কিভাবে লম্বা হওয়া যায়

লম্বা হতে আমরা সবাই চাই। কারণ লম্বা ছেলে এবং মেয়েদের দেখতে যতটা সুন্দর লাগে খাটো ছেলে মেয়েদের কিন্তু দেখতে সুন্দর লাগে না। যদিও লম্বা বা খাটো হওয়ার টা অনেকাংশে নির্ভর করে বংশগত জিনের উপর। একটি শিশুর জন্মের পর তার ডিএনএ নির্ধারিত হয় তার মা-বাবা এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে। যেসব সন্তানের মা-বাবার উচ্চতা কম তাদের উচ্চতা বাড়ে না।

কিন্তু শিশুকাল থেকে যদি খাবার দাবার ঠিক থাকে এবং সঠিক পরিমাণে পুষ্টির উপাদান শরীরে বিদ্যমান থাকে তাহলে কিন্তু উচ্চতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা থেকে যায়।উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য জিন ব্যয় কিন্তু এর ব্যতিক্রম হতে আমরা দেখতে পাই। অনেক সময় দেখা যায় যে পিতা-মাতা এর উচ্চতা কম হলেও তাদের সন্তান-সন্ততির উচ্চতা কিন্তু বৃদ্ধি পায়। অনেক খাটো মা-বাবার সন্তান কিন্তু ছয় ফুট উচ্চতায় লম্বা হয়ে থাকে। তাই উচ্চতা বৃদ্ধির ব্যাপারটা সম্পূর্ণ জিনের উপর ছেড়ে না দিয়ে আমাদের করণীয় কিছু রয়েছে।

আপনি লম্বা হতে চান

অথবা আপনার শিশু সন্তান যাতে লম্বা হয় এর জন্য কি আপনি টিপস চান?কোন কোন খাবার খেলে আপনার সন্তানের উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে এগুলো কি জানতে চান?আজকে আমরা আমাদের এই আর্টিকেলে আর এগুলো সব প্রশ্নের উত্তর দিব। কোন কোন খাবার খেলে উচ্চতা বৃদ্ধি পায় সেগুলো আপনাদের জানাবো। ১৮ বছর বয়সের পরেও যদি আপনি উচ্চতা বৃদ্ধি করতে চান তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি অবশ্যই ফলো করবেন। আমাদের আর্টিকেলটি ফলো করলে আপনি নিশ্চয়ই আপনার উচ্চতা সামান্য কিছু হলেও বৃদ্ধি করতে পারবেন।

লম্বা হওয়ার প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে যেসব খাদ্যাভ্যাস জরুরি সে বিষয়ে রইলো কিছু টিপস:

লিন প্রোটিন খাবেন বেশি।
খাদ্যতালিকায় শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করুন।
দুধ, দই এর মাধ্যমে প্রচুর ক্যালসিয়াম গ্রহণ করুন।
মিষ্টিকুমড়া, চিনেবাদাম, গম এমন কিছু খাবার খাবেন যাতে প্রচুর জিংক পাওয়া যায়।
পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি গ্রহণ করতে হবে।

সামুদ্রিক মাছ খেলে উচ্চতা বৃদ্ধি পায়। হারে ক্যালসিয়াম বৃদ্ধি পায় সামুদ্রিক মাছ খেলে। সামুদ্রিক মাছ এবং বেশি করে প্রোটিনযুক্ত খাবার খেলে আপনার শিশু সন্তানের উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক অংশ বেড়ে যায়।
স্যালমন, টুনা, সার্ডিনের মতো মাছ প্রোটিন ও ভিটামিন ডি-এর উল্লেখযোগ্য উৎস, যা উচ্চতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। মাছে উপস্থিত ভিটামিন-ডি ক্যালশিয়াম বাড়ায়। ক্যালশিয়াম হাড়কে মজবুত এবং ঘন করে। পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ম্যাঙ্গনিজ, প্রবায়োটিক সমৃদ্ধ কলা দৈর্ঘ্য বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।যেমন সকালের আহারের জন্য দই রাখা যেতে পারে, দুপুরের জন্য টুনা মাছ, রাতে মুরগির মাংস। এছাড়া, হালকা নাস্তার তালিকায় রাখা যেতে পারে স্ট্রিং চিজ।

পরীক্ষায় দেখা গেছে যেসব বাচ্চারা প্রতিদিন একটি করে ডিম খায়, সেসব বাচ্চার একটু বেশি লম্বা হয় তাদের থেকে যারা প্রতিদিন ডিম খায় না। ডিমে রয়েছে শরীরের বৃদ্ধির জন্য অতি প্রয়োজনীয় প্রোটিন ও ভিটামিন। এছাড়া, এটি সস্তা বলে সবাই কিনে খেতে পারে।তবে অনেক সময় প্রতিদিন ডিম খেলে, অনেক বাচ্চাদের শারিরীক সমস্যা হতে পারে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।

দুধ ও দুধ জাতীয় খাদ্যদ্রব্য উচ্চমাত্রায় প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন বহন করে যা শরীরের পুষ্টি জোগায়। প্রতিদিন এক গ্লাস করে দুধ খাওয়া অথবা দই বা পনির শরীরের জন্য খুবই উপকারি।প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় পছন্দমত একটি দুধ জাতীয় খাদ্য রাখতে হবে অথবা প্রতিদিন দুধ পান করতে হবে। এসব সন্তানের দেহে প্রোটিনের অভাব রয়েছে সেইসব সন্তানের স্বাভাবিক বৃদ্ধি হয় না। তাই শিশুদের উচ্চতা বৃদ্ধিতে সবচাইতে বেশি প্রয়োজন হল শিশুদের পর্যাপ্ত পরিমাণে আমিষ জাতীয় খাদ্য দিতে হবে। বাচ্চাদের আমিষ জাতীয় খাদ্য এবং স্নেহ জাতীয় খাদ্য যদি বেশি পরিমাণে খাওয়ানো হয় তাহলে সেই বাচ্চার উচ্চতা বৃদ্ধি পায়।

আশা করি ,আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে মানব শরীরে কোন কোন খাদ্যদ্রব্য উপস্থিতিতে উচ্চতা বৃদ্ধি পায় এবং স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে ব্যাঘাত ঘটে না । এভাবেই সঠিক নিয়মে পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করলে উচ্চতা বৃদ্ধি পায়। খাটো মানুষটা সব সময় লম্বা হতে চাই। একটা বয়সের পর মানুষ আর লম্বা হয় না তাই শিশুকাল থেকেই আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।

Leave a Comment