আপনি যদি এইচএসসি ও সম্মানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে থাকেন এবং একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের এই পোস্ট আপনাদেরকে অনেক সহায়তা করবে। একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে বর্তমান সময়ে অনলাইনে ভর্তির কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে বলে আপনাদেরকে সকল তথ্য জানতে হবে। যারা ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন এবং একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার
চিন্তা করছেন তাদেরকে সর্ব প্রথমে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি ভালোমতো দেখে নিতে হবে। ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথে কোন নিয়ম অনুসরণ করে আবেদন করতে হবে এবং আবেদনের প্রক্রিয়াগুলো কি কি তা যদি জানা থাকে তাহলে আপনি নির্দিষ্ট একটা কলেজে এডমিশন হওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধা করতে পারবেন।
সাধারণত এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার অল্প কিছুদিনের ভিতরে একাদশ শ্রেণীর ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়ে যায়। সারা দেশের স্থানীয় পর্যায়ে থেকে শুরু করে শহর পর্যায়ে প্রচুর পরিমাণে কলেজ থাকার কারণে এখানে এডমিশন পেতে কারো অসুবিধা হয় না। তবে দেশ সেরা কলেজগুলোতে ভর্তি হওয়ার জন্য আপনার এসএসসি পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি কম নাম্বার নিয়ে দেশ সেরা কলেজগুলোতে আবেদন করেন তাহলে সেখানে চান্স পাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।
তাই এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কেমন জিপিএ এবং কত নম্বর অর্জন করতে পেরেছেন তার ওপরে নির্ভর করে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের পরামর্শ নিয়ে নাম্বার ওয়ান কলেজগুলোতে আবেদন করার পরামর্শ প্রদান করা হলো। আর সেই সাথে নিচের দিকে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার কোন নিয়ম অনুসরণ করতে হবে তা এই পোষ্টের নিচের দিকে জানিয়ে দেওয়া হলো।
আপনি যখন একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হতে চাইবেন তখন আপনাকে একাদশ শ্রেণির ভর্তি সংক্রান্ত অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে হবে। অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এর এড্রেস হলো http://xiclassadmissiongovbd.com/ । এই ঠিকানা আপনারা এখান থেকে কপি করে নিতে পারেন এবং ক্রোম ব্রাউজারে গিয়ে পেস্ট করে অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারেন। অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে এপ্লাই নাও নামক যে অপশন রয়েছে সেখানে ক্লিক করে আবেদনের প্রথম ধাপগুলো অনুসরণ করতে পারেন।
সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর তথ্য এবং তার অভিভাবকের তথ্য প্রদান করতে হবে। তাছাড়া অন্য যে সকল তথ্য যাওয়া হবে সেগুলো আপনারা সঠিকভাবে দিয়ে দিবেন। আবেদন করার সময় যে সকল তথ্য যা হবে সেগুলো অবশ্যই বুঝে শুনে এবং সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে যাতে পরবর্তীতে আপনার সার্টিফিকেট তৈরি করার ক্ষেত্রে অথবা ফর্ম ফিলাপের ক্ষেত্রে কোন ঝামেলা না হয়।
আবেদন করার একপর্যায়ে আপনাদের পিতা মাতার তথ্য প্রদান করার পাশাপাশি আপনার পূর্ববর্তী শিক্ষার ব্যাকগ্রাউন্ড সম্পর্কে তথ্য যা হবে। এ সকল তথ্যগুলো প্রদান করার পর আপনারা ক্রমানুসারে আবেদনের প্রত্যেকটি ধাপ অনুসরণ করে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ১৫০ টাকা প্রাথমিক আবেদন ফি জমা দিবেন। নিয়ম অনুসরণ করে কমপক্ষে পাঁচটি থেকে দশটি পর্যন্ত কলেজ চয়েজ প্রদান করতে পারবেন।
অল্প কিছুদিনের ভেতরে আপনাদের আবেদনের উপর ভিত্তি করে প্রথম মেরিট লিস্ট প্রদান করা হবে। শিক্ষার্থীদের প্রাপ্ত জিপিএ এবং কলেজ চয়েজ প্রদান করার উপরে ভিত্তি করে প্রথম মেরিট লিস্টে যদি নাম চলে আসে তাহলে তাকে ভর্তি নিশ্চয়ন করার জন্য সিলেকশন পর্ব সম্পন্ন করতে হবে।
প্রাথমিক আবেদনের জন্য ১৫০ টাকা আবেদন ফি জমা দেয়া হলেও যখন আপনি ভর্তি নিশ্চায়ন করবেন অথবা ভর্তি হবেন বলে নিশ্চয়তা প্রদান করবেন তখন আপনাদেরকে ২২৮ টাকা অনলাইনের মাধ্যমে প্রদান করতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় যে শিক্ষার্থীরা ফলাফল পরিবর্তনের জন্য বোর্ড চ্যালেঞ্জ করে থাকেন। আপনি যদি ভর্তি নিশ্চায়ন করে থাকেন তাহলে আপনাকে পরবর্তীতে কলেজ চয়েজ এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হবে।
এভাবে ধাপে ধাপে আপনার পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর এবং আপনার কলেজ চয়েজ প্রদান করার পরে যখন আপনি ভর্তির জন্য একটা কলেজে মনোনীত হবেন তখন নির্দিষ্ট দিনে আপনাকে গিয়ে ভর্তি হতে হবে। ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে যে সকল নিয়ম রয়েছে সেগুলো অনুসরণ করবেন এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে ক্লাস ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ করবেন।
এইচএসসি পরীক্ষার ফরম ফিলাপ করার নিয়ম
আপনি যদি আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য ফরম ফিলাপ করতে চান এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে চান তাহলে ফরম ফিলাপ করার নিয়ম আপনাকে জানতে হবে। ফরম ফিলাপ করার নিয়ম অনেক শিক্ষার্থী জানে না বলে সঠিক নিয়মে করতে পারে না এবং অনেক সময় তারা ফরম ফিলাপের ভুলের কারণে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারে না। তাই আপনি যদি সঠিকভাবে ফরম ফিলাপ করতে চান তাহলে ঘরে বসে আপনার এই ফরম ফিলাপ নিজে নিজে না করে অভিজ্ঞ অনলাইন সার্ভিসের দোকানে গিয়ে করে ফেলুন।
বর্তমানে এইচএসসি পরীক্ষার ফরম ফিলাপ অনলাইন এর মাধ্যমে পূরণ করতে হচ্ছে বলে আপনাদেরকে এটা অনলাইনে করতে হবে। অতীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আপনাদের থেকে তথ্য এবং টাকা গ্রহণ করে তারা নিজেদের দায়িত্বে এগুলো করে রেখেছিল। কিন্তু ভর্তি থেকে শুরু করে এখন সকল কার্যাবলী অনলাইনের মাধ্যমে পরিচালনা করা হচ্ছে বলে আপনারা অবশ্যই এটা অনলাইনের মাধ্যমে করবেন।
ফরম ফিলাপ করার সময় আপনার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য এবং আপনার ক্লাসের রোল নাম্বার সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য নিয়ে যাবেন। তাছাড়া তথ্য প্রদান করার সময় আপনার এসএসসি পরীক্ষার্থী থেকে শুরু করে যে সকল তথ্যগুলো যা হবে সেগুলো সঠিকভাবে প্রদান করবেন। ফরম ফিলাপ সম্পন্ন হয়ে গেলে আপনাদেরকে পেমেন্ট করতে হবে এবং অনলাইনের মাধ্যমে অথবা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পেমেন্ট সম্পন্ন করবেন।
অনেক সময় দেখা যায় যে ঘরে বসে ফরম ফিলাপ করার কারণে তথ্যগত ভুল হয়ে যায় অথবা বিভিন্ন ধাপ স্কিপ করে যান বলে সেই তথ্য পূরণ করা সম্ভব হয় না। কিন্তু আপনি যখন অনলাইন সার্ভিসের মাধ্যমে অথবা কম্পিউটারের মাধ্যমে এগুলো করবেন তখন স্ক্যানের সুবিধা যেমন পাবেন তেমনি ভাবে কাগজপত্র সঠিকভাবে আপলোড করে ফরম ফিলাপ সম্পন্ন করতে পারবেন। তাছাড়া পেমেন্ট করার ক্ষেত্রে সঠিক নিয়ম এবং সঠিক পরিমাণ টাকা জেনে নিয়ে পেমেন্ট করলেই আপনার ফরম ফিলাপ সম্পন্ন হয়ে যাবে। ফর্ম ফিলাপ করতে করতে কোথাও যদি নিজেরা ঝামেলা মনে করেন অথবা কোথাও যদি বুঝতে না পারেন তাহলে কমেন্ট করলে আমরা আপনাদেরকে সেই প্রশ্নের উত্তর প্রদান করব।
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন ফরম পূরণ করবেন যেভাবে
আপনারা যারা একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির আবেদন ফরম পূরণ করা প্রসঙ্গে জানতে এসেছেন তাদেরকে বলব যে বর্তমান সময়ে মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে এই ভর্তির কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে বলে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট ভিজিট করে আপনাদেরকে আবেদন সম্পন্ন করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনারা একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার জন্য সর্ব প্রথমে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবেন এবং এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরে আপনাদেরকে যে তারিখ প্রদান করা হবে সেই নির্ধারিত তারিখের মধ্যে আবেদন করতে হবে।
বর্তমানে ভর্তির ক্ষেত্রে যে সকল নিয়ম চালু করা হয়েছে তাতে করে একজন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত মোট নম্বরের ওপরে ভিত্তি করে কলেজ চয়েস প্রদান করতে পারবে। তুলনামূলকভাবে যে সকল শিক্ষার্থীর নাম্বার বেশি তাদেরকে ভর্তির জন্য অগ্রাধিকার প্রদান করার পাশাপাশি আসন ফাঁকা থাকা সাপেক্ষে পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় মেধা তালিকা প্রদান করা হবে। যেহেতু এসএসসি এবং সমমানের পরীক্ষায় আপনারা উত্তীর্ণ হতে পেরেছেন সেহেতু বর্তমানের নিয়ম অনুসরণ করে সারা দেশের প্রত্যেকটি কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন আহবান করা হচ্ছে।
তাই এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরে আপনারা যখন একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার জন্য ভর্তি বিজ্ঞপ্তি পেয়ে যাবেন তখন সেই ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুসরণ করে যে তারিখ উল্লেখ করা থাকবে সেই তারিখের মধ্যেই আপনাদেরকে আবেদন করতে হবে। আবেদন করার জন্য আপনাদেরকে xicollegeadmission এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে এবং সেখানে আবেদন করার যে অপশন রয়েছে সেখানে ক্লিক করলে আপনাদেরকে তথ্য ইনপুট করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হবে। তাই আপনি যখন আবেদন করতে চাইবেন তখন এই লেখাটি লিখে সার্চ করলে অফিশিয়াল ওয়েবসাইট সামনে চলে আসবে এবং সেখানে গিয়ে আবেদন করার ক্ষেত্রে যে সকল তথ্য যা হবে সেগুলো সঠিকভাবে প্রদান করবেন।
কলেজ চয়েজ প্রদান করার ক্ষেত্রে এমন ভাবে প্রদান করবেন যাতে করে আপনার প্রাপ্ত নম্বরের উপরে ভিত্তি করে আপনি প্রথমে তালিকায় অথবা দ্বিতীয় মেধা তালিকায় চান্স পেয়ে যান। একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে আপনারা এই সকল নিয়ম অনুসরণ করবেন এবং অনলাইনে আবেদন করার পাশাপাশি ভর্তি ফি হিসেবে আপনাদেরকে নির্ধারিত পরিমাণ আবেদন ফি মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে প্রদান করতে হবে। প্রথম মেধা তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর আপনাদেরকে ভর্তি নিশ্চয়ন করতে হবে অথবা মাইগ্রেশন করার মাধ্যমে আরো ভালো কলেজ পাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। তাছাড়া যাদের প্রথম মেধা তালিকায় চান্স হয়নি তাদেরকে দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় মেধা তালিকার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।