ভোটের তথ্য নিবন্ধন করার সময় আপনাদের যে স্লিপ নাম্বার অথবা ভোটের ফরম্যাট সিরিয়াল নাম্বার প্রদান করা হয়েছে সেটা দিয়ে কিন্তু আপনি আপনার আইডি কার্ড চেক করে দেখতে পারবেন। অর্থাৎ আপনার আইডি কার্ডের বর্তমান অবস্থা কি অথবা সেই থেকে আপনি এটা কবে নাগাদ হাতে পেতে পারেন সে প্রসঙ্গে অনেক তথ্য আপনাদের উদ্দেশ্যে শেয়ার করা হবে। তাছাড়া ভোটার ফরমের নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ডের ১০ ডিজিটের স্মার্ট নাম্বার সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে এটা কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা পদ্ধতি। তাই আপনাদের উদ্দেশ্যে আমরা এখানে এই তথ্যগুলো আলোচনা করছি বলে আপনারা অনুসরণ করার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কাজগুলো সম্পাদন করতে পারেন।
যেহেতু ১৮ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার সাথে সাথে আমাদেরকে ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করতে হয় এবং আবেদন করার জন্য আমাদেরকে অনেক তথ্য প্রদান করতে হয় সেহেতু আমরা অবশ্য সঠিকতা অবলম্বন করব। কারণ অনেকে আছেন কোন একটা তথ্য ভুলের কারণে পরবর্তীতে আবার তথ্য সংশোধনের আবেদন করছেন। তাই এরকম ঝামেলা যেন না হয় তার জন্য প্রথম সময়ে আপনাদেরকে সঠিকভাবে তথ্যগুলো ইনপুট করার কাজ সম্পাদন করতে হবে। তবে যাই হোক আপনি যদি আইডি কার্ডের তথ্য নিবন্ধন করার পর একটি ভোটার স্লিপ নাম্বার পেয়ে থাকেন তাহলে সেটা কিন্তু কাজে লাগাতে পারেন।
অর্থাৎ আপনার ভোটার আইডি কার্ডের এই ফর্মের নাম্বার ব্যবহার করার মাধ্যমে আইডি কার্ডের ১০ ডিজিটের নাম্বার সংগ্রহ করতে পারেন। যেহেতু কোন অফিসিয়াল কাজের জন্য সরাসরি আপনার থেকে আইডি কার্ড চাওয়া হবে না সেহেতু এই আইডি কার্ডের নাম্বার ব্যবহার করার মাধ্যমেও কিন্তু অনেক কাজ করা যাবে। তাই আপনি যখন আইডি কার্ডের নাম্বার ব্যবহার করতে চাইবেন অথবা আইডি কার্ডের নাম্বার আপনার সংগ্রহ করার প্রয়োজন হবে তখন ভোটার ফরমের নাম্বার ব্যবহার করুন।
গ্রাহকদের সুবিধার জন্য অথবা প্রত্যেকটি ভোটারের জন্য আমাদের বর্তমান সময়ে সার্ভিস এনআইডি নামক একটা অফিসিয়াল ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন দ্বারা পরিচালিত এই ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় কাজগুলো নীতিমালা অনুযায়ী সংগ্রহ করতে পারি। অর্থাৎ আপনার ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য চেক করাটাও কিন্তু তাদের একটা অপশন এবং এই অপশন এর মাধ্যমে আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করার ক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে পারি।
নতুন ভোটার আইডি কার্ড চেক
নতুন হোক কিংবা পুরাতন আপনারা যখন ভোটার আইডি কার্ড চেক করবেন তখন ইংরেজিতে সার্ভিস এনআইডি লিখে সার্চ করুন। আপনাদের সামনে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট চলে আসলে অথবা সার্চ করার ভিত্তিতে ডোমেইন নাম মিলে গেলে অবশেষে প্রবেশ করবেন। তাছাড়া অফিসিয়াল ওয়েবসাইট চেনার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলো সেখানে প্রয়োজনীয় অপশন ব্যতীত অন্য কোন অ্যাডভার্টাইজমেন্ট থাকবে না। তাই আপনারা সরাসরি নিচের দিকে চলে যাবেন এবং সেখানেই ভোটার তথ্য চেক করার অপশনটি চালু করা হয়েছে। আপনারা সেখানে দেখলে বুঝতে পারবেন কোন কোন তথ্যগুলো প্রদান করা লাগবে এবং যদি বুঝতে না পারেন তাহলে সর্বপ্রথম আপনার ভোটের ফরমের নাম্বার ব্যবহার করবেন।
আইডি কার্ড চেক করুন অনলাইনে
যদিও আইডি কার্ড অনলাইনে চেক করার ক্ষেত্রে আপনাদের ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার প্রদান করতে বলা হয়েছে তারপরে অপশনাল হিসেবে ভোটের ফরমের নাম্বার প্রদান করলে কোন সমস্যা নেই। এই তথ্যটি পূরণ করে আপনাদের জন্ম তারিখের তথ্য ধাপে ধাপে দিতে হবে। অর্থাৎ আপনার জন্ম তারিখ যদি সাত হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই শূন্য সাত ব্যবহার করবেন। এভাবে আপনারা জন্ম মাসের সিরিয়াল নাম্বার এবং জন্ম সাল সঠিকভাবে উল্লেখ করে নিচের কি ক্যাপচা কোড দিয়ে দেওয়া আছে সেটা ভালোমতো বুঝুন।
স্লিপ নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড চেক
মূলত স্লিপ নাম্বার অথবা ভোটার ফরম্যাট নাম্বার একই বিষয় হয়ে থাকার কারণে এটা দিয়ে আইডি কার্ড চেক করার জন্য আপনারা উপরের উল্লেখিত তথ্য গুলো অনুসরণ করে তথ্য প্রদান করবেন। এরপরে আপনাদেরকে ক্যাপচা কোডের প্রত্যেকটা বিষয় বুঝতে হবে এবং যেটা যে ফর্মে দেওয়া আছে সেই ফর্ম অনুসরণ করতে হবে। সঠিকভাবে ক্যাপচা কোড পূরণ করে দেওয়ার পর আপনারা অবশ্যই সাবমিট বাটন অথবা সার্চ অপশনে ক্লিক করবেন। তাহলে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য অথবা ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার থেকে শুরু করে সেই ব্যক্তি কোন ভোটার এলাকার তা দেখিয়ে দেওয়া হবে। ধন্যবাদ।