আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের স্বাগতম। আল্লাহ তায়ালা মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদতের জন্য। আর মুসলমান জাতি আল্লাহ তায়ালার ইবাদতের মাধ্যমে সময় অতিবাহিত করার চেষ্টা করেন। বিভিন্ন রকম ইবাদত রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ইবাদত হচ্ছে নামাজ আদায় করা। যে মুসলমান ব্যক্তি প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত শুদ্ধভাবে নামাজ আদায় করে, আল্লাহ তাআলা তার উপর অনেক বেশি খুশি হয়। তাছাড়া আল্লাহ তার উপর রহমত বর্ষণ করেন, যার ফলে সে দুনিয়ার জীবনে এবং পরকালীন জীবনে সুখী হতে পারে বা সফলতা লাভ করতে পারে। তাই দুনিয়ার জীবনে এবং মৃত্যুর পরের জীবনে উভয় জীবনে সুখী হওয়ার জন্য বা সফলতা লাভ করার জন্য আল্লাহ তায়ালার ইবাদতের মাধ্যমে জীবন অতিবাহিত করা প্রয়োজন।
আল্লাহ তাআলা মানব জাতিকে হিদায়াতের জন্য যুগে যুগে বহু নবী-রাসূল পাঠিয়েছেন। তারা কিভাবে ইসলাম পালন করতে হবে, কিভাবে আল্লাহর ইবাদত করতে হবে সে বিষয়গুলো নিয়ে বিভিন্ন ধরনের হাদিস রেখে গেছেন। সে সকল হাদিস থেকে মুসলমানগণ ইসলাম পালনের বিধানাবলী শিখতে পারে। প্রত্যেকটি মুসলমানের উচিত নবী রাসূলের দেখানো পথ অনুসারে ইসলাম পালন করা। তারা যেভাবে ইসলামের জন্য নিবেদিত প্রাণ ছিলেন সেই রকম নিবেদিত প্রাণ হওয়ার চেষ্টা করা। নবী-রাসূলগণ তাদের জীবনে কখনো ইসলাম থেকে বিচ্যুত হননি। কঠিন বিপদের মুখেও ইসলাম ত্যাগ করেন নি। তারা সবসময় আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ মত কাজ করেছেন এবং ইসলামকে মনে প্রাণে ধারণ করে চলেছেন।
এছাড়াও মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ হচ্ছে আল কুরআন। এই পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কুরআনে ইসলামের সমস্ত দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কোন মুসলমান ব্যক্তি যদি অর্থ সহকারে আল কুরআন তিলাওয়াত করে, তাহলে সে ইসলামের সমস্ত দিক নির্দেশনা বুঝতে পারবে এবং সেগুলো মেনে চললে আল্লাহ তাআলা তার উপর অনেক খুশি হবে। তাছাড়া কুরআন শরীফ বুঝে পড়ুক বা না বুঝে পড়ুক যে ব্যক্তি তেলাওয়াত করবে তার জন্য অনেক বেশি নেকি রয়েছে।
একটি হরফ তেলাওয়াত করলে দশটি নেকি পাওয়া যায়। তাই প্রত্যেকটি মুসলমান ব্যক্তির উচিত ইসলামিক জীবন দর্শন সম্পর্কে জানতে, ইসলাম সম্পর্কে জানতে, সমস্ত দিক নির্দেশনা পেতে আল কুরআন তিলাওয়াত করা এবং আল কুরআনের অর্থগুলো মনের প্রানে ধারণ করা। যদি কোন ব্যক্তি এই কাজগুলো করে, তাহলে সে আল্লাহ তাআলার প্রিয় বান্দায় পরিগণিত হবে এবং তার উপর আল্লাহতালা অনেক বেশি খুশি হয়ে রহমত বর্ষণ করবেন। তাই প্রত্যেকটি মুসলমানদের উচিত আল কুরআনের বিধান মোতাবেক নিজেকে পরিচালিত করা।
বিভিন্ন ধরনের ইবাদত রয়েছে। সেই ইবাদত গুলোর মধ্যো আল্লাহ তায়ালাকে খুশি করা যায়। আল্লাহ তায়ালার প্রিয় বান্দায় পরিণত হওয়া যায়। আল্লাহ তাআলার রহমত লাভ করা যায়। সে সকল ইবাদত গুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান ইবাদত হচ্ছে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করা। কোন মুসলমান ব্যক্তি যদি আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্ট অর্জনের জন্য শুদ্ধভাবে প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, তাহলে আল্লাহ পাক তার ওপর অবশ্যই রহমত বর্ষণ করবেন এবং সে সফলতা অর্জন করতে পারবে। তবে নামাজ আদায় করার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যেন শুদ্ধভাবে নামাজ আদায় করা হয়।
অনেকে দেখা যায় যে ঠিকভাবে নামাজ আদায় করতে পারে না। তাদের উচিত নামাজ আদায়ের শুদ্ধ নিয়ম শিখে নেওয়া। তাছাড়া নামাজের মোনাজাত করার নিয়মও অনেকেই জানে না। নামাজে মোনাজাত করতে হবে এবং মোনাজাতের প্রয়োজন আছে। নামাজে মোনাজাতে আল্লাহর কাছে হাত উঠিয়ে নিজের জন্য, নিজের আত্মীয়-স্বজনদের জন্য, সবার জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা চাইতে হবে, আশ্রয় চাইতে হবে। আল্লাহ তা’আলা চাইলে সবকিছু সম্ভব। তাই নিজের পাপ মোচনের জন্য এবং সফলতা লাভের জন্য এবং নিজের পরিচিত নিকট আত্মীয়দের ভালো থাকার জন্য অবশ্যই নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে মোনাজাত করতে হবে। কোন বান্দা যদি খাটি অন্তরে আল্লাহর কাছে পবিত্র কোন জিনিস চায়, নিশ্চয় আল্লাহ সে জিনিস ঐ বান্দার জন্য মঙ্গল জনক হলে তাকে দান করবেন৷