বিভিন্ন পরীক্ষায় অথবা বিভিন্ন অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে যখন রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়ে থাকে তখন আমাদের জাতীয় জীবনে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব এই টপিকে লিখতে বলা হয়ে থাকে। সাধারণত আমরা ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের ঘটনা মোটামুটি ভাবে জেনে থাকলেও যখন নির্দিষ্ট একটা সংখ্যা উল্লেখ করা থাকে অথবা নির্দিষ্ট সংখ্যার উপরে যখন লিখতে বলা হয় তখন হয়তো আমরা বুঝতে পারি না যে কিভাবে এত বড় রচনা অথবা প্যারাগ্রাফ লেখা যায়।
তাই আমরা আপনাদের জন্য এখানে আমাদের জাতীয় জীবনে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে একটি রচনা বা অনুচ্ছেদ তুলে দিলাম। এই টপিক যদি আপনারা মনোযোগ দিয়ে পড়তে পারেন তাহলে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে কাজে লাগবে। কারণ শিক্ষা জীবন থেকে শুরু করে চাকরিজীবনেও এই ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব অপরিসীম।
ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব সম্পর্কে আমরা যদি জানতে চাই তাহলে আমাদের সেই অতীত প্রেক্ষাপট জানতে হবে। ব্রিটিশ শাসন আমল থেকে আমরা যে শাসন ও শোষণের ভেতরে ছিলাম তাতে করে একটা সময় ভারত স্বাধীনতা লাভ করল। তাছাড়া পাকিস্তান ভাগ হয়ে গেল দুই ভাগে এবং আমরা পূর্ব পাকিস্তানের ভেতরে পড়ে গেলাম। যেহেতু আমাদের দেশের বিপুল সংখ্যক লোকের মুখের ভাষা ছিল বাংলা এবং কিছু সংখ্যক লোকের ভাষা ছিল উর্দু সেহেতু আমরা আমাদের দিক থেকে সবসময় সঠিক ছিলাম।
কিন্তু আমাদের ওপরে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে উর্দু চাপিয়ে দেওয়ার কারণে আমাদের দেশের আপামর জনগণ তা কখনোই মেনে নিতে পারেনি এবং তার জন্য ভাষা আন্দোলনের মতো ঘটনা ঘটেছে।কারণ আমাদের মাতৃভাষা হলো বাংলা এবং আমরা বাংলাতে নিজেদের কথা বলতে শিখেছি অথবা মনের ভাব প্রকাশ করতে শিখেছি। কিন্তু হঠাৎ করে যখন শোষক গোষ্ঠী আমাদের উপর ভাষার বিষয়গুলো চাপিয়ে দেবে এবং আমাদেরকে অফিসিয়াল ভাবে উর্দু ভাষায় ব্যবহার করতে বলবে তখন এদেশের আহ্বান জনগণ কখনোই তা মেনে নেবে না।
আর সেই ধারাবাহিকতায় বেশ কয়েকবার ঝামেলা হয়েছে এবং কেউ এটা মানতে চাইনি বলে পরবর্তীতে ভাষা আন্দোলনের মতো ঘটনা ঘটেছে। আর সেই জন্য ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি এদেশের ছাত্র জনতা এবং বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ “রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই” এই স্লোগানে ঢাকার রাজপথে মিছিল করে। কিন্তু ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার অপরাধে সেই নিরীহ জনগণের ওপর গোলাবর্ষণ করা হয় এবং অনেক মানুষ মৃত্যুবরণ করে।
ভাষার জন্য পৃথিবীর অন্য কোন রাষ্ট্রের ব্যক্তিরা জীবন দেয়নি। একমাত্র বাঙালিরা ভাষার জন্য এবং মাতৃভাষা টিকিয়ে রাখার জন্য জীবন দিয়েছেন। পরবর্তীতে ভাষা আন্দোলনের জন্য যাদের জীবন দেয়া হয়েছিল অথবা যারা জীবন উৎসর্গ করেছিল তাদের নাম ইতিহাসে উঠে এসেছে এবং তাদের নাম আমরা প্রত্যেক বছর স্মরণ করি। যেহেতু আমাদের ভাষার জন্য তারা জীবন দিতে কোন ধরনের পিছপা হয়নি অথবা ভাষা আন্দোলনের অধিকার আদায় করতে পেরেছে সেহেতু তাদেরকে আমরা আজীবন মনে রাখবো। সেই ধারাবাহিকতায় পৃথিবীর অন্যান্য অনেক দেশে ১৯৯৯ সালে ভাষা আন্দোলন এর উপর নির্ভর করে সকল দেশে এটা পালন করা হয়ে থাকে।
তাই জাতীয় জীবনে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব অপরিসীম এ বিষয়টা আমরা বিস্তারিত ভাবে বুঝতে পারব যখন আপনাদেরকে পরীক্ষার খাতায় লিখতে বলা হবে তখন আরো বিস্তারিতভাবে লেখার প্রয়োজন হবে। তবে অনেক সময় বিভিন্ন বইয়ে অথবা ব্যাকরণ বইয়ের রচনা ভান্ডারে গিয়ে এগুলো খুঁজে পাওয়া যায় না বলে আমরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে খুঁজে বের করার চেষ্টা করি।
তাই জাতীয় জীবনে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব যদি আমরা বুঝতে চাই তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের প্রদান করা এই তথ্যগুলো আপনারা প্রদান করে লিখতে পারলে সবচাইতে ভালো হবে। তাই এই পোষ্টের মাধ্যমেই আমরা আপনাদেরকে জাতীয় জীবনে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্বের উপরে একটি রচনা প্রদান করলাম যেটা আপনাদের জাতীয় জীবনে বিভিন্ন পরীক্ষার ক্ষেত্রে কাজে লাগবে। তাছাড়া আপনারা এখানকার তথ্য গুলো সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করতে পারলে হাতের লেখার উপর নির্ভর করে কোন একটা স্থান অধিকার করা সম্ভবনা থাকবে।