ছবি আঁকা অনুচ্ছেদ

মানুষ সব সময় ভাবতে ভালোবাসে, মানুষের মনে যে ভাবনা গুলো সব সময় আসা-যাওয়া করে, সেগুলোকে প্রকাশ করা বা সবার মাঝে তুলে ধরাকেই ছবি আঁকা বলা যায়। কারণ একজন শিল্পী যখন ছবি আঁকে তাকে সব সময় অনেক কিছু লক্ষ্য করে ছবি আঁকতে হয়। কেউ চাইলেই খুব সহজে ছবি এঁকে ফেলতে পারে না ছবি আঁকা অনেক ধৈর্যের কাজ। কে কখন প্রথম ছবি আঁকা শুরু করেছিল তা নিয়ে কোন নথিপত্র নেই, তবে মানুষের আঁকা ছবি এবং সবচেয়ে পুরনো একটি ছবির কথা আমরা বিভিন্ন অনলাইন সোর্স থেকে জানতে পারি।

স্পেনে 1879 খ্রিস্টাব্দে এক পাহাড়ের গুহার সন্ধান পাওয়া যায় সেইখান থেকেই ছবি আঁকার প্রচলন শুরু হয়েছে এমনটি ধারণা করা হয় সেইখানে অনেক মানুষের ছবি পাওয়া যায় পশুপাখি মাছ আম জাম কাঁঠাল পেঁপে এর কোন না কোন ছবি মানুষ একবার হলেও এঁকেছে আমরা আমাদের স্কুল কলেজে বিভিন্ন ধরনের ছবি এঁকে থাকি। তাই সঠিকভাবে বলা যায় না যে আসলেই কবে থেকে ছবি আঁকার প্রচলন শুরু হয়েছে।ছবি আঁকা এক ধরনের নেশা, যারা একবার এই ছবি আঁকার নেশায় পড়ে যাবে তারা খুব সহজে এই ছবি আঁকা ছাড়তে পারবে না। পৃথিবীতে ছবি এঁকে অনেক মানুষই অনেক বড় হয়েছে ‌। পৃথিবীতে অনেক বিখ্যাত, বিখ্যাত মানুষ রয়েছে যারা বিভিন্ন ধরনের ছবি একে বড় ধরনের পুরস্কারও পেয়েছে।

ছবি আঁকা

আমরা জানি ছবি আঁকা এক ধরনের চিত্রকলা, আধুনিক এই যুগ আসার পর মানুষ ছবির প্রতি অনেক হস্তক্ষেপ করেছে। যারা নিয়মিত ছবি আঁকেন আমরা তাদের চিত্রশিল্পী বলে থাকি। আমরা মানুষ আমরা সামাজিক জীব আমরা চাইলেও সব সময় আমাদের মনের ভেতর কথা জমিয়ে রাখতে পারি না। কেউ সে কথা কাউকে বলে শান্তি পাই কেউ করে শান্তি পায় কেউ আবার ছবি এঁকে শান্তি পাই। শিল্পী তার ছবিতে তার মনের সব কথাগুলো প্রকাশ করতে পারে।একজন চিত্রশিল্পী একটি ছবির মাধ্যমে তার মনের আবেগ প্রকাশ করতে পারে।

কিছু চিত্রশিল্পী আছে যারা ছবি আঁকা শখ হিসাবে নিয়ে থাকেন। শুধু টাকা দিয়ে রং তুলি কিনে আনলেই হয় না ছবি আঁকতে লাগে অনেক ধৈর্য অনেক মেধা যা মনের মাধুরী দিয়ে ছবির মাধ্যমে তুলে ধরতে হয় ১৯৪৩ সালের প্রেক্ষাপট নিয়ে ছবি আঁকা হয় সে সময় ছবিটি আঁকেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন, তার ১৯৪৩ সালের এই ছবিটি দুর্ভিক্ষের ছবি ছিল,যা এখনো মানুষের মনে নাড়া দিয়ে যায় সেই ছবিটি দেখে মানুষ এখনো ভেঙে পড়ে তার ছবিটি দেশ-বিদেশে অনেক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল।

 আমাদের দেশে ছবি আঁকা কে খুব ভালোভাবে দেখা হয় না, অনেক দেশ রয়েছে যে দেশে ছবিকে অনেক গুরুত্ব সহকারে দেখা হয় এবং শিশু-কিশোরদের অনেক হেল্প করা হয় ছবি দেখার কাজে আমরাও চাইবো আমাদের দেশে ছবি আঁকাকে ঠিকমত প্রাধান্য দেওয়া হোক। স্কুল-কলেজে একটি কঠিন বিষয় শিক্ষকেরা অনেক সময় ছাত্রদের বোঝাতে পারে না কিন্তু তারা চাইলে একটি ছবি আঁকার মাধ্যমে তাদের খুব সহজে বুঝিয়ে ফেলতে পারে।এই শিল্পকর্মের মাধ্যমে পৃথিবীর বড় বড় দেশগুলোতে অনেক অনুষ্ঠান এর আয়োজন করা হয় সেই

অনুষ্ঠানে আমাদের বাংলাদেশীরা সহ অনেক দেশ-বিদেশের মানুষ অংশগ্রহণ করে, আমাদেরও উচিত এ দেশগুলোর মত ছবি আঁকা কে প্রাধান্য দেওয়া তাহলে আমরা সামনের দিনে পুরো পৃথিবীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারব এবং সেই সাথে আমাদের ছেলে মেয়ে আত্মীয়-স্বজনদেরও ছবি আঁকার প্রতি আকৃষ্ট করতে পারব।
আমরা আশা রাখি ভবিষ্যতেও ছবি আঁকা শিল্পকে আমাদের দেশে গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে। বর্তমানে আমাদের দেশেও ছোট থেকে বড়দের প্রত্যেকটা ক্লাসে ছবি আঁকা বিষয়টি রাখা উচিত এবং সঠিক জ্ঞান আগ্রহে শিশু-কিশোরদের জাগিয়ে তোলা উচিত।

Leave a Comment