহায্য করতে পারি।
দক্ষিণ কোরিয়ায় যেভাবে যাবেন
দক্ষিণ কোরিয়ায় যেতে হলে আপনাদেরকে প্রথমেই দক্ষিণ কোরিয়ার ভিসা নিতে হবে। তবে তার আগে আপনার অবশ্যই একটি বাংলাদেশী পাসপোর্ট থাকতে হবে। বাংলাদেশে পাসপোর্ট থাকলে আপনাকে কোরিয়া যাবার জন্য অর্থাৎ দক্ষিন করিয়া যাওয়ার জন্য সেই দেশের হাইকমিশনে আপনাকে আবেদন করতে হবে। তবে আপনি কোরিয়া য় কোন উদ্দেশ্যে যেতে চান সেই উদ্দেশ্য সম্পর্কে জেনে বা বুঝে আপনাকে সেই দেশের ভিসার আবেদন করতে হবে। যদি আপনি দক্ষিণ কোরিয়ায় কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চান তাহলে বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট এন্ড সার্ভিসেস লিমিটেড বা বোয়েসেলের ওয়েবসাইটে আপনার নাম নিবন্ধন করতে হবে। এরপর লটারির মাধ্যমে আগ্রহীদের মধ্যে থেকে কর্মী বাছাই করা হয়।
লটারিতে যারা নির্বাচিত হন তাদেরকে অবশ্যই দক্ষিণ কোরিয়ার ভাষা অর্থাৎ কোরিয়ান ভাষা শিখতে হয়। কোরিয়ান ভাষা শিখতে হবে আর অপরদিকে আপনাকে যাওয়ার জন্য কোরিয়ান দূতাবাসে এপ্লিকেশন জমা দিতে হবে। আপনি কয় বছরের জন্য যেতে চান বা আপনাকে কয় বছরের জন্য সেই দেশে যাওয়ার পারমিশন দিবে এ সকল বিষয় নিয়ে তাদের দূতাবাস চিন্তাভাবনা করে আপনার ভিসা প্রদান করবেন। এরপর যদি আপনার ভিসা প্রসেসিং সম্পন্ন সঠিক হয় তাহলে অবশ্যই আপনাকে কোরিয়ান দূতাবাস থেকে ভিসা দেবে এবং সেই ভিসায় অবশ্যই একটি মেয়াদ থাকবে।
তারপর আপনি সেখানে কতদিন থাকতে পারবেন সেই সকল বিষয় জেনে নিয়ে আপনি কোরিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিতে পারবেন। তবে সবকিছু যদি ঠিকঠাক থাকে তাহলে আপনি আপনার সঙ্গে সহযাত্রী যারা রয়েছে তাদের সাথে বিমান টিকেট ক্রয় করতে হবে। তারপর আপনি বিমান যাত্রা নির্ধারিত সময়ের আগেই ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গিয়ে উপস্থিত হতে হবে সম্পূর্ণ ধরনের বৈধ কাগজপত্র নিয়ে। এ সকল প্রসেসিং ঠিকঠাক মতো করে আপনি দক্ষিণ কোরিয়ায় যেতে পারবেন। এ ধরনের যে কোন তথ্য যদি আপনারা পেতে
চান তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটে এসে আমাদের অনেক পোস্ট গুলো দেখলে পরে আপনি অবশ্যই আপনার দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজন পড়ে এমন অনেক পোস্ট পেয়ে যাবেন। এছাড়াও আপনার প্রয়োজন আছে কোন জিনিস আমাদের ওয়েবসাইটে এসে খুঁজলে অবশ্যই পাবেন বলে আশা করি। আর এ ধরনের তথ্যগুলি পাওয়ার জন্য আপনারা অবশ্যই বারবার আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আপনারা যেমন উপকৃত হবেন তেমনি আমরা উৎসাহ পাব আপনাদের সবসময় সঠিক তথ্য প্রদান করার। তাহলে আজকে আপনারা অবশ্যই বুঝে নিতে পারলেন যে কোরিয়া যেতে আপনাদের কি কি কাজ করতে হবে।