ওজন বৃদ্ধি মানুষের এখন খুব একটি বেশি সমস্যা। কারণ বেশিরভাগ মানুষের শারীরিক পরিশ্রম নেই এই কারণে তারা নিয়মিত ব্যায়ামও হবার করে না তাই দেখা যাচ্ছে যে অধিকাংশ মানুষের ওজন এমনিতেই বেড়ে যাচ্ছে। আরেকটি বিষয় হলো যে প্রত্যেকটি মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে এই কারণে দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা মানুষগুলো এখন অনেক বেশি আয় রোজগার করে। আর হাই রোজগার করার কারণে পুষ্টিকর খাবার এর অভাব বেশিরভাগ মানুষেরই নেই। তাতে করে দেখা যাচ্ছে যে সংসারের স্বচ্ছলতা রয়েছে এই কারণে রান্নাবান্না ভালো হয় এবং সকলেই কম বেশি একটু ভালোই খেয়ে থাকে। এতে করে দেখা যাচ্ছে যে বেশিরভাগ মানুষের ওজন এমনিতেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ইউরোপের শিল্প বিপ্লবের পর থেকে সারা পৃথিবীতে এখন পরিশ্রম করে কাজ করতে হয় এমন কাজ খুব কম। সব কাজে মোটামুটি ভাবে মেশিন করে দিচ্ছে। চন্দ্রকে বেশি কাজে লাগানোর জন্য দৈহিক পরিশ্রম কম হচ্ছে। আর দৈহিক পরিশ্রম কম অপরদিকে খাবার ভালো এবং খাবার বেশি খাচ্ছি এসব কারণে আমরা বেশিরভাগ মানুষই মোটা হয়ে যাচ্ছি যাকে বলা হয় ওজন বৃদ্ধি হচ্ছে। আবার শিশু কিশোরদের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে তাদের পড়াশোনার চাপ বেশি শারীরিক পরিশ্রম
অর্থাৎ খেলাধুলা করার সময় নেই এসব কারণে তারা তো একদিকে ওজন বৃদ্ধি হচ্ছে অন্যদিকে আবার জাঙ্কফুট জাতীয় খাদ্য বেশি খাচ্ছে এ কারণেও দেখা যায় যে ওজন বেড়েই চলেছে। এর থেকে মুক্তির উপায় হলো আমাদের অবশ্যই ওজন কমাতে হবে। এখন এই ওজন কিভাবে কমায় সে বিষয়টায় আমাদের দেখতে হবে। একটা মানুষ কিভাবে ওজন কমাতে পারে। ওজন কমাতে হলে সাধারণত আমাদের দুইটি দিক বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে। একটি হলো প্রতিদিন নিয়মিতভাবে শারীরিক পরিশ্রম করা অন্যথায় শরীর চর্চা বা ব্যায়ামে করে যেতে হবে।
অন্যদিকে ডায়েট কন্ট্রোল এর জন্য ডায়েট চার্ট দিয়ে ফলো করে খাবার-দাবার বিষয়টি দেখতে হবে। অর্থাৎ একদিকে ডায়েট কন্ট্রোলের জন্য খাবার কম খেতে হবে অন্যদিকে আপনাকে শারীরিক পরিশ্রমের যদি না থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত শরীর চর্চা পাবেন করে যেতে হবে বেশ কিছুক্ষণ ধরে। অর্থাৎ অন্যান্য বেঙ্গলি যদি নাও পারেন আপনি শুধুমাত্র ঢাকবেন প্রায় ৪৫ মিনিট থেকে এক ঘন্টা। এতে করে দেখা যাবে যে আপনার ওজন বৃদ্ধি হ্রাস হচ্ছে। এবং কিছু কিছু খাবার আছে যে খাবারগুলো খেলে আপনার ভেতরে যে চর্বি রয়েছে সে চর্বি কাটতে শুরু করবে এবং আপনার ওজন
অবশ্যই কমতে শুরু করবে। মোটকথা আপনার ওজন কমাতে হলে আপনাকে অবশ্যই একাধারে খাবার কমাতে হবে এবং অন্যদিকে শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়াম করতে হবে তাহলে অবশ্যই কিছুদিনের মধ্যে আপনার ওজন কমতে শুরু করবে। এছাড়াও এখন বাজারে কিছু পরিমাণের বা কোন কোম্পানি অবশ্যই ওজন কমানোর জন্য বিভিন্ন ঔষধ বাজারজাতকরণ করে। সে সকল ঔষধ গুলি আপনি নিয়মিত খেলেও ওজন কমতে থাকবে। তবে এ সকল ঔষধ খাওয়ার পূর্বে আপনাকে অবশ্যই বিশেষত্ব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসক যদি আপনাকে অনুমতি বা ব্যবস্থাপত্র দিয়ে থাকেন তবেই আপনি সেই ঔষধ গুলি সেবন করতে পারবেন।
এছাড়া আপনি স্বাভাবিকভাবেই ওজন কমানোর চেষ্টা করে যাবেন। স্বাভাবিকভাবে ওজন যদি কমাতে পারেন তাহলে আপনার শারীরিক কোন ইফেক্ট পরবে না। ডায়েট কন্ট্রোল করতে হলে যে খাবারগুলো খাওয়া প্রয়োজন সে খাবারগুলো খাবেন এবং মোটামুটি ভাবে আপনাকে শর্করার পরিমাণ অর্থাৎ চিনি মিষ্টি শর্করা এই খাবারগুলো একটু কমিয়ে দিলেই দেখবেন যে আপনি মোটামুটি ভাবে ওজন কমাতে পারছেন।
আরেকটু বেশি করে ওজন কমাতে হলে আপনাকে অবশ্যই এক্সারসাইজের পরিমাণ বাড়াতে হবে এবং আর একটু ডায়েট কন্ট্রোল অর্থাৎ মোটামুটি ভাবে কিছু খাবার যে খাবারগুলো ওজন বৃদ্ধির কারণ হয়ে দাঁড়ায় সেই খাবারগুলো কম খাবেন। তাহলে দেখবেন যে কিছু দিনের মধ্যে আপনার ওজন মোটামুটি ভাবে যেটা আপনি চাচ্ছিলেন সেই রকম হয়ে যাবে। এ ধরনের তথ্যগুলি পাওয়ার জন্য আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে পাশে থাকবেন বলে আশা করি।