কোন ব্যক্তি আপনাকে যদি বড় কোন ধরনের নোট দিয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাকে জাল টাকা চেনার উপায় সম্পর্কে আগে থেকে অবগত হতে হবে। কারণ এ সম্পর্কে যদি কেউ স্পষ্টভাবে ধারণা অর্জন না করতে পারে তাহলে বাইরের জগতে চলাফেরা করতে গিয়ে কিন্তু অনেক সময় ধরা খেতে পারেন। তাই জাল টাকা চেনার উপায় সম্পর্কে আপনাদের উদ্দেশ্যে আমরা এখানে কিছু তথ্য উল্লেখ করব এবং এই উপায় জেনে নিয়ে আপনারা সেই অনুযায়ী টাকা হাতে পাওয়ার পর চেক করলে সকল বিষয় বুঝতে পারবেন।
দৈনন্দিন জীবনে যারা টাকার সঙ্গে লেনদেন করেন অথবা টাকা নাড়াচাড়া বেশি করেন তারা কিন্তু হাতে নিলেই বুঝতে পারেন কোন টাকা জাল এবং কোন টাকা আসল। আমাদের দেশের বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব থেকে শুরু করে যে সকল উৎসব অনুষ্ঠানগুলোতে মানুষের হাতে টাকা আসে অথবা মানুষ জন যে সকল ক্ষেত্রে টাকা বেশি পরিমাণে দোকানে জমা দিতে পারে সে সকল ক্ষেত্রে বাজারে চলে আসে অসাধু ব্যক্তিদের দ্বারা জাল টাকা। এই জাল টাকা যখন বাজারে আসবে তখন সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রত্যেকটা দোকানদারকে যেমন সচেতন ভূমিকা পালন করতে হবে তেমনি ভাবে এ বিষয়ে জানতে হবে।
কারণ বাইরের জগতে চলাফেরা করার ক্ষেত্রে কোন মানুষ কেমন তা কিন্তু আমরা একেবারেই জানিনা।সুতরাং পরবর্তীতে স্টেপ নেওয়ার পরিবর্তে অথবা সেই লোক যদি সামনে না আসে তাহলে আপনারা সমাধান পাবেন না বলে আগে থেকেই এ বিষয়ে ধারণা অর্জন করে নিতে পারলে খুব ভালো হবে। তাই জাল টাকা চেনার ক্ষেত্রে আমরা এখানে ১০০ টাকা ৫০০ টাকা এবং ১০০০ টাকার নোটের ক্ষেত্রে কি কি ধরনের পরিবর্তন আসবে সেটা সম্পর্কে জানিয়ে দিচ্ছি।
আপনারা যদি জাল টাকা চেনার ক্ষেত্রে কোন নির্দেশক অনুসরণ করতে চান তাহলে বলবো যে নিরাপত্তা সুতার ক্ষেত্রে অসামঞ্জস্যতা পেয়ে যাবেন। সেই সাথে জাল টাকায় রং পরিবর্তনশীল কালি অথবা অসমতল ছাপা অথবা জলছাপের ক্ষেত্রেও কিন্তু পরিবর্তন আসবে। সুতরাং আমরা যখন এই টাকা হাতে নিব তখন অবশ্যই নোটের সামনে এবং পেছনের দুই দিকের ডিজাইন ঠিকমতো আছে কিনা অথবা মধ্যভাগের লেখা ঠিকঠাক মতো প্রদান করা হয়েছে কিনা সেটা অবশ্যই দেখে নিব। আর এক্ষেত্রে অনেক সময় হাতে নিলে খসখসে ভাব চলে আসতে পারে এবং সেখান থেকে আমাদের বুঝতে হবে।
আসল নকল টাকা চেনার উপায়
যখন আপনাদের হাতে ১০০ টাকা অথবা ৫০০ টাকার নোট আসবে তখন আপনারা বৃত্তাকার যে ছাপ আছে সেটা হাতের স্পর্শে নিবেন এবং যদি উঁচু-নিচু মনে হয় তাহলে অবশ্যই সেখানে অসামঞ্জস্যতা আছে বলে আমাদের ভাবতে হবে। জাল নোটের জল ছাপ কখনোই স্পষ্ট হবে না এবং যে জল ছাপ দেয়া হবে সেটা খুবই নিম্নমানের প্রদান করা হয়। সুতরাং টাকার জলছাপের দিকে তাকালেই বোঝা যাবে এবং আসল টাকা একটা পাশে নিলেই জলছাপ স্পষ্ট হয়ে যাবে।
জাল টাকা নোট সনাক্তকরণ
আবার যে টাকাগুলো বড় মানের হয়ে থাকে সেগুলোর নোটের উপরে ডানদিকে ইংরেজি সংখ্যার লেখা নোটের মূল্যবান রং পরিবর্তনশীল কালিতে মুদ্রিত হয়ে থাকে বলে এটা আমরা খুব সহজেই বুঝতে পারি। সাধারণত স্বল্পমূল্যের মেশিনে জাল নোট ছাপানো হয়ে থাকে বলে হাতে নেওয়ার সাথে সাথে সেগুলো সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। বিভিন্ন নির্দেশক রয়েছে সেগুলো যদি আমরা জানতে পারি অথবা এ বিষয়ে যদি আগে থেকেই কোন কিছু সম্পর্কে অবগত হয়ে থাকতে পারে তাহলে কেউ জাল টাকা দিয়ে ঠকাতে পারবে না।
জাল টাকা চেনার অ্যাপ
জাল টাকা চেনার জন্য কোন অ্যাপস আছে কিনা অথবা এই অ্যাপস এর নাম যারা জানতে এসেছেন তাদের উদ্দেশ্যে আমরা এখানে এ বিষয়গুলো উপস্থাপন করছি। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জাল টাকা চেনার জন্য কোন অফিসিয়াল অ্যাপস এ পর্যন্ত বের হয়নি। তবে প্রতিটা ব্যাংকেই জাল টাকা চেনার জন্য যে সকল নির্দেশক রয়েছে সেগুলো আলোচনা করা হয়ে থাকে এবং ছবির মাধ্যমে সেগুলো বুঝিয়ে দেওয়া হয়ে থাকে। তাই দৈনন্দিন জীবনে সকল অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারলে আশা করি কেউ আপনাকে জাল টাকা দিয়ে চলে যেতে পারবে না।