আমাদেরকে অবশ্যই জানতে হবে আমাদের কিডনি ভালো রয়েছে কিনা। মানব শরীরের অভ্যন্তরে যে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গুলি থাকে সেই অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গুলির আমরা দেখতে পাই না। এই অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলিকে যদি ভালো রাখতে হয় তাহলে শুধুমাত্র আমরা অনুভব করেই থাকি যে এগুলো ভালো আছে কিনা। এগুলা যদি ভালো আছে কিনা বোঝার জন্য কিছু পরীক্ষা আমাদের করতে হয়।
সেই পরীক্ষা অনুযায়ী চিকিৎসকরা বলে দিয়ে থাকেন যে আমাদের শরীরের অভ্যন্তরে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গুলি কেমন রয়েছে। তবে আমরা শারীরিকভাবে বুঝতে পারি যে এই অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলি কেমন রয়েছে। কারণ মহান সৃষ্টিকর্তায় আমাদের অনুভূতি দিয়েছে এবং সেই অনুভূতির মাধ্যমে যদি কোন খারাপ অনুভূতি হয় শরীরের কোথায় খারাপ অনুভূতি হচ্ছে সেটা আমরা বুঝতে পারি।
শরীরের বাইরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলি আমরা সরাসরি চোখে দেখতে চাই কিন্তু শরীরের অভ্যন্তরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গুলি সরাসরি আমরা বুঝতে পারি না সেই অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গুলি কেমন রয়েছে। তেমনিভাবে কিডনির বিষয়টাও তাই। আমরা যদি কোন ধরনের খারাপ কিছু অনুভব না করি ততক্ষণ পর্যন্ত মনে করে থাকি হয়তো শরীরের অভ্যন্তরের সকল অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গুলি ভালো হয়েছে। শুধুমাত্র অনুভবের দ্বারা আমাদের বুঝে নিতে হয় শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গুলি অর্থাৎ ভেতরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গুলি কেমন রয়েছে।
অনেক সময় আমরা অনুভব করেও বুঝতে পারিনা অর্থাৎ কোন অনুভূত হয় না যে আমার শরীরের সেই অঙ্গটি বিশেষ করে কিডনি লিভার ফুসফুস খারাপ হয়েছে কিনা বা সুস্থ রয়েছে কিনা এসব বিষয়ে। একেবারে ডেমেজ হয়ে যাওয়ার কিছুদিন পূর্বে হয়তো সেই লক্ষণগুলো প্রকাশ পায় এবং সেগুলো ঠিক করতে গিয়ে দেখা যায় যে আর কোন উপায় নেই এই অঙ্গটি ভালো করার। তাই আমরা যখন শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গুলি কেমন রয়েছে সেই বিষয়টি অনুভব করতে চাই সেটি অনুভব ছাড়া না পরীক্ষা করা পর্যন্ত বোঝা যায় না।
তাই মাঝেমধ্যে আমাদের কিডনি কেমন রয়েছে লিভার কেমন রয়েছে অথবা ফুসফুস কেমন রয়েছে এইসব বিষয়গুলি যদি জানতে হয় তাহলে অবশ্যই সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে বা সঠিক পরীক্ষার মাধ্যমে জেনে নিতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন শরীরের অভ্যন্তরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গুলি ঠিক রয়েছে কিনা সেটা জানার জন্য ছয় মাস পর পর কিছু পরীক্ষা করা উচিত। এবং সেই পরীক্ষাগুলি অবশ্যই চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে করা উচিত।
পরীক্ষাগুলোর মাধ্যমে আমরা বুঝে নিতে পারব যে আমাদের শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গুলি কেমন রয়েছে নচেৎ নয়। তাই আমাদের কিডনি ভালোবেসে কিনা শুধুমাত্র কিডনির পরীক্ষা দ্বারাই বুঝতে পারি আবার হার্ট ভালো রয়েছে কিনা সেটি চিকিৎসকেরা যে হার্টের পরীক্ষাগুলো দেয় সেটির মাধ্যমে বুঝতে পারি। তেমনি ভাবে ফুসফুস লিভার এই সকল বিষয়গুলি ভালো রয়েছে কিনা তা জানার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই কিছু কিছু পরীক্ষা যেগুলি চিকিৎসকনির্দেশিত সেই পরীক্ষাগুলি আমাদের করা উচিত বা জরুরি বলেই মনে করি।
বছরে দুই বান ভিতরের অঙ্গ গুলি পরীক্ষা করতে হয় তাতে করে যদি কোন সমস্যা সৃষ্টি হয় চিকিৎসা করার সুযোগ পাওয়া যাবে। যদি তা না হয় তাহলে যখন লক্ষণগুলো প্রকাশ পাবে তখন আর চিকিৎসা করে কোনই ফায়দা হয় না। আমরা এরকম ধরনের অনেক কিছুই দেখেছি বা অনেক মানুষজনকেই দেখেছি যারা লক্ষণ প্রকাশ করার পর তাদের চিকিৎসা শুরু হয় এবং অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সেই সকল ব্যক্তিগুলো মারা যায়।
তাই আমাদের উচিত হবে যে কিডনি ভালো রয়েছে কিনা তা জানার জন্য অবশ্যই ৬ মাস পরপর এটি পরীক্ষা করা অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ মত চলা। তাই আপনারা আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে বেশি না ধরনের তথ্য যদি পেতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের সাথে থাকবেন আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন। আর আমরা চেষ্টা করে যাবো আপনাদের সব সময় সঠিক তথ্য সঠিক সময়ে তুলে ধরার মাধ্যমে।