শরীরের ভেতরে শ্বাস প্রক্রিয়া ঠিকঠাক মতো পরিচালিত হওয়ার ক্ষেত্রে ফুসফুসের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। দৈনন্দিন জীবনে ধূমপান থেকে শুরু করে বিভিন্ন শারীরিক সংক্রমণের কারণে অনেক সময় ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই অন্য পোস্টে আপনাদের উদ্দেশ্যে আমরা ফুসফুস ভালো রাখার জন্য কিভাবে কোন ধরনের খাবার খেতে হবে অথবা কোন ধরনের ব্যায়াম আপনার ফুসফুসকে ভালো রাখতে সাহায্য করবে সে সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আর এই পোষ্টের মাধ্যমে এমন কিছু আলোচনা করব যেটার মাধ্যমে আপনার ফুসফুস ভালো আছে কিনা সেই প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন।
কারণ সুস্থতা অবলম্বন করতে চাইলে রুটিন চেকআপ আমরা কিন্তু অনেকেই করাতে পারি না। কিন্তু ঘরোয়া পদ্ধতিতে এমন কিছু লক্ষণ রয়েছে যেটার মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি যে আসলে আমাদের ফুসফুস ভালো আছে কিনা অথবা শরীরের অন্যান্য কার্যক্রম ঠিকঠাকমতো পরিচালিত হচ্ছে কিনা। এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের উদ্দেশ্যে আমরা ফুসফুস ভালো আছে কিনা সে প্রসঙ্গে জানিয়ে দিচ্ছি। অর্থাৎ এই পদ্ধতি আপনারা যদি অনুসরণ করতে পারেন তাহলে সেটার মাধ্যমে কিন্তু খুবই ভালো হবে এবং এর মাধ্যমে বুঝতে পারবেন আপনার ফুসফুস ভালো আছে কি অথবা ভালো নেই।
অনেক সময় আমাদের বুকে হালকা ব্যথা হতে থাকে এবং মাঝেমধ্যে আমাদের ঠান্ডা লাগার প্রবণতা কিন্তু অনেকের রয়েছে। ঠান্ডা লেগে থাকলে আমাদের ফুসফুসে সংক্রমণ হয়ে থাকি অথবা বিভিন্ন কারণে আমাদের ফুসফুসে আক্রমণ হতে পারে বলে আমাদের ভেতরে যেমন ধারণা আছে তেমনি ভাবে ভ্রান্ত ধারণাও বিরাজ করছে। করো না পরবর্তী সময় থেকে চিকিৎসকেরা সবসময় ফুসফুসের যত্ন নিতে বলেছে যাতে করে আমাদের শ্বাস প্রশ্বাস ঠিকঠাক মত পরিচালিত হয়। তাই দৈনন্দিন জীবনে ঠিকঠাকমতো খাবার গ্রহণ করার পাশাপাশি পর্যাপ্ত ব্যায়াম করতে হবে এবং সেই সাথে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
তাই আপনি যদি প্রত্যেকদিন ঘুম থেকে ওঠার পরে বুঝতে পারেন আপনার শরীর ফিটফাট অথবা কোথাও কোন স্থানে ব্যথা হচ্ছে না তাহলে বুঝে নিবেন যে আপনার ফুসফুস ভালো রয়েছে। অনেকের ঘুম থেকে ওঠার পরে কাঁধ এবং পিঠে প্রচন্ড পরিমাণে ব্যথা হয়ে থাকে এবং এটা যে ক্লান্তির কারণে হচ্ছে এমন নয়। এই ধরনের সমস্যা হলে আপনার ফুসফুসে অথবা অন্য কোনো সমস্যার কারণে হচ্ছে বলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। আবহাওয়া পরিবর্তনের পাশাপাশি বছরের বিভিন্ন সময়ে আপনার যদি সর্দি কাশি লেগে থাকে তাহলে এটা কিন্তু স্বাভাবিক বলে কখনোই ভাববেন না।
অর্থাৎ ঘন ঘন সর্দি কাশি লাগা এটা স্বাভাবিক লক্ষণ নয় বলে অবশ্যই আপনারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে এটা আসলে ফুসফুস থেকে হচ্ছে নাকি অন্য কোন সমস্যার কারণে হচ্ছে তা বুঝে নিতে পারবেন। শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে গেলে যাদের বেধে যাচ্ছে অথবা এটার কারণে যারা ব্যথা অনুভূত হচ্ছেন তারা অবশ্যই ফুসফুসের আশেপাশে প্রদাহ সৃষ্টি হলে এমনটা হতে পারে বলে আমরা জানিয়ে দিচ্ছি। তবে এ ধরনের সমস্যা না হয়ে থাকলে আপনারা ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন বলে জানিয়ে দেওয়া হল।
কিভাবে বুঝব ফুসফুস ভালো আছে
গলার আওয়াজ যদি আপনার দৈনন্দিন জীবনে ঠিকঠাক থাকে এবং আপনি যদি কথা বলার সময় ঠান্ডা ও সর্দি কাশির কারণে ভালোমতো কথা বলতে পারেন তাহলে ভাববেন যে আপনার ফুসফুস ভালো আছে। তাছাড়া যাদের কাশি কিছুতেই কমছে না অথবা কফের সঙ্গে যদি রক্তপাত হতে শুরু করে তাহলে ফুসফুসে সংক্রমণ হলে এটা হতে পারে বলে ধারণা করা হয়। তাই উপরের উল্লেখিত এ সকল বিষয়গুলো যদি ঘটে থাকে তাহলে বুঝতে হবে যে ফুসফুস ভালো নেই এবং এগুলো যদি না হয় তাহলে ফুসফুস ভালো আফুসফুস ভালো রাখার উপায় কি কি
ফুসফুস ভালো রাখার জন্য আপনারা দৈনন্দিন জীবনে সর্বপ্রথমে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলবেন। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পাশাপাশি কিছুটা ব্যায়াম করবেন যাতে করে আপনার ফুসফুস ভালো থাকে। সেই সাথে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পাশাপাশি আমরা যদি সামুদ্রিক খাবার অথবা সামুদ্রিক মাছ খেতে পারি এবং বাদাম আখরোট খেতে পারি তাহলে সেটা আমাদের ফুসফুসের জন্য খুবই ভালো হয়। এ প্রসঙ্গে যদি কোন কিছু জানার থাকে তাহলে আমাদেরকে প্রশ্ন করতে পারেন।