নবজাতকের গলায় দুধ আটকে গেলে

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এই সমস্যাগুলোর হাত থেকে বাঁচতে হলে সেই সমস্যাগুলোর সমাধানের উপায় আমাদের জেনে নেওয়া দরকার। কিছু ঘরোয়া উপায় জানা থাকলে বিভিন্ন ধরনের জটিল সমস্যার হাত থেকেও বাঁচা সম্ভব হয়। তাই অবশ্যই ছোট ছোট বিভিন্ন সমস্যার হাত থেকে বাঁচার জন্য আমাদের ঘরোয়া উপায়গুলো জেনে নেওয়া দরকার। তেমনি ভাবে আজকের আর্টিকেলটিতে আলোচনা করা হয়েছে নবজাতক বা ছোট্ট শিশুর গলায় দুধ আটকে গেলে করণীয় কি?

যদি কোনো কারণে কোনো ছোট্ট বাচ্চার গলায় দুধ আটকে যায় এবং এর থেকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত এবং দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া উচিত। কিন্তু চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার আগেই আরও কিছু বিষয় জানা থাকলে তা বাড়িতে সমাধান মিলতে পারে বা নবজাতকের গলায় দুধ আটকে গেল বাসায় কিছু কাজ করে বা কিছু উপায়ে অবলম্বন করে শিশুটিকে বাঁচানো যেতে পারে।

বিভিন্ন সময় আমাদের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই এই সকল উপায় গুলো যদি জানা থাকে তাহলে আমরা সেই সমস্যাগুলোর হাত থেকে বেঁচে যেতে পারি। অথবা সে সমস্যার হাত থেকে খুব সহজেই সমাধান বলতে পারি। আবার অনেক সময় দেখা যায় যে শিশুদের গলায় দুধ আটকে গিয়ে সেই শিশুটি উপযুক্ত চিকিৎসার অভাবে বা প্রাথমিক চিকিৎসার অভাবে শিশুটি মারা যেতে পারে। এই উপায় গুলো আমাদের অবশ্যই জানতে হবে। আবার কোন ব্যক্তি যদি এই বিষয়গুলো জানে তাহলে বিভিন্নভাবে সহায়তা করে এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন থেকে বাঁচা যাবে। তাছাড়া বিশেষ করে যে সকল মায়েরা বাচ্চাকে দুধ পান বা দুধ খাওয়ায় সে সকল মাইরা যদি এই উপায় গুলো জানলে অবশ্যই মায়েরা বাচ্চাদের সতর্কতার সাথে দুধ খাওয়াতে পারেন এবং এ ধরনের সমস্যার হাত থেকে বাঁচতে পারে।

নবজাতকের গলায় দুধ আটকে যায় সাধারণত দুধ খাওয়ানোর সময়। তাই বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর সময় অবশ্যই মনোযোগী হতে হবে। অনেক মা দেখা যায় যে বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর সময় মনোযোগী হয় না অযথা ফোন চাপে অথবা ফোন ব্যবহার করে। আবার অনেকে দেখা যায় যে বাচ্চাকে দুধ খাওয়াতে খাওয়াতে অন্যান্য কাজ করতে থাকে। এ ধরনের কাজ করার ফলে অথবা বাচ্চার দিকে মনোযোগ কম দেওয়ার ফলে বাচ্চাটির বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। আবার গলায় দুধ আটকে গেলেও সহজে বোঝা যাবে না, সহজে বুঝে না যাওয়ার ফলে বাচ্চাটিকে তৎক্ষণিক প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে না। এর ফলে বাচ্চাটির মৃত্যু হতে পারে।

তাই একটি বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর সময় অবশ্যই সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে এবং খুবই যত্নসহকারে খাওয়াতে হবে। যখন কোন বাচ্চাকে দুধ খাওয়াবেন তখন বাচ্চার দিকে মনোযোগ দিয়ে বাচ্চাকে দুধ খাওয়াতে হবে। যদি মনোযোগ দিয়ে বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানো যায় তাহলে বাচ্চার কোন সমস্যা হলে তার সাথে সাথে মা দেখতে পাবে এবং এই সমস্যার হাত থেকে বাঁচার জন্য কার্যাবলী গুলো করা যাবে বা বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করা যাবে। কিন্তু কোনো বাচ্চা যদি মনোযোগ সহকারে তা না দেখেন তাহলে সেই বাচ্চাকে অনেক সময় বাঁচানো সম্ভব হয় না। আবার অনেক সময় দেখা যায় নবজাতকের গলায় দুধ আটকে যাওয়ার পর প্রাথমিক চিকিৎসার অভাবে পরবর্তীতে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাচ্চাটিকে বাঁচানো সম্ভব হয় না।

চিকিৎসকরা বলেন যে যদি দুধ শ্বাসনালী বা গলায় আটকে গিয়েছে এরকম বুঝা যায় তৎক্ষণাৎ মায়েদের উচিত দ্রুত শিশুটিকে কিছুটা পাস ফিরিয়ে মাথা নিচু করে মুখ ফাঁকা রেখে পিঠে চাপ দেওয়া। তাহলে দুধ বেরিয়ে যায়। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মায়েরা শ্বাসনালীতে দুধ আটকে গেলে শিশুটিকে কোলে তুলে নিয়ে পিঠে চাপড় মারেন। এর ফলে শিশুটির শ্বাসনালীতে আরো বেশি ভাবে আটকে যেতে পারে। তাই বাচ্চাটিকে যত্ন সহকারে শ্বাসনালী থেকে বা গলা থেকে দুধ বের করার চেষ্টা করতে হবে। তারপর চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

Leave a Comment