বক্তব্য কিভাবে শুরু করবেন | বক্তৃতা শুরু করার নিয়ম

স্বাভাবিকভাবে যারা বিভিন্ন স্থানে বক্তৃতা দিয়েছেন তারা হয়তো জানেন কিভাবে এটা শুরু করতে হয় অথবা কিভাবে লোকের সামনে দাঁড়িয়ে অনেক অনেক কথা বলা যায়। অনলাইনে চ্যাটিং করা এবং লোকের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলা কিন্তু আকাশ-পাতাল পার্থক্য। এমনকি আপনি বন্ধ না হলে যখন সকলের উদ্দেশ্যে কোন একটা ঘোষণা দেবে যাবেন এবং এই অভ্যাস যদি আপনার না থাকে তাহলে হয়তো আপনারা কথা বলতে গিয়ে জড়তা চলে আসবে।

তাই বক্তব্য কিভাবে দিতে হয় অথবা বক্তৃতা কিভাবে শুরু করতে হয় সেই প্রসঙ্গে এখানে আলোচনা করব। বক্তৃতা প্রদান করার ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ রয়েছে সেগুলো যদি আপনাদের উদ্দেশ্য আলোচনা করতে পারি অথবা আপনাদের জড়তা কাটানোর বিষয়গুলো জানিয়ে দিতে পারলে আপনারা নিজেদেরকে ইমপ্রুভ করতে পারবেন। কোন একটা অনুষ্ঠানে যদি শিক্ষক অথবা কোন একটা ব্যক্তি আপনাকে যদি দায়িত্ব দেয় যে সামনে গিয়ে কোন কথা বলুন তাহলে হয়তো সেটা কি ধরনের অনুষ্ঠান তার উপরে নির্ভর করে আপনারা পজিটিভ দিকগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করতে পারেন।

তাছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যদি কোন ধরনের বিদায় অনুষ্ঠান হয় এবং এক্ষেত্রে আপনাকে যদি বলা হয় বক্তৃতা দিতে তাহলে হয়তো অনেক সময় অনেকেই ভেবাচেকা খেয়ে যান। তবে বক্তৃতা শুরু করার যেমন নিয়ম রয়েছে তেমনিভাবে কিভাবে কথা বলতে হয় এবং কিভাবে নিজেদের ভেতরের ভয়গুলো কাটিয়ে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সকলের কাছে নিজের মতামতকে প্রকাশ করা যায় সেগুলো আপনারা করতে পারেন। তাই বক্তৃতা শুরু করার ক্ষেত্রে আপনাকে সর্বপ্রথমে যে বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে সেটা হলো যে আপনি আসলে কোন ধরনের অনুষ্ঠানের অবস্থান করছেন।

আপনার শব্দভাণ্ডার সীমিত হতে পারে, আপনার কথা বলার মধ্যে আঞ্চলিকতা থাকতে পারে অথবা অন্যান্য আরো অনেক সমস্যা থাকতে পারে। তবে এ সকল সমস্যা কোন সমস্যাই না। তবে সামনে গিয়ে কথা বলার অভ্যস্ততা যদি না থাকে তাহলে হয়তো আমরা খুব তাড়াহুড়া করে যে সেই স্থান থেকে যদি যত তাড়াতাড়ি যেতে পারবো তাহলে আমাদের ভালো হবে। তবে তাড়াহুড়া না করে আপনি যে স্থানটিতে অবস্থান করছেন সেই স্থানটিতে প্রথমত যে কথাগুলো বললেন সেই কথাগুলোর ফ্লো অনুযায়ী যদি সব কথা বলতে পারেন তাহলে দেখা যাবে যে আপনার ভিতরে কোন টেনশন কাজ করছে না।

বক্তব্য কিভাবে শুরু করতে হয়
বক্তব্য কিভাবে শুরু করতে হয় সে প্রসঙ্গে বলবো যে আপনি দিয়ে যে ধর্মের অনুসারী সেই ধর্ম অনুযায়ী সকলকে সম্বোধন জানাবেন। তাছাড়া উপস্থিত অনুষ্ঠানে অনেক ধর্মের মানুষ রয়েছে বলে সকলের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাবেন। তারপরে আপনাকে যদি শুধু শুধু বক্তব্য দিতে বলা হয় তাহলে সেই অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উপস্থাপন করতে পারেন। তবে সেই অনুষ্ঠান সম্পর্কে আপনার যদি খুব বেশি জানাশোনা না থাকে তাহলে খুব ভালো ভালো কথা বলেও কিন্তু এটা শেষ করা যেতে পারে।

বক্তব্য কিভাবে দেয়
বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে সবচাইতে যে বিষয়টা কাজ করে সেটা হল আপনি সে বিষয়ে না জানলেও আপনার অতীতের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে কোন কিছু বলে আসা যাবে। তাই আপনারা হয়তো সে বিষয়ে জানতে চান যে এটা আসলে কিভাবে শুরু করে এবং এটা শুরু করে যে আহামরি কঠিন কাজ এমনটা নয়। যে ধরনের অনুষ্ঠানে অবস্থান করছেন সেই ধরনের অনুষ্ঠানের সকলকে সম্ভাষণ করার পাশাপাশি আপনার মতামত গুলো প্রদান করতে চেষ্টা করবেন অথবা আপনাকে যে টপিক দেয়া হবে সে টপিকে বলতে চেষ্টা করবেন।

শুভেচ্ছা বক্তব্য কিভাবে দিতে হয়
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে এমন ভাবে বক্তব্য দিবেন যাতে করে সকলেই আপনার এই শুভেচ্ছা গুলো সাদরে গ্রহণ করে। তাছাড়া বক্তব্যের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ হলো সেখানে বিভিন্ন ধরনের উক্তি অথবা গুরুত্বপূর্ণ লাইন প্রবেশ করিয়ে দেওয়া। আর যদি আপনাকে বক্তব্য দেওয়ার জন্য আগে থেকে নির্বাচন করা হয় তাহলে বাড়িতে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নির্দিষ্ট টপিকে সেই বিষয়ে যদি একটু প্র্যাকটিস করে নিতে পারেন তাহলে খুব ভালো মতো বক্তব্য দিতে পারবেন। ধন্যবাদ।

Leave a Comment