ভিসা হচ্ছে এমন একটি দলিল যার মাধ্যমে আপনি নিজের দেশ ব্যতীত অন্য দেশে যাওয়ার অনুমতি পাবেন। হিসাব প্রত্যেকটি দেশের জন্য আলাদা তাই আপনি যে দেশে যেতে চাচ্ছেন সবার প্রথমে সেই দেশে যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন আপনাকে করতে হবে। বর্তমান অনলাইনে যুগে ভিসার আবেদন অনলাইন এর মাধ্যমেই করা যায় তাই চলুন জানার চেষ্টা করি অনলাইনে মাধ্যমে কিভাবে ভিসার আবেদন করবেন এবং ভিসার আবেদনের জন্য কোন কোন জিনিস জানা অত্যন্ত জরুরী। এছাড়া আবেদন এর জন্য অত্যন্ত জরুরি হচ্ছে এই বিষয়গুলো তাই আপনারা যদি আগে থেকে জেনে রাখেন তাহলে অবশ্যই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং বর্তমানে বিচার আবেদনের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়ে যাচ্ছে তাই এই জিনিসটা জনসাধারণের জন্য অত্যন্ত জরুরী।
বাংলাদেশ থেকে বিদেশের সব থেকে বেশি মানুষ যায় পার্শ্ববর্তী দেশ ইন্ডিয়াতে। এখানে যাওয়ার কিছু মূল কারণ আছে তার মধ্যে একটি হচ্ছে চিকিৎসার জন্য অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে যারা সঠিক চিকিৎসা পান না তারা সঠিক চিকিৎসার খোঁজে পার্শ্ববর্তী দেশ ইন্ডিয়াতে যান। এছাড়াও বেড়ানোর উদ্দেশ্যে অথবা বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক কাজেও বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ইন্ডিয়াতে প্রবেশ করছে তার জন্য একটি জিনিস জানা অত্যন্ত জরুরী সেটা হচ্ছে ভিসার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া। ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে ভিসা কর্তৃপক্ষের কাছে এবং আবেদনের জন্য অবশ্যই সঠিক তথ্য উপস্থাপন করতে হবে। সঠিক তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে আপনি ভিসা আবেদন করতে পারবেন তারপরে আপনি হিসাব গ্রহণ করার পরেই সেই দেশে প্রবেশ করতে পারবেন।
ভিসা আবেদনের প্রত্যেকটি ধাপ
সবার প্রথমে যে ধাপটি আছে সেটা হচ্ছে ভিসার ধরন চিহ্নিত করা। যারা একেবারে সাধারণ মানুষ তারা ভিসা সম্পর্কে আগে জানেন না বা শুনেননি যার কারণে ভিসার ধরন টা চিহ্নিত করতে তাদের সমস্যা হতে পারে। বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন দেশের জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিসা উন্মুক্ত রেখেছে যেমন উদাহরণস্বরূপ শিক্ষা ভিসা যেমন আরেকটি ভিসার নাম হচ্ছে কাজের ভিসা অনেকের ক্ষেত্রে অস্থায়ী আবাসিক ভিসা অনেকের ক্ষেত্রে স্থায়ী বাসিন্দা ভিসা। বাংলাদেশ থেকে ইন্ডিয়াতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চিকিৎসা ভিসায় মানুষ যায় এছাড়াও বেড়ানোর উদ্দেশ্যে টুরিস্ট ভিসাতেও অনেকে যেতে পারেন। এটা হচ্ছে প্রথম ধাপ।
এরপরে ভিসার জন্য আবেদন শুরু করতে হবে এবং আবেদন ফরমটি খুব সুন্দরভাবে পূরণ করতে হবে। অনলাইনে মাধ্যমে আবেদন ফরমটি ডাউনলোড করে সেটা পূরণ করতে হবে এবং জমা দেয়ার জন্য অবশ্যই আবেদন কেন্দ্রে আপনাকে উপস্থিত হতে হবে।
সরাসরি অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে ইমিগ্রেশন এবং শরণার্থী এবং নাগরিকত্ব জমা দিতে হবে। স্যার আমি তোমার জন্য কি কি প্রয়োজন পড়বে সেটা নিয়ে আমরা আগে আপনাদের জানাবো। সঠিকভাবে আবেদন পূরণ করে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে।
তৃতীয় ধাপে সাক্ষাৎকার লিপিবদ্ধকরণ সম্পূর্ণ করতে হবে। সরাসরি ভিসা অফিসে উপস্থিত হতে হবে নির্ধারিত তারিখে এবং সেখানে আঙ্গুলের ছাপ ও ছবি একটি ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারে আপনাকে তুলতে হবে। এটাকে অনেকে বায়োমেট্রিক্স নামে চিনে থাকেন। এই অবস্থাতে আবেদনকারীর অ্যাপার্টমেন্ট বুকিং হয়ে যায় এবং অ্যাপার্টমেন্ট সিটিসহ একটি অ্যাপার্টমেন্ট নিশ্চিত করার ফিমেল পাবেন তিনি।
এরপরে বিশাল ফি প্রদান করতে হবে এবং আবেদনকারীর ক্ষেত্রে ফিতা প্রদান করা অত্যন্ত জরুরী। অনলাইনে জমা না দিয়ে সরাসরি জমা দিতে হলে জমা দানকারীকে সরাসরি ভিসা আবেদন ফরমটি ভিসা অফিসে জমা দিতে হবে এবং বায়োমেট্রিক্স কাজগুলো সম্পন্ন করার পরে আপনাকে ভিসা ট্রাক করার জন্য অপেক্ষা করতে বলা হবে।
এরপর আকাশে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে এবং ভিসা আবেদন সম্পন্ন হলে আপনাকে জানানো হবে ফোন কল অথবা ইমেইলের মাধ্যমে। এভাবেই মূলত বেশ কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করে একজন কোন দেশের ভিসা গ্রহণ করতে পারেন এবং সেই দেশে যেতে পারেন।