প্রষ্টেট গ্রন্থি বড় হয়ে গেলে ঔষধ খেয়ে ছোট কর যাই কি না

আপনারা যারা প্রস্টেট গ্রন্থি বড় হয়ে গেলে ওষুধ খেয়ে ছোট করা যায় কিনা তা জানতে চেয়েছেন তাদের উদ্দেশ্যে আমরা এখানে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করার চেষ্টা করব। কারণ এটা বড় হয়ে গেলে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি প্রস্রাব বের হতে বাধা সৃষ্টি করে এবং এটার চাপ কিডনিতে গিয়ে পড়ে। তাই প্রস্টেট গ্রন্থি বড় হয়ে গেলে আপনারা যদি ভেবে থাকেন এটা ক্যান্সারের মতো রোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কিনা তাদের জন্য আমরা এখানে আলোচনার ভিত্তিতে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করব। অর্থাৎ এই গ্রন্থে বড় হওয়ার ফলে আপনারা যে সমস্যা গুলো নিয়ে ভাবছেন সেগুলো যদি সমাধান করতে পারেন অথবা যে প্রশ্নগুলো রয়েছে সেগুলোর উত্তর যদি পেতেন তাহলে ভালো হবে।

সাধারণত বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই প্রোস্টেট গ্রন্থি বৃদ্ধি পেতে থাকে। মূলত এই গ্রন্থি মূত্রনালীর নিচে অবস্থান করে এবং এটার আকৃতি আখরোটের মত। সাধারণত যখন এই গ্রন্থি বৃদ্ধি পেতে থাকবে তখন দেখা যাবে যে প্রসবের রাস্তায় বাধা প্রাপ্ত হবে এবং প্রসাব ক্লিয়ার হবে না। বিশেষ করে অল্প বয়সে প্রসাবের যে বেগ থাকে সেখানে বাধা প্রাপ্ত হবে এবং এই বাঁধা প্রাপ্ত হওয়ার কারণে তা কিডনিতে গিয়ে পরবর্তীতে চাপ প্রদান করতে পারে।

তাই একজন মানুষের বয়স যখন বৃদ্ধি পেতে থাকে তখন এই গ্রন্থি বড় হতে হতে একজন মানুষের অনেক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। আর ডায়াগনোসিস এর মাধ্যমে যদি এটা বুঝতে পারেন অথবা এই রোগ ধরা পড়ে অথবা এটা আকৃতি যদি বড় হতে থাকে তাহলে ওষুধ খাওয়ার মাধ্যমে এটা ছোট হবে কিনা তা অনেকেই জানতে চেয়েছেন। আপনাদের জন্য আমরা এখানে যে বিষয়গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করছি তাতে করে আপনারা ভালোমতো বুঝে নিতে পারলে আশা করি সকল প্রশ্নের সমাধান পেয়ে যাবেন।

যখন এই গ্রন্থে বড় হতে থাকবে তখন প্রসাবে বাধা প্রাপ্ত হবে এবং প্রসাবের রাস্তায় বিভিন্ন কারণে ইনফেকশনের সৃষ্টি হবে। অনেক সময় মতো ত্যাগ করার পরেও মনে হবে এটা পরিপূর্ণভাবে ক্লিয়ার হয়নি এবং পরবর্তীতে আবার চাপের সৃষ্টি হতে পারে। দিনের বেলায় ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার পাশাপাশি অনেক ধরনের সমস্যাই এটার কারণে হতে পারে। মূত্রথলির আশেপাশের প্রাচীরের চাপ প্রদান করে এবং এটা বিভিন্নভাবে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করে বলে ডাক্তারিভাবে আপনাকে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা লাগতে পারে।

প্রোষ্টেট গ্রন্থি বড় হয়ে গেলে সমাধান

প্রস্টেট গ্রন্থি বড় হলে সমাধান হিসেবে কি করা যেতে পারে তা যদি জানতে চান তাহলে সেই ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি অনুসরণ করার ব্যবস্থা রয়েছে। ওষুধ খাওয়ার মাধ্যমে এটার টিস্যু অথবা এটার স্থানটা সংকুচিত হয়ে যাওয়ার ফলে অনেক সময় সার্জারির ব্যবস্থা রয়েছে। যারা সার্জারি করাতে ভয় পান অথবা সার্জারির মাধ্যমে যাদের রিস্ক আছে বলে মনে করে থাকেন তারা ঔষধ খাওয়ার মাধ্যমে এটা প্রাথমিক অবস্থায় ভালো হয়ে যেতে পারে।

প্রোস্টেট গ্রন্থি ভালো রাখার উপায়

প্রোস্টেট গ্রন্থি ভালো রাখার জন্য আপনারা যদি মনে করেন ওষুধ খাওয়ার মাধ্যমে কমে যাবে তাহলে সবচাইতে ভালো হয়। তবে ওষুধ খাবার মাধ্যমে শারীরিক চাহিদা কমে যাওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য আরো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। আর যদি মনে করেন এ ক্ষেত্রে সার্জারি করে নেব তাহলে সবচাইতে ভালো হয়। তবে এই ক্ষেত্রে ভালো রাখার একমাত্র উপায় হল দৈনন্দিন জীবনে এমন কিছু খাবার গ্রহণ করতে হবে যেটা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

প্রোস্টেট গ্রন্থি বড় হয়ে গেলে ছোট করে রাখার ওষুধ

প্রোস্টেট গ্রন্থে বড় হয়ে গেলে ছোট করে রাখার জন্য আসলে কোন ধরনের ওষুধ ব্যবহার করা হয়ে থাকে তা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার খুব ভালো করে জানেন। অর্থাৎ এ ধরনের জটিল ও কঠিন রোগের চিকিৎসায় আমরা কখনোই ইন্টারনেট থেকে ওষুধের নাম জেনে নিয়ে তা ব্যবহার করব না। ওষুধের মাধ্যমে সেটা নিষ্পত্তি করা গেলেও ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে যাতে করে পরবর্তীতে রিপিট না করে। এছাড়া লেজার সার্জারি অথবা ওপেন প্রস্টেট টেকনমি চিকিৎসার মাধ্যমে এটা থেকে নিরাময় পাওয়া যেতে পারে।

Leave a Comment